• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

গবেষণা : ধূমপায়ীরা বেশি শারীরিক ব্যথা অনুভব করে

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২০  

 

যারা ধূমপান করেন, এমনকি যারা আগে ধূমপান করতেন তারাও অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করেন বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
২ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিয়ে চালানো ইউসিএলের এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এর কারণ নিশ্চিতভাবে না জানলেও গবেষকরা ধারণা করছেন কোনো সময়ে নিয়মিত ধূমপান করার ফলে শরীরে পাকাপাকিভাবে পরিবর্তন আসতে পারে।
২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে বিবিসি’র একটি অনলাইন জরিপে অংশ নেয়া মানুষের তথ্য উপাত্ত দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গবেষণাটি। গবেষকদের একজন ডা:ওলগা পারস্কি গণমাধ্যমে বলেন, গবেষণার প্রধান আবিষ্কার হলো, সাবেক ধূমপায়ীরাও অপেক্ষাকৃত বেশি শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে জীবনযাপন করেন।

ধূমপানের সঙ্গে শারীরিক যন্ত্রণার সম্পর্ক কেন?

ধূমপানের সঙ্গে শারীরিক যন্ত্রণার কী সম্পর্ক সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত না বিজ্ঞানীরা। একটি ধারণা রয়েছে যে সিগারেটে যে কয়েক হাজার ধরণের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি টিস্যুর ক্ষতি করে - যার ফলে শরীরে ব্যথা তৈরি হয়।

আরেকটি ধারণা রয়েছে যে শরীরের হরমোনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে ধূমপান। তবে এমন সম্ভাবনাও থাকতে পারে যে ধূমপান আসলে ব্যথার কারণ নয়, উপসর্গ মাত্র। এরকম ধারণার কারণ হলো, বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিরা তীব্র ব্যথা বোধ করেন বা তাদের ধূমপানের সম্ভাবনা বেশি- গবেষণায় এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।


 
সুতরাং এমন হতেও পারে, যে ধরণের মানুষের ব্যথার কথা প্রকাশ করার সম্ভাবনা বেশি, সেই ধরণের মানুষের ধূমপায়ী হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে গবেষক ডা:পারস্কি বলছেন, শরীরে তীব্র ব্যথা এবং পিঠে ব্যথার সঙ্গে ধূমপানের সম্পর্ক আছে, গবেষণায় এর আগেও এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ধূমপান বিরোধী ক্যাম্পেইন গ্রুপ অ্যাশ'এর প্রধান নির্বাহী ডেবোরাহ আরনট বলেন, ১৯৫০ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় যে ধূমপানের সঙ্গে ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর গত কয়েকদশক যাবত হওয়া নানা গবেষণায় উঠে এসেছে যে, প্রায় সব ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে ধূমপান খারাপ অবস্থা হয়।

ক্যান্সার, হৃদরোগ ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ ছাড়াও অন্ধত্ব, বধিরতা, ডায়াবেটিস, স্মৃতিভ্রম এবং বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান। এছাড়াও অপারেশন হওয়ার পর ধূমপায়ীরা সেরে উঠতে অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি সময় নেয়। অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের অপারেশন সফল না হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –