• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শততম দিনে গাজা যুদ্ধ, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪  

টানা ১০০ দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। দীর্ঘ এই যুদ্ধে এরই মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের প্রায় ৭০ ভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরো ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

এই অবস্থায় বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব থেকে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে শনিবার অনুষ্ঠিত সমাবেশে ইসরায়েলের কট্টর মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা পাঠাতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে হাজারও জনগণ জড়ো হয়। ইসরায়েলের মিত্র এই দেশটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে।

কুয়ালালামপুর থেকে আল জাজিরার ফ্লোরেন্স লুই বলেছেন, আমরা এখানে এমন লোকদের সাথে কথা বলেছি যারা ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে বিক্ষোভে এসেছেন। এছাড়া লোকেরা প্ল্যাকার্ডও সাথে এনেছিলেন, যাতে লেখা ছিল: ‘গণহত্যা বন্ধ করুন’, সেইসাথে ‘শিশুদের বোমা মারা আত্মরক্ষা নয়’ বলেও লেখা ছিল।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসের বাইরেও হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে শনিবার বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের সময় তারা ইন্দোনেশিয়ান এবং ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ান এবং হাতে রাখা প্ল্যাকার্ডে ‘ইসরায়েলকে বয়কট কর’ এবং ‘এখনই যুদ্ধবিরতি কর’ লেখা ছিল।

এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেকেই গাজায় সংঘাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন। কারণ এই দেশটি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলকে হাজার হাজার টন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে, আর সেগুলোই কার্যত ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বোমাবর্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার কারণে এই প্রতিবাদ আরো জোরদার হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বয়কট, ডিভেস্টমেন্ট, স্যাংকশান আন্দোলনের নেতা রোশান দাদু বলেছেন, গাজার জন্য যুদ্ধবিরতি এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব।

এদিকে লন্ডন, প্যারিস, ভিয়েনা, বার্লিন, আম্মান এবং ওয়াশিংটন ডিসি-সহ বিশ্বের বহু দেশের রাজধানীতে বিশাল সমাবেশ হয়েছে।

লন্ডনে বিক্ষোভ-মিছিলে যোগদানকারী প্যালেস্টাইন ইয়ুথ মুভমেন্টের সদস্য জিনাইন হুরানি বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা গাজায় অবিচারের জন্য ক্ষুব্ধ এবং ফিলিস্তিনি অধিকারের জন্য বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –