• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দাঁতের সেবা-যত্নে মেসওয়াক ও ইসলাম

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৮  

মানবদেহের অন্যতম নেয়ামত দাঁত। মহান আল্লাহর দেয়া এক মূল্যবান সম্পদ। দাঁতের যত্নের পরিচর্যায়ও রয়েছে ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা।

 

1.দাঁতের সেবা-যত্নে মেসওয়াক ও ইসলাম

দাঁতের পরিচর্যায় একদিকে যেমন শারীরিক উপকার রয়েছে অপরদিকে রয়েছে পরকালীন প্রতিদানও। দাঁতের পরিচর্যা না হলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। সামাজিক চলাফেরা ও আচার ব্যবহারও মানুষ কষ্ট পায়। তাই তাদের পরিচর্যায় উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দাঁত:

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে ২০টি দুধের দাঁত উঠে, আর ৩২টি স্থায়ী দাঁত ওঠে। মোটামুটি ৬ থেকে ৭ বছর বয়স থেকে দুধের দাঁত পড়ে স্থায়ী দাঁত উঠতে থাকে। মোটামুটি ১০ থেকে ১১ বছর বয়সের মধ্যে ২০টি দুধের দাঁতের পরিবর্তে ২৪টি স্থায়ী দাঁত ওঠে যায়। আমাদের দুই চোয়ালেরই সবচেয়ে শেষের দাঁতগুলো আক্কেল দাঁত এবং এগুলো সব থেকে শেষে ওঠে (১৭ থেকে ২১ বছর বয়সে)।

মহান আল্লাহ তায়ালার দেয়া এই অমূল্য সম্পদ দাঁত আমাদের জীবনে কতটুকু প্রয়োজন তা কমবেশি আমরা সবাই-ই উপলব্ধি করতে পারি। বিশেষত যারা বৃদ্ধ বয়সে দাঁত খুইয়েছেন অথবা যাদের দাঁতে পোকা ধরে সব সময় যন্ত্রণা দেয় তাদের এ অমূল্য রতন হারিয়ে আফসোসের সীমা থাকে না। তাই তো বাগধারায় বলা হয়ে থাকে, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝ। কিন্তু ক’জনইবা এর অর্থ বুঝেন? এমন অনেকেই আছেন যারা দাঁত না মেজেই পানাহার শুরু করেন। যদিও কথা ছিল দাঁত মাজার মধ্য দিয়ে সকাল শুরু হওয়ার।

দাঁত পরিচর্যার পরিসংখ্যান:

পুরো পৃথিবীতে যেখানে ৬০০ কোটি মানুষ, সেখানে দাঁত মাজেন মাত্র সাড়ে তিনশো কোটি মানুষ। অথচ সুস্থভাবে বাঁচতে হলে নিয়মিত দাঁত মাজা একটি অপরিহার্য বিষয়। কেননা, নিয়মিত দাঁত না মাজলে মুখের অভ্যন্তরে তৈরি হয় ব্যাকটেরিয়া। আর সেই ব্যাকটেরিয়া শরীরের টকাইন রক্তের মাধ্যমে করনারি ধমনীতে গিয়ে বকেজ তৈরি করে। যা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অন্যতম কারণ। এজন্যই কল্যাণময় ধর্ম ইসলামে দাঁত মাজার জন্য যেমন গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তেমনি দাঁতের সুরক্ষায় বিশেষ হিকমাহ রেখেছেন। এই যেমন গোসল ও ওজুর শুরুতে কুলি করা। কুলির দ্বারা দাঁতের মধ্যকার খানা ঢুকে থাকা কণা মুখ হতে বের হয়ে যায়। এতে মুখ পরিষ্কার হয়, যা দাঁতের রোগ থেকে মুক্ত করে, চোয়াল মজবুত হয় এবং দাঁতের মধ্যে উজ্জ্বলতা সৃষ্টি হয়, রুজি বেড়ে যায় এবং মানুষ টনসিলের রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে। (পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে মুহাম্মাদ (সা.): ১১২)।

নবীজী (সা.) এর দৃষ্টিতে দাঁতের পরিচর্যা:

তাছাড়া অজুর সময় তিনবার কুলি করার দ্বারা গোনাহও ঝরে যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যখন কোনো বান্দা ওজু করার সময় কুলি করে তখন তার মুখের সব গোনাহ ঝরে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৫/২৬৩)।

সুতরাং সুস্থ সবল দাঁত এবং অন্যান্য রোগ থেকে বেঁচে থাকতে নিয়মিত দাঁত মাজার বিকল্প নেই। এখন কথা হচ্ছে, কি দিয়ে দাঁত মাজবেন? দাঁত মাজার জন্য বহুল প্রচলিত দু’টি মাধ্যম হলো ব্রাশ ও মেসওয়াক। তো আপনি কোনটি ব্যবহার করবেন? ব্রাশ না মেসওয়াক? আসুন জেনে নিই, দাঁতের যত্নে কোনটি বেশি উপকারী।

ডেন্টিস্টরা বলেন, ব্রাশের মাধ্যমে দাঁত মাজা যদিওবা আধুনিকতার অনুসরণ, তথাপি তা অনেক সময়ই ভুল ব্যবহারে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই যেমন, দীর্ঘদিন একই ব্রাশ ব্যবহার করলে ব্রাশে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দাঁত ও মাঢ়িতে প্রদাহের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার কখনো কখনো জোরে চাপ পরার কারণে দাঁতের এনামেলের আস্তর ক্ষয় হয়ে দাঁতের গোড়ার সংবেদনশীলতা বাড়ায়।

অপরদিকে ঐতিহ্যের মহিমায় সমুন্নত সুন্নত মেসওয়াকে রয়েছে অনন্য উপকারিতা। বিভিন্ন গাছের ডালে তৈরি এই মিসওয়াকে রয়েছে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান। এই যেমন, ট্রাইমিথাইল অ্যামিন, সালভাডোরাইন, অ্যালকালয়েড, ফ্লোরাইড, সিলিকা, সালফার, ভিটামিন সি, ফ্লেভোনয়েডস এবং স্টেরলস পদার্থ। তাছাড়া মেসওয়াকে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। যা শরীরের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়।

মেসওয়াকের আশগুলো খুব নরম এবং মসৃণ হওয়ায় দাঁতের জন্য তা বেশ আরামদায়কও। নিয়মিত মেসওয়াক করলে মুখের ভেতর সৃষ্ট হওয়া ক্ষত বা ঘা দূর দূর হয়। এর আরেকটি উপকার হলো মুখের দূর্গন্ধ দূর করা। এতো গেলো বিজ্ঞানের থিওরি। এবার আসুন দেখি মেসওয়াকের গুরুত্বে ইসলাম কী বলে। মেসওয়াক রাসূল (সা.) এর একটি অনন্য সুন্নাহ। রাসূল (সা.) আজীবন এটিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এমনকি তিনি ইন্তেকালের পূর্বেও মেসওয়াক করেছিলেন।

ইসলামের দৃষ্টিতে মেসওয়াক:

ইসলামের দৃষ্টিতে মেসওয়াক যে কতোটা গুরুত্ববহ তা বুঝে আসে প্রত্যেকটি হাদিসের কিতাবে মেসওয়াক নামক স্বতন্ত্র অধ্যায় দেখেও। আর স্বয়ং রাসূল (সা.) তো বলেই গেছেন, ‘আমার উম্মাতের ওপর যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে তাদের প্রত্যেক সালাতের সময় মেসওয়াক করার নির্দেশ করতাম।’ (বুখারি: ৮৮৭, মুসলিম: ৫৮৯)।

মেসওয়াকের গুরুত্ব তুলে ধরে অন্য হাদিসে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন, ‘কখনো এমন হয়নি যে, জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসেছেন; অথচ আমাকে মেসওয়াক করতে বলেননি। এতে আমার আশংকা হতো মেসওয়াকের কারণে আমার মুখে অগ্রভাগ ছিন্ন-ভিন্ন করে না ফেলি।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত)।

এছাড়াও অন্য হাদিসে বলেন, ‘মেসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়।’ (বুখারি, মিশকাত)

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেসওয়াক করার গুরুত্ব সম্পর্কে বর্ণনা করেন, ‘মেসওয়াকবিহীন নামাজের চেয়ে মেসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, তাতে সত্তর গুণ বেশি ফজিলত রয়েছে।’ (বায়হাকি)

মেসওয়াকের উপকারিতা:

আল্লামা ইবনে হাজার (রহ.) মোনাব্বেহাত কিতাবে মেসওয়াকের বিশটি উপকারিতা উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে সর্বনিম্ন উপাকারিতা হলো ময়লা দূর করা, আর সর্বোচ্চ উপকারিতা হলো মৃত্যুর সময় কালেমা স্মরণ হওয়া। এজন্যই হজরত আবু দারদা (রা.) বলেন, তোমরা নিজেদের জন্য মেসওয়াক করা অপরিহার্য করে নাও এবং এ ব্যাপারে উদাসীন হয়ো না। কেননা মিসওয়াকে রয়েছে চব্বিশটি উপকারিতা।

তার সবচেয়ে বড় ১০টি উপকার হল, (১) মেসওয়াক করলে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি হন (২) নামাজের সওয়াব সত্তর গুণ বৃদ্ধি পায় (কোনো কোনো হাদীসে সত্তর ও কোনো হাদীসে সাতাত্তর বলা হয়েছে)। (৩) স্বচ্ছলতা আসে। (৪) মুখ সুঘ্রাণ হয় (৫) দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়। (৬) মাথা ব্যথা সেরে যায়। (৭) চোয়ালের ব্যথা দূর হয়। (৮) ফেরেশতাগণ মোসাফাহা করেন। (৯) চেহারা উজ্জ্বল হয়। (১০) দাঁত উজ্জ্বল হয়। নেহায়াতুল আমল কিতাবে আছে, মেসওয়াকের ৭২টি উপকারিতা রয়েছে।

আল্লামা তাহতাবী (রহ.) ‘মারাকিউল ফালাহে’র টিকার মধ্যে মেসওয়াকের উপকারিতা বর্ণনা প্রসঙ্গে লিখেছেন, ইমামরা মেসওয়াকের যে সমস্ত ফজিলত হজরত আলী (রা.), হজরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) ও হজরত আতা (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন তা হলো, তোমরা অবশ্যই মেসওয়াক করবে। এর ব্যাপারে কখনো উদাসীন হবে না এবং নিয়মিত মেসওয়াক করবে। কেননা মেসওয়াক করলে, (১) আল্লাহর সন্তুষ্টির ওয়াদা রয়েছে। (২) নামাজের সাওয়াব নিরানব্বই অথবা চারশত গুণ বেড়ে যায়। (৩) নিয়মিত মেসওয়াক করার ফলে সচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়। (৪) জীবিকা নির্বাহ সহজ হয়ে যায়। (৫) মুখ পরিষ্কার হয়। (৬) মাড়ি ব্যথা ও মাথার সর্বপ্রকার রোগ সেরে যায়। (৭) মাথা ব্যথা ও মাথার সর্বপ্রকার রোগ সেরে যায়। (৮) কোনো নিশ্চল রগ নড়াচড়া করে না এবং নড়াচড়াকারী কোনো রগ নিশ্চল হয় না। (৯) কফ দূর হয়। (১০) দাঁত শক্ত হয়। (১১) দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার হয়। (১২) পাকস্থলী ঠিক হয়। (১৩) শরীর শক্তিশালী হয়। (১৪) মানুষের বাকপটুতা মুখস্ত শক্তি ও জ্ঞান বাড়ে। (১৫) অন্তর পবিত্র হয়। (১৬) পুণ্য বেড়ে যায়। (১৭) ফেরেশতারা খুশি হন। (১৮) চেহারার জ্যোতির কারণে তার সঙ্গে ফেরেশতারা মোছাফা করেন। (১৯) যখন সে মসজিদ থেকে বের হয়, তখন ফেরেশতারা তার পেছনে পেছনে চলে। (২০) নবী ও রাসূলগণ তার জন্য ক্ষমা পার্থনা করেন। (২১) মেসওয়াক শয়তানকে অসন্তুষ্ট করে ও তাকে তাড়িয়ে দেয়। (২২) পাকস্থলী পরিস্কার করে। (২৩) খাদ্য হজম করে। (২৪) অধিক সন্তান জন্মায়। (২৫) চুলের ন্যায় সরু পুলসেরাত বিজলীর ন্যায় পার করে দেবে। (২৬) বার্ধক্য পিছিয়ে দেয়। (২৭) আমলনামা ডান হাতে দেবে। (২৮) আল্লাহর ইবাদত করার জন্যে শরীরে শক্তি দান করে। (২৯) শরীর থেকে উষ্ণতা দূর করে। (ইষৎ সংক্ষিপ্ত)।

