• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অবকাঠামোগত উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে দেশ   

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

অবকাঠামোগত উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে দেশ                           
সেই ষাটের দশক থেকে দেশের মানুষ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা শুনে এলেও বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যুগে প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০১০ সালে। পাবনার ঈশ্বরদীতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে ২০২৪ সালে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে মতপার্থক্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন, তখন অনেকেই একে অবাস্তব বলে সমালোচনা করেছিলেন। দিনে দিনে সেই পদ্মা সেতু পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানির মতো বাংলাদেশের মানুষও যে মেট্রো রেলে চড়বে—সেই স্বপ্নও পূরণ হতে চলেছে। হেমায়েতপুর থেকে রাজধানীর আফতাবনগর, বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত পাতাল রেলের কাজ চলছে পুরোদমে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় যখন গভীর সমুদ্রবন্দরটি আলোর মুখ দেখেনি, তখন এর বিকল্প হিসেবে কক্সবাজারের মাতারবাড়ী এবং পটুয়াখালীর পায়রাতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বাস ও বিমানের বাইরে রেলপথেও ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কাজটি শুরু হয় বর্তমান সরকারের আমলে। নদীর নিচ দিয়ে টানেল বা সুড়ঙ্গপথ চট্টগ্রামের মানুষের দেখার সুযোগ হয়েছে শেখ হাসিনার বর্তমান আমলে। পুরো অবকাঠামো খাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে গত এক দশকে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর অর্থনীতিতে গতি আনতে মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে এসেছে অভূতপূর্ব উন্নতি। তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর অবকাঠামো উন্নয়নে নেওয়া হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। কৃষি, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, খাদ্য নিরাপত্তাসহ সার্বিক অর্থনীতিতে এখন সরব বিপ্লব। দেশের মানুষের একটি অংশের অর্ধাহার ও অনাহারকে বিদায় জানিয়ে এখন উন্নয়নের বাংলাদেশ। তলাবিহীন ঝুড়ির পরিবর্তে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশকে উন্নতির দ্বারপ্রান্তে নিতে একের পর এক মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছেন শেখ হাসিনা। ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে নেওয়া হয়েছে মেগা প্রকল্প। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ত্বরান্বিত হবে দেশের অর্থনীতি। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাড়বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও। অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছেন শেখ হাসিনা। হঠাৎ করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অর্থনীতির  স্থবিরতার মধ্যেও থেমে নেই পদ্মা সেতুর কাজ। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজও চলছে পুরোদমে। করোনার কারণে কিছু সময় বন্ধ থাকার পর সরকারের অন্য অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্পগুলোর কাজও ফের শুরু হচ্ছে।

অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে অবকাঠামো নির্মাণে জনগুরুত্বপূর্ণ ও মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দফায় দফায় ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ও সময়মতো শেষ হয়নি প্রকল্পগুলো। তবে শেষ হলে অর্থনীতিতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্য মেয়াদে পর্যালোচনা করতে হবে। বর্তমান সরকার বড় বড় প্রকল্প নেওয়ার ফলে বিদ্যুতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এখন চাহিদার প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। মেট্রো রেলের কাজ চলছে। এসব প্রকল্প শেষ হলে অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে।’
সড়ক ও যোগাযোগ

অর্থনীতির লাইফলাইন বলা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে। ১৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রকল্পটির কাজ শুরু হলেও দফায় দফায় সময় বাড়ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনায় চীনা কম্পানি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনের কাজ শেষ করে। যার ফলে মানুষ এখন কম সময়ে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে পারছে। আগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতুতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে কষ্ট পোহাতে হতো যাত্রীদের। শেষ পর্যন্ত জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মিত হয়েছে এই সরকারের সময়ে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বুলেট ট্রেনে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বর্তমান সরকার। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যেতে ঢাকা-মাওয়া চার লেনের সড়কটিও শেষ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়ক পাল্টে দিয়েছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও শেরপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি, পায়রা নদীর ওপর পায়রা সেতু, ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেন্ট, ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট, সাসেক সংযোগ সড়ক-২, এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ ও ঢাকা-খুলনা (এন-৮) মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক সড়কসহ) মাওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ পাল্টে দিয়েছে মানুষের জীবনধারা।
২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে আধুনিক, নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামোর ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। গত ১০ বছরের হিসাবে দেখা গেছে, জনগণের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে স্বস্তি আনতে ২৭৬ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে আরো ৩৪১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক হাজার ১৪০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ গুচ্ছ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত আট হাজার ৭০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে র‌্যাম্পসহ ৪৬.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের কাজ চলছে।

রেলপথ :
২০০৯ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার গুরুত্ব দেয় দীর্ঘদিনের অবহেলিত রেলপথে। ভারতের ঋণে আনা হয়েছে ইঞ্জিন, কোচ। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন রেলপথ। রেলপথ উন্নয়নে ২০১৬-২০৪৫ মেয়াদে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ বছর মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান নেওয়া হয়েছে। রেলপথ সম্প্রসারণ, নতুন রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কার, রেলপথকে ডুয়াল গেজে রূপান্তরকরণ, নতুন ও বন্ধ রেলস্টেশন চালু করা, নতুন ট্রেন চালু ও ট্রেনের সার্ভিস বৃদ্ধি করা এবং ট্রেনের কোচ সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৯০০ কিলোমিটার ডুয়াল গেজ ডাবল রেল ট্র্যাক নির্মাণ, এক হাজার ৫৮১ কিলোমিটার নতুন রেল ট্র্যাক নির্মাণ, এক হাজার ৫২৭ কিলোমিটার রেল ট্র্যাক পুনর্বাসন, ৩১টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ, ১০০টি যাত্রীবাহী কোচ পুনর্বাসন এবং ২২২টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কুমিল্লা বা লাকসাম হয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডাবল ট্র্যাক দ্রুতগতির রেললাইন নির্মাণ, ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত এবং সাতক্ষীরা থেকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ এবং ঢাকা শহরের চারদিকে বৃত্তাকার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

বিদ্যুৎ : 
‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ অঙ্গীকারকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎসহ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াট। দেশের ৯৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫১০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা। বর্তমানে ১৬ হাজার ৮৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। দুই হাজার ৭৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তিস্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন। তা ছাড়া ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে আরো ১৯ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

পায়রা, রামপাল, মাতারবাড়ী এলাকাকে পাওয়ার হাব হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, মাতারবাড়ীতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট, পায়রায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। মহেশখালীতে কয়লাভিত্তিক ১০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। ভারত থেকে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক ৬২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। আরো এক হাজার ২২১ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও গ্রিড সাবস্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানো, গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধি, বিতরণ লাইন বৃদ্ধি করে সামগ্রিক সিস্টেম লস কমানো হয়েছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্রুত কাজ এগিয়ে চলছে। গ্যাস সংকট মোকাবেলায় এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থলভাগ ও সমুদ্র এলাকায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি অনুসন্ধানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হযেছে। বর্তমানে গ্যাস উৎপাদন প্রায় দুই হাজার ৫২২ মিলিয়ন ঘটফুট। ২০২১ সালের মধ্যে বাপেক্স ১০৮টি কূপ খননের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২৯টি কূপ খনন সম্পন্ন করেছে। গ্যাসের অপচয় রোধ ও জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে ঢাকা মহানগরী ও চট্টগ্রাম এলাকায় দুই লাখ ৬০ হাজার পি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হয়েছে।

নৌপরিবহন : 
নদীমাতৃক দেশ হিসেবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে নৌপথকে গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। নৌদুর্ঘটনা হ্রাস ও নৌনিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি নৌপথের নাব্যতা বৃদ্ধি, নৌবন্দরগুলোর উন্নয়ন ও সমন্বিত ড্রেজিং কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথের মধ্যে ২০ হাজার ৪০০ কিলোমিটার হারিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খননের কাজ চলছে। এক হাজার ২৭০ কিলোমিটার উদ্ধার ও প্রায় তিন হাজার একর জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। নদীর তীরে ভূমি দখলমুক্ত রাখতে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ব্যাংক প্রকেটশনসহ ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌপথের ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও অন্যান্য নাব্যতা উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর পণ্য হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নতুন কনটেইনার টার্মিনাল, ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড, বে-টার্মিনাল, বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ ও জলযান সংগ্রহের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

আকাশপথের উন্নয়ন : 
দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতার মান ও পরিধি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ চলমান। কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বাগেরহাট জেলায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণসহ যশোর, সৈয়দপুর ও বরিশাল বিমানবন্দর এবং রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও নবরূপায়ণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –