• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

লালমনিরহাটে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২০  

লালমনিরহাটে খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে ওই শিক্ষিকার স্বামী মাহাবুব রহমান মিঠু বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষকসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউপির খোরাগাছ গ্রামের আবুল কাশেম পাটোয়ারীর ছেলে। একই এলাকার উমাপতি হর নারায়ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছেন তার সহকর্মী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এক সন্তানের জননী রিনা বেগমকে। বিষয়টি রিনা বেগম তার স্বামীকে অবগত করলে তাকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু এতেও আচরণ সংশোধন না করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাঞ্জুমা আক্তারের সহায়তায় সহকারী শিক্ষিকা রিনা বেগমকে ফিন্নির সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ান খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী। এতে অসুস্থ হলে তার স্বামী মাহাবুর রহমান মিঠু স্ত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে চিকিৎসা করান।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাঞ্জুমার নিকট বিচার প্রার্থনা করে কোনো সুফল পাননি শিক্ষিকা রিনা বেগমের পরিবার। গত বৃহস্পতিবার(৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বিদ্যালয় থেকে ফিরে স্বামী বাজারে অবস্থান করার সুবাদে বাড়িতে একা ছিলেন শিক্ষিকা রিনা বেগম। এ সুযোগে খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী ওই বাড়িতে গিয়ে পুনরায় চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে রিনা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় শিক্ষিকার বাড়ির স্বর্ণালংকার, পৌনে চার লাখ টাকাসহ শিক্ষিকার যাবতীয় কাগজপত্রও সঙ্গে নিয়ে যান।

পরে বাড়ি ফিরে শিক্ষিকা রিনা বেগমের স্বামী মাহাবুর রহমান মিঠু স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন তার স্ত্রীকে গাড়িতে করে নিয়ে যান শিক্ষক খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারী। অপহরণকারী শিক্ষক সবুজ পাটোয়ারীর বাড়িতে গিয়েও স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতেই সদর থানায় চারজনকে আসামি করে স্ত্রীকে অপহরণের দায়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন মাহাবুর রহমান মিঠু। শিক্ষিকা রিনা বেগম অপহরণের ৩৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও তার কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ। অপরদিকে অভিযুক্ত খায়রুল আলম সবুজ পাটোয়ারীও আত্মগোপনে রয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি(তদন্ত) এরশাদুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত উভয় শিক্ষকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী বলেন, বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি। তবে কেউ লিখিতভাবে অবগত করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –