হাবিপ্রবির গবেষণা মাঠে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্যমুখীর হাসি
এ যেন ফুলের রাজ্য, এখানে এলে যে কারো মন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠবে। সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখী। ভোর হলেই সোনা রোদে চোখ মেলে ঝলমলে সূর্যমুখী। নীল আকাশের সঙ্গে হলুদ ফুলগুলোর মায়াবি রূপ যে কারো মনকে নাড়া দিতে বাধ্য। বাগানে প্রতিদিন বসে প্রজাপতি আর মৌমাছিরা। নয়ন জুড়ানো এ দৃশ্যে মুগ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের মাঠ দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিশাল হলুদ গালিচা। কাছে গেলে চোখে পড়ে শত শত সূর্যমুখী। ফুলগুলো বাতাসে দোল খেয়ে যেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সৌন্দর্য উপভোগ করার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের গবেষণা মাঠে সূর্যমুখী নিয়ে গবেষণা করছেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান খন্দকার স্মরণ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম সিকদারের তত্ত্বাবধানে গবেষণাটি করতেছেন। গবেষণার বিষয় ‘সূর্যমুখী উৎপাদন ও ফলন এর উপর জৈব ও রাসায়নিক সারের প্রভাব’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে শিক্ষার্থী স্মরণ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমান সরকার ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূর্যমুখী চাষের ব্যাপারে অনেক বেশি আগ্রহ নিয়ে কাজ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনকি ইদানিং সময়ে আমাদের দেশে ভোজ্য তেল হিসেবে এই তেলের চাহিদা বেড়ছে। আমার মাস্টার্স এ ইচ্ছে ছিল কিছুটা ভিন্নরকম কাজ করার। যেহেতু সূর্যমুখী এখন আমাদের দেশের জন্য রাইজিং একটা ফসল তাই এটা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ টা বেড়ে গেছে। সর্বোপরি আমার সুপারভাইজার স্যারের পরামর্শে এটা নিয়ে কাজ করতেছি।
সূর্যমুখী নিয়ে গবেষণা করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার গবেষণার জন্য চাষকৃত সূর্যমুখীর জাত হল বারি সূর্যমুখী- ২। সূর্যমুখীর তেলের চাহিদা দিন দিন দেশ ও দেশের বাইরে বেড়েই চলছে। সূর্যমুখী নিয়ে গবেষণার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে এই ফসলের চাষে যেন কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়।
তিনি জানান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম এই ফসল নিয়ে কাজ করতেছি। ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর বীজ বপন করি। কৃষি গবেষণা মাঠ টি সংস্কার করায় এবং উঁচু টিলা কেটে সেই মাটি গবেষণা মাঠে ফেলার কারণে গবেষণা মাঠটি চাষাবাদের অনুপযোগী ছিল। যে কারণে আমার প্রথম বপনের অনেক বীজ গজায়নি এবং গজাতে বিলম্ব হয়েছিল।
কৃষি অনুষদের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ফালগুনী হামিদ বলেন, আমাদের জন্য এরকম গবেষণার কাজ সত্যি খুব আনন্দের। আমাদেরকে কৃষি নিয়ে ভাবার, আরও বেশি কাজ করার আগ্রহ তৈরি করবে এরকম গবেষণা। এর আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ফসল নিয়ে গবেষণা হয়েছে ও হচ্ছে, এই প্রথম সূর্যমুখী নিয়ে গবেষণা হল যেটা কৃষি গবেষণার কাজে সবাইকে যেমন অনুপ্রেরণা দিয়েছে সেভাবেই গবেষণা মাঠের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। আমরা চাই এরকম ভিন্নধর্মী গবেষণা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন নিয়োমিত হয় যেটা ভবিষ্যৎ কৃষি কে সমৃদ্ধ করবে।
কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, সূর্যমুখী চাষ এখন বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাই সূর্যমুখীতে রাসায়নিক সারের পাশাপাশি জৈব সারের প্রভাব নিয়ে কাজ করতেছি। এখানে তিন ধরনের জৈব সার (গোবর সার, প্রোল্টি লিটার ও ট্রাইকোডার্মা কম্পোস্ট) বিভিন্ন পরিমাণে ব্যাবহার করে পরিক্ষা করতেছি কোনটি ব্যাবহার করে বারি সূর্যমুখী-২ অধিক পরিমাণ ফলন দেয়। আমাদের গবেষণায় জৈব সারের প্রতি আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর প্রতি জোর দেন ড. শফিকুল ইসলাম সিকদার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অধিক পরিমাণে গবেষণার সুযোগ তৈরি ও বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী কারাগারে
- পাটগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- বোরো মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ভ্যানামি চিংড়ির পোনা আমদানির অনুমোদন দিল সরকার
- লালমনিরহাট জেলা সমিতি রংপুরের উদ্যোগে ইফতার ও মতবিনিময়
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন শাজাহান খান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা নিয়ে যা জানা গেল
- বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই ব্যবস্থা: আইজিপি
- ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু নিহত
- বেরোবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, থানায় জিডি
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শ্যামল জয়ী
- সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে গাড়ি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- হাতীবান্ধায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে মারধর
- আইপিএলে পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে জোচ্চুরির অভিযোগ!