• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পথহারা পথিকের মতো লালমনিরহাট বিএনপি

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০  

জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে পথহারা পথিকের মতো লালমনিরহাট জেলা বিএনপির নেতারা। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দলের কর্মী-সমর্থকরাও দূরে সরে যাচ্ছেন। এছাড়া একক নেতৃত্বের কারণে এখানকার সাংগঠনিক তৎপরতা শূন্যের কোঠায়।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলার দ্বন্দ্বে হতাশাগ্রস্ত হয়ে দিন দিন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন তৃণমূলের শতশত কর্মী।

জানা গেছে, জেলা বিএনপির সভাপতি বছরের বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে বাড়িতে এলেও পরিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। মন চাইলে জেলার কয়েকজন নেতার সঙ্গে দেখা করেন। তৃণমূলের খোঁজ-খবর না নিয়েই ফিরে যান ঢাকায়। এতে অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এলাকায় থাকলেও থাকেন গোপনে। এর মূল কারণ বাবলা ও দুলুর দ্বন্দ্ব। আর এ দ্বন্দ্বের বলি হচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক তৃণমূল নেতা বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সদ্য প্রয়াত জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা (হারাটি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান) মোহাম্মদ আলী খান, সাপ্টিবাড়ির আব্দুল মান্নান (হুরকা মান্নান), সোহরাব হোসেন, দুর্গাপুরের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজুর রহমান নান্নুসহ ফ্রন্টলাইনের নেতারা দল ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের মতামতের কোনো মূল্য দেয়া হয় না। যে কারণে তারা দল ছেড়েছেন।

নেতাকর্মীরা বলেন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে কারাগারে যাওয়ার পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তো দূরের কথা, বিএনপির কোনো নেতাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন না।

কণ্ঠে হতাশার সুর নিয়ে তারা আরো বলেন, লালমনিরহাট জেলা বিএনপিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এসব আত্মকেন্দ্রিক নেতাকর্মীদের ব্যাপারে উদাসীন এবং পদলোভী নেতাদের পরিবর্তনের বিকল্প নেই। অন্যথায় নিঃশেষ হতে চলা স্থানীয় বিএনপির অস্তিত্ব সামনের দিনগুলোতে হাতড়িয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশ না পাওয়ায় জেলা-উপজেলা কমিটি গঠনের জন্য কোনো নির্দেশনা বা সম্মেলনের বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারছি না। কমিটি হলে সমস্যাগুলো শিগগিরই সমাধান হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –