• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

তিস্তার চরে সবুজের মাঝে কৃষকের স্বপ্ন   

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

শুষ্ক মৌসুম আসতে এখনো অনেক বাকি। মাত্র ২ মাসেই খরস্রোতা তিস্তা নদী এখন পানিশূন্য হয়ে বালুচরে পরিণত হয়েছে। নাব্য হারিয়ে তিস্তা এখন মৃতপ্রায়। সেই তিস্তার চর এখন ফসলের জমি। চারদিকে সবুজের হাতছানি। সবুজের মাঝে কৃষকের স্বপ্ন। তিস্তার জেগে ওঠা চরে ফসল ফলাতে ব্যস্ত কৃষক।

কৃষকেরা চাষ করছেন আলু, ভুট্টা, রসুন, গম, তামাক মিষ্টি কুমড়া, গাজর, পেঁয়াজসহ ১০ রকমের ফসল। বানের পানিতে সম্বল হারানো মানুষ এখন ঘুরে দাঁড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতি বছর তিস্তার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা চরে ফসল ফলানো শুরু করেন।

এদিকে তিস্তা নদী ভারতের মেখলিগঞ্জ হয়ে লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলার পশ্চিম দিকে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে প্রায় ১১২ কিলোমিটার পথ প্রবাহিত হয়ে তিস্তা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে যমুনার সঙ্গে মিশেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার গ্রামের কৃষক বাবুল বলেন, প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে তিস্তার পানি শুকিয়ে যায়। এতে তিস্তায় বড় বড় চর জেগে ওঠে। চরগুলোতে সাধারণ কৃষকরা ফসল ফলান। তিস্তাপাড়ের মানুষের একমাত্র সম্বল চরের জমিতে চাষাবাদ করে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানি এখন কমতে শুরু করছে। পানি কম থাকায় ব্যারাজের সব গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে উজানে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে।

লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, এবার তিস্তায় জেগে ওঠা চরে ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। তিস্তাপাড়ের কৃষকদের পরামর্শ দিতে পাঁচটি উপজেলা কৃষি উপসহকারী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –