প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন যারা

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন যারা
উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কে এস দাস লেনের রোজ গার্ডেনে। এরই মধ্যে পার হয়েছে ৭৩টি বছর। বর্তমানে দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন ৮ জন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ৯ জন। তাদের মধ্যে বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ নয়বার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তিনবার করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ দুইবার এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও আবদুল মালেক উকিল একবার করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আর সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন একবার নির্বাচিত হয়েছেন দলের আহ্বায়ক। এছাড়াও মহিউদ্দিন আহমেদ দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ৯ জন। সবচেয়ে বেশি চারবার করে হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিল্লুর রহমান। এছাড়া তাজউদ্দিন আহমেদ তিনবার, আবদুর রাজ্জাক ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও ওবায়দুল কাদের দুইবার করে, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, আবদুল জলিল একবার করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ২৫ জানুয়ারি দলের সভাপতি হন ও ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আট বছর পার্টি পরিচালনা করেন। দলের প্রথম প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন থেকে ১৯৫৬ সালের ২৭ জুলাই পর্যন্ত সাত বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই কমিটিতে শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় কাউন্সিলে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে তৃতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমান পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৬ সালের ২৭ জুলাই থেকে ১৯৫৭ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এক বছর দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগের চতুর্থ কাউন্সিলে মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে অনুষ্ঠিত দলের পঞ্চম কাউন্সিলে মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চতুর্থবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৬৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ কাউন্সিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৬ দফা সমর্থন করায় একটি ঐতিহাসিক ছিল। ঐ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে সপ্তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমদ যথাক্রমে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন।
১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের অষ্টম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাজউদ্দীন আহমদ যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে নবম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিল্লুর রহমান যথাক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭৪ সালের দশম কাউন্সিলে আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এএইচএম কামারুজ্জামান ও জিল্লুর রহমান। ১৯৭৭ সালে একাদশ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন দলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের দ্বাদশ কাউন্সিলে আবদুল মালেক উকিল ও আবদুর রাজ্জাক যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৮১ সালে ১৩ তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল কারণ প্রায় ৪,০০০ কাউন্সিলর ও ডেলিগেট শেখ হাসিনা প্রবাসে থাকাকালীন তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিলেন। আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আবদুর রাজ্জাক ১৯৮২ সালে পদ থেকে পদত্যাগ করেন ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন।
১৯৮৭ সালে ১৪তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে শেখ হাসিনা ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী যথাক্রমে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত এই অংশের ১৫তম কাউন্সিলে শেখ হাসিনা ও জিল্লুর রহমান যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত ১৬তম কাউন্সিলে শেখ হাসিনা ও জিল্লুর রহমান যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৭তম কাউন্সিল ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত হয়। এতে শেখ হাসিনা এবং আব্দুল জলিল যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালের ১৮তম কাউন্সিলে শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ১৯তম কাউন্সিলে শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উভয়ই যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ২০-২১ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২১তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের পুনর্নির্বাচিত হন।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- ‘১৮৬ মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়েছে’
- পেয়ারা চাষে লাখপতি পারভেজ
- রংপুরে বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি
- ‘শিশুদের মেধা বিকাশে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে হবে’
- পুকুরে নেমেই তলিয়ে গেল সোহান
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার
- মিষ্টির দাম কমেছে বলে ডায়াবেটিস বানানো যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১৪ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
- কাল থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- ‘আমাদের উদ্যোক্তাদের সফলতা দেখে অনেক দেশ অনুপ্রেরণা পায়’
- ‘সংকট সমাধানে আওয়ামী লীগ সরকার দিন-রাত কাজ করছে’
- সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন করতে সক্ষম: প্রধানমন্ত্রী
- স্বাস্থ্য বাজেট আরও একটু বাড়ালে ভালো হতো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- একদিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৩, হাসপাতালে ভর্তি ৯৭
- ‘বিদেশে পালিয়ে যাওয়া’ নিয়ে যা বললেন ডিবির হারুন
- লোডশেডিং হতে পারে আরও দুই সপ্তাহ : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- সুতি পোশাক ভালো রাখতে
- যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক: ১৪ দলীয় জোট
- প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম চার দিনেরবন্ধর ঘোষণা
- রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে এরদোয়ানের কুশল বিনিময়
- গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত
- বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ পাওয়া চা শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে: টিপু মুনশি
- রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জানালেন পরীমনি
- ই-বুক সহজলভ্য করা হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
- ৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে পরিবেশ মেলা
- শেয়ারবাজারে চলতি বছরের রের্কড লেনদেন
- ‘প্লাস্টিক দূষণ রোধে ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে’
- নতুন দুই মুখ নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- বিএনপির পালানোর অভ্যাস রয়েছে: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
- পেয়ারা চাষে লাখপতি পারভেজ
- দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে: রাষ্ট্রপতি
- আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে চিনির দাম বেড়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী
- বিশ্বনেতা শেখ হাসিনাকে নিয়ে একদিন গবেষণা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- মেঘের গর্জন হলে যে দোয়া পড়বেন
- জুলাইয়ে পরীক্ষামূলক শুরু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন
- এলডিসি উত্তোরণ সম্পর্কিত বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জের উপর কর্মশালা
- ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের উচিত শিক্ষা দিতে যুবলীগই যথেষ্ট’
- চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- পরকীয়া-ডিভোর্স, মিথিলার পর রহস্যময় ইঙ্গিত সৃজিতের
- `রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে`
- ইসলামে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জোর তাগিদ
- তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হলেন এরদোয়ান
- দুর্নীতি মামলায় আগাম জামিন পেলেন ইমরানের স্ত্রী
- নীলফামারীতে বিদ্যুতের মিটার বিস্ফোরণে পুড়ল ৬ পরিবারের ১১ ঘর
- বর্ষার আগে ফের তাপপ্রবাহের দাপট, থাকবে কয়দিন
- `দুর্ভোগ কমাতে হলে টেকনোলজি আরও আপডেট হতে হবে`
- পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগইন করা যাবে গুগল অ্যাকাউন্ট
- উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
- মাটির নিচে দেবে যাচ্ছে নিউইয়র্ক