পণ্য উৎপাদনে ইসলামী মূল্যবোধ
মানুষ খেয়ে-পরে জীবন ধারণ করে। প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে সবাই খাবারদাবার, চলা-ফেরা, পোশাক-পরিচ্ছদে জীবনকে ভালোবেসে বেঁচে থেকেছে। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে জীবনের দায়ে উৎপাদন করেছে আহার, বস্ত্র ও জীবন ধারণের বহু সরঞ্জাম।
কালের পরিবর্তনে সময়ের প্রয়োজনে জীবনের বাস্তবতায় মানবজাতি সম্মুখীন হয় আবিষ্কার ও উৎপাদনের। দরকারে মানুষের চাহিদাকে মর্যাদা দিয়ে উৎপাদিত হচ্ছে নানা কিছু। মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুধাবন করে একজন producer বা উৎপাদনকারী কিংবা প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করছে অনেক কিছু। উৎপাদনকে সামনে রেখে একজন উৎপাদনকারী বা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইসলাম কিছু মূল্যবোধ নির্ধারণ করে দিয়েছে।
শুধু হালাল পণ্য উৎপাদন করা : মানুষের জীবন চাহিদার আলোকে উৎপাদনকারী নানা কিছু উৎপাদন করে আসছে। হয়তো পৃথিবী টিকে থাকার সময় পর্যন্ত করবে। প্রয়োজন সামনে রেখে একজন উৎপাদনকারীকে ইসলাম বলে-‘হালাল পণ্য উৎপাদন করতে।’ হালাল পণ্য উৎপাদনে আছে খোদায়ি সন্তুষ্টি। মানুষের দেহের উপকার, সুস্থতা, মানসিকতা ভালো থাকা নির্ভর করে হালাল পণ্য গ্রহণ ও আহারের ওপর। হালাল পণ্য সুন্দর আলোকিত ও আলোড়িত পৃথিবী উপহার দিতে পারে। পক্ষান্তরে হারাম পণ্য মানুষের মনমানসিকতা নষ্ট করে মানবতাকে কলুষিত ও বিবর্জিত করে। হালাল পণ্য আহার ও উৎপাদন করতে মহান আল্লাহ নির্দেশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা পবিত্র বস্তুসামগ্রী আহার করো। যেগুলো আমি তোমাদের রুজি হিসেবে দান করেছি। এবং শুকরিয়া আদায় করো আল্লাহর, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে থাকো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭২ )
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হালাল খাদ্য খেয়ে জীবন যাপন করবে, সুন্নত অনুযায়ী আমল করবে এবং কোনো মানুষকে কষ্ট দিবে না, সে জান্নাতি হবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৬৬৯)
উপকারী ও স্বাস্থ্যকর পণ্য উৎপাদন করতে হবে : মানবজাতির স্বাস্থ্য সুস্থতার ওপর নির্ভর করে ভালোভাবে বেঁচে থাকা। মানুষের উপকারে এগিয়ে আসা। আল্লাহর ইবাদতে দীর্ঘ প্রহর ধরে একান্ত নিমগ্ন থাকা। এবং পৃথিবীর জীবনে সমাজ ও রাষ্ট্রের সফল উদ্যোগী, সুনাগরিক হওয়া। শরীর সুস্থ থাকলে মানবিক গুণাবলিতে উৎকর্ষ সাধন করা যায়। অসাধ্যকে সাধন এবং দেশের জন্য দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়া যায়। জাতি, দেশ ও দেশের মানুষকে ভালো রাখতে এবং তাদের সৃজনে নির্মাণে মহীয়ান ও বলিয়ান করতে হলে পণ্য উৎপাদন করতে হবে উপকারী ও স্বাস্থ্যকর। ক্ষতিকর ও অস্বস্তিকর পণ্য উৎপাদন না করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আগামীর স্বপ্ন নির্মাণ করতে হবে। তাহলে দুনিয়ার জীবন হবে প্রশংসিত ও পুণ্যের। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম যদি বৃক্ষ রোপণ কিংবা ফসল উৎপাদন করে আর তা থেকে পাখি কিংবা মানুষ অথবা চতুষ্পদ জন্তু কিংবা পাখি কিছু খায় তাহলে তা তার পক্ষ থেকে সদকা হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৮৬৫)
আরেক হাদিসে বিধৃত হয়েছে, আবু জার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিবসে তিন শ্রেণির লোকের প্রতি ভ্রূক্ষেপ করবেন না। উপরন্তু তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি।’
আমরা প্রশ্ন করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এরা কারা? এরা তো ব্যর্থ ও ধ্বংস হলো।’ তিনি বলেন, ‘(তারা হলো) উপকার করার পর তার খোটাদানকারী, পায়ের গোড়ালির নিচে কাপড় পরিধানকারী এবং নিজের পণ্যদ্রব্য মিথ্যা শপথ করে বিক্রয়কারী।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১২১১)
উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মৌলিক প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিতে হবে : সাধারণ মানুষকে উপেক্ষা করে দেশ চলতে পারে না। উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মৌলিক প্রয়োজন উপেক্ষা করে সংখ্যালঘিষ্ট জনগণের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। পবিত্র কোরআনের আদেশ-নিষেধ ও বিধিবিধান মানুষের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। কোনো বিশেষ জাতি বা গোষ্ঠী কিংবা গোত্রকে কেন্দ্র করে এসব বিধান দেওয়া হয়নি। ইসলামে সব মানুষ সমান। সুতরাং সাধারণ মানুষের প্রতি দৃষ্টি রেখে উৎপাদন করতে হবে।
উৎপাদন উপাদান, উৎপাদিত পণ্য ও উৎপাদন প্রসেস পরিবেশবান্ধব হতে হবে : পরিবেশ আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। সুষ্ঠু সুন্দর জীবন দান করে। প্রাণে প্রাণ সঞ্চার করে। হৃদয়কে কোমল ও নির্মল করে। মনমেজাজকে ফুরফুরে ও জিইয়ে রাখে। স্বচ্ছ শোভন পরিবেশে জীবন ধারণের স্বাদই ভিন্ন আমেজের। পরিবেশ সুচারু ও নির্মল থাকলে দেশ-জাতি সর্বোপরি সবাই ভালো থাকে। আল্লাহ তাআলা পরিবেশ উপস্থিত ভূমির বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘তাদের জন্য একটি নিদর্শন মৃতভূমি, আমি একে সজ্জীবিত করি এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তা তারা ভক্ষণ করে। আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর এবং প্রবাহিত ঝরনা, যাতে তারা ফল পায়।’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৩৩)
কিন্তু আজকাল কিছু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের চারপাশের প্রতিবেশ নষ্ট করে তুলছে। পরিবেশ দূষিত করছে। নির্মল পরিবেশের প্রধান উপকরণ বৃক্ষকে জালিয়ে ভস্ম ও লতাপাতা শূন্য মরুভূমি বানিয়ে ফেলছে। নদীর পানিতে আবর্জনা পয়মাল ফেলে দূষিত ও ব্যবহার অনোপযোগী করে তুলছে, যার ফলে জগতের শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য মানুষ দুর্যোগ ও বিপন্নতায় ভুগছে। মহানবী (সা.) পানিতে আবর্জনা, মলমূত্র ও বর্জ্য ত্যাগ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা লানত আনয়নকারী তিন ধরনের কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখো। তা হলো, পানির উৎস, রাস্তা-ঘাটে ও বৃক্ষের ছায়ায় মলমূত্র ত্যাগ করা।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৪ )
ইসলামে আবদ্ধ কম পানিতে প্রস্রাব-পায়খানা করা নিষিদ্ধ। সুতরাং উৎপাদনের মাধ্যমে পরিবেশের কোনো ক্ষতি সাধন করা যাবে না।
শরিয়তের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ পণ্য উৎপাদন করতে হবে : শরিয়তে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ কোনো উৎপাদন করা যাবে না। মাকাসিদে শরিয়ার দিকগুলো হলো—ক. মানুষের জীবন ও পরবর্তী প্রজন্ম রক্ষা। খ. মানুষের দ্বিন বা ধর্মবিশ্বাস রক্ষা। গ. মানুষের বুদ্ধি-বিবেক রক্ষা। ঘ. মানুষের সম্মান-মর্যাদা রক্ষা। ঙ. মানুষের সম্পদ রক্ষা। ইসলাম মানুষকে উৎপাদনকারী হতে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করে। তাকে সত্ভাবে উৎপাদনে স্বাক্ষর রেখে জান্নাতে আসার আগাম সুসংবাদ শুনিয়ে দেয়।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী কারাগারে
- পাটগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- বোরো মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ভ্যানামি চিংড়ির পোনা আমদানির অনুমোদন দিল সরকার
- লালমনিরহাট জেলা সমিতি রংপুরের উদ্যোগে ইফতার ও মতবিনিময়
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন শাজাহান খান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা নিয়ে যা জানা গেল
- বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই ব্যবস্থা: আইজিপি
- ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু নিহত
- বেরোবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, থানায় জিডি
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শ্যামল জয়ী
- সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে গাড়ি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- হাতীবান্ধায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে মারধর
- আইপিএলে পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে জোচ্চুরির অভিযোগ!