এছাড়াও মেসওয়াকে টুথপেস্টের প্রয়োজন হয় না এবং তা সহজেই সঙ্গে রাখা যায়। ফলে যখনই কোনো খাবার গ্রহণ করা হয়, তখনই দাঁত পরিস্কারে এটি ব্যবহার করা যায়। ব্রাশ করার মধ্যেও যেকোনো উপকার নেই, তা কিন্তু না। উপকার অবশ্যয়ই আছে। তবে মেসওয়াক অপেক্ষা কম। তাছাড়া ব্রাশের মাধ্যমে দাঁত পরিস্কারের সুন্নাতটুকু আদায় হলেও নবীজি (সা.) এর সুন্নাহের অনুসরণ হয় না। তারপরও যারা দাঁত মাজায় ব্রাশ ব্যবহারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তারা ব্রাশ ব্যবহার করুন, কোনো বাধা নেই। তবে ব্রাশ ব্যবহারে সঠিক নিয়মের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। আর পাঁচ ওয়াক্তের নামাজের আগে অবশ্যই মেসওয়াক ব্যবহার করুন। এতে দাঁতের যেমন যত্ন হবে, তেমনি পরকালের পূণ্যও হবে।

মেসওয়াকের নিয়ম:

মেসওয়াক শুরু করার সময় বিসমিল্লহ বলে এই দোয়া পড়বে,

ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍَﻟﻠّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﺳِﻮَﺍﻛِﻲْ ﻫﺬَﺍ ﻣَﺤِﻴْﺼًﺎ ﻟِّﺬُﻧُﻮْﺑِﻲْ ﻭَﻣَﺮْﺿَﺎﺓً ﻟَّﻚَ ﻭَﺑَﻴِّﺾْ ﺑِﻪ ﻭَﺟْﻬِﻲْ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﻴّﻀْﺖَ ﺃَﺳْﻨَﺎﻧِﻲْ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মাজআল সেওয়াকি, হাযা মাহিসান লিযুনুবী, ওয়া মারাদতান লাকা, ওয়া বাইয়্যিজ বিহী ওয়াজহি কামা বাইয়াজতা আসনানী।

অর্থ: হে আল্লাহ, এই মেসওয়াক করাকে আমার পাপ মোচনকারী ও তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যম বানাও, আর আমার দাঁতগুলোকে যেমনি তুমি সুন্দর করেছ, তেমনি আমার চেহারাকেও উজ্জ্বল (সুন্দর) কর।

১. মুখের ডানদিক থেকে মেসওয়াক শুরু করা।

২. দাঁতের প্রস্থের দিক থেকে মেসওয়াক করা। অর্থাৎ দৈর্ঘ্যরে দিক থেকে (উপর-নিচে) নয়।

৩. ডান হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলী মেসওয়াকের নিচে রেখে আর তর্জনী, মধ্যমা ও শাহাদাত আঙ্গুল মেসওয়াকের ওপর রেখে বৃদ্ধাঙ্গুলীর পেট দ্বারা ভালভাবে ধরা।

 

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এ নিয়মটি বর্ণিত রয়েছে মেসওয়াকের উত্তম সময়-

১. ঘুম থেকে ওঠার পর মেসওয়াক করা।

২. ওজুতে কুলি করার আগে মেসওয়াক করা। অনেকে ওজুর শুরু করার আগে মেসওয়াক করার কথা বলেছেন।

৩. নামাজ আদায়ের আগে মেসওয়াক করা।

৪. কোরআন-হাদিস পড়ার আগে মেসওয়াক করা। কোরআন-হাদিস পড়ার আগে মেসওয়াক করাকে অনেকে মুস্তাহাব বলেছেন।

৫. মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের আগে মেওয়াক করা।

৬. কোনো বৈঠকে যাওয়ার আগে মেসওয়াক করা।

৭. ঘরে প্রবেশ করে মেসওয়াক করা।

৮. মুখে দুর্গন্ধ ছড়ালে মেসওয়াক করা।

৯. দাঁত হলুদ আবরণ বা ময়লাযুক্ত হলে মেসওয়াক করা।

১০. ক্ষুধা লাগলে মেসওয়াক করা।

১১. জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মেসওয়াক করা।

 

মেসওয়াক কেমন হবে?

মেসওয়াক এর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি খেয়ালা রাখা উত্তম। পীলু বা জয়তুন গাছের কাঁচা ডালের হওয়া, হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের মতো মোটা হওয়া, প্রথমে এক বিগত পরিমান হওয়া, নরম হওয়া, কম গিরা সম্পূর্ণ হওয়া। (রদ্দুল মুখতার)।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –