• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

হৃদয় বিদারক অরিত্রির আত্মহত্যা: হাইকোর্ট

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অরিত্রির মা বিউটি অধিকারী। ইনসেটে অরিত্রি।

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রধান শাখার শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনাকে হৃদয় বিদারক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মেয়ের সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করাকেও একটি বাজে দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেছেন বিজ্ঞ আদালত।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইয়েদুল হক সুমন বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এর আগে আইনজীবী সাইয়েদুল হক বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত অরিত্রী অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার সংবাদ আদালতে উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি উক্ত বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার প্রার্থনা করেন।

নির্দেশনায় আদালত বলেন, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনাটি খুবই হৃদয় বিদারক। এছাড়া শিক্ষার্থীর সামনে মা-বাবাকে অপমানের ঘটনাটিও একটি বাজে রকমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেন আদালত।

এ সময় সংশ্লিষ্ট ওই আইনজীবীকে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো সংযুক্ত করে রিট আবদেন করার কথা বলেন। এ প্রেক্ষিতে আগামীকাল শুনানি করার কথাও বলেন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ।

এদিকে অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, অরিত্রির স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চলছিলো। এরইমধ্যে রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। তখন আমি ও আমার স্ত্রী স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে যাই। তখন ভাইস প্রিন্সিপাল অরিত্রি মোবাইলে নকল করছিল বলে অভিযোগ করেন। এজন্য আমরা ক্ষমা চাইলে তিনি আমাদেরকে প্রিন্সিপালের কক্ষে পাঠান।

‘পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গিয়েও আমরা ক্ষমা চাই। কিন্তু প্রিন্সিপাল সদয় হননি। এক পর্যায়ে তার পায়ে ধরেও ক্ষমা চাই; কিন্তু প্রিন্সিপাল আমাদের বেরিয়ে যেতে বলেন। পরে তিনি অরিত্রিকে টিসি (ছাড়পত্র) দেয়ারও নির্দেশ দেন’, যোগ করেন অরিত্রির বাবা।

এ ঘটনার জেরে গতকাল সোমবার স্কুল থেকে ফিরে শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অরিত্রি। সে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রভাতী শাখার ইংলিশ ভার্সনের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –