• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

গ্রিড কোড মেনে সরবরাহ বিদ্যুৎ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৪  

গ্রিড কোডে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাজের পরিধি নির্দিষ্ট করা থাকে। একই সঙ্গে সঞ্চালন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত ফ্যাসিলিটিগুলোর (বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সঞ্চালন কোম্পানি, বিতরণ কোম্পানি ইত্যাদি) কর্মপ্রক্রিয়াও এতে নির্ধারণ করা হয়।

সঞ্চালন প্রক্রিয়াসহ গোটা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল ও নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি অনেক বিষয় (যেমন সঠিক সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি বা কত হার্টজ তরঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সচল থাকবে) তাও গ্রিড কোডে উল্লেখ করা থাকে। এ কারণে বিধিমালার শর্তগুলোর সামান্যতম লঙ্ঘনেও গ্রিড বিপর্যয়ের মতো বড় ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দেয়।

বর্তমানে গ্রিড কোড মেনে বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখাকেই বিদ্যুৎ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে গ্রিড কোড লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছেন। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য, সঞ্চালন লাইন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে বিতরণ পর্যন্ত স্তরে স্তরে এ কোডের শর্তগুলো পরিপালন করা হচ্ছে না। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের গোটা গ্রিড ব্যবস্থা। দেশে গত দেড় দশকে বড় ৫টি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারণ অনুসন্ধানে সঞ্চালন ও সরবরাহে গ্রিড কোড লঙ্ঘনের বিষয়টি উঠে এসেছে।

দেশে কয়েকটি জটিল ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির (আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল) কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে। আগামী বছর সঞ্চালন ব্যবস্থায় যুক্ত হতে পারে পাবনার রূপপুরে নির্মীয়মাণ ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্রিড কোড পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ করা অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যথায় তা বড় ধরনের বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা তাদের।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‌দেশে গ্রিড বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ট্রিপ করা (লোডের চাহিদা-সরবরাহের অসামঞ্জস্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়া)। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্রিড কোড অনুযায়ী যে প্রাইমারি কন্ট্রোল বা এফজিএমও (ফ্রি গভর্নর মোড অব অপারেশন) থাকা দরকার, সেটি নেই। এটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে লোড বাড়াতে-কমাতে পারে। বিদ্যুতের ক্রয় চুক্তিতেও (পিপিএ) বিষয়টির বাধ্যবাধকতা রাখা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে দু-একটি ছাড়া কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এ ধরনের প্রযুক্তি চালু নেই। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় এফজিএমও চালু আছে কিনা তা দেখভালের দায়িত্ব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)। কিন্তু সেটি করা হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এ ধরনের প্রযুক্তি চালু না থাকলে জরিমানা বা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। আমাদের দেশে তা হয় না। কারণ এখানে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সার্বক্ষণিক জ্বালানির নিশ্চয়তাও দিতে পারছে না। জ্বালানি সরবরাহ ঠিকমতো না হলেও এফজিএমও ঠিকমতো কার্যকর রাখা যায় না।

গ্রিড বিপর্যয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সঞ্চালন ব্যবস্থায় লোডের চাহিদা ও সরবরাহের অসামঞ্জস্যকে। পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সচল রয়েছে ১৫০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। গ্রিড কোড অনুযায়ী এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতিটিতেই এফজিএমও প্রযুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। দেশে সর্বশেষ গ্রিড কোড গেজেট আকারে প্রকাশ হয় গত ৩ মার্চ। এর আগে চালু ছিল গ্রিড কোড ২০১৯। নতুন ও পুরনো- দুটি গ্রিড কোডেই বলা আছে, স্বাভাবিক অবস্থায় উৎপাদনকারী ইউনিটে (বিদ্যুৎ কেন্দ্র) ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিতে সক্ষম স্পিড গভর্নিং সিস্টেম (গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা) ও এফজিএমও স্থাপন করা থাকবে।

প্রযুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে গ্রিডে বিপর্যয়ের ঝুঁকি বহুলাংশেই এড়ানো যেত বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। পিজিসিবি সূত্রমতে, সংস্থাটির উদ্যোগে ২০১৬ সালে ২৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রাইমারি কন্ট্রোল বা এফজিএমও চালু করা হয়েছিল। এফজিএমও সম্পূর্ণরূপে সচল রাখতে হলে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রেই তা একযোগে চালু রাখতে হবে। কিন্তু উল্লেখিত ২৮টি ছাড়া দেশের অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চালু করা যায়নি বলে স্থাপিতগুলোও এখন আর কার্যকর নেই। 

সংস্থাটির কর্মকর্তারা মনে করছেন, আগামী বছর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসার আগেই সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রাইমারি কন্ট্রোল বা এফজিএমও ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। রূপপুরের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়ার পর পাওয়ার সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সিতে তারতম্য ঘটলে বা অন্য কোনো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ট্রিপ করলে তার চাপ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর পড়তে পারে। 

দেশে সর্বশেষ গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর। এর প্রধান কারণ হিসেবে ন্যাশনাল লোড ডেসপাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) নির্দেশনা না মানার কথা উল্লেখ করে পিজিসিবির তদন্ত কমিটি। প্রসঙ্গত, এনএলডিসির মাধ্যমে সঞ্চালন ব্যবস্থায় লোডের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে পিজিসিবি। গ্রিড কোডে ৫০ হার্টজকে স্বাভাবিক ফ্রিকোয়েন্সি হিসেবে উল্লেখ করে তা ৪৯ দশমিক ৫ থেকে ৫০ দশমিক ৫ হার্টজের মধ্যে নিয়ন্ত্রণের কথা বলা রয়েছে। তবে দেশে সঞ্চালন ব্যবস্থায় ৪৭ দশমিক ৫ থেকে ৫২ হার্টজের মধ্যে ফ্রিকোয়েন্সির ওঠানামা স্বাভাবিক ধরে নেয়া হয়। বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বড় ব্যবধান তৈরি হওয়ার ধারাবাহিকতায় ফ্রিকোয়েন্সি উল্লেখিত সীমার নিচে নেমে বা ওপরে উঠে গেলে গ্রিড বিপর্যয় হতে পারে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় গ্রিড কোডের পরিপালন নিশ্চিতের দায়িত্ব পিজিসিবির। সংস্থাটির মধ্যেও এ দায়িত্ব পালনে গাফিলতি রয়েছে অভিযোগ তুলে পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বি ডি রহমত উল্লাহ বলেন, বেসরকারি এমন কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে যা অত্যন্ত নিম্নমানের। এনএলডিসি কোনোভাবেই এসব কেন্দ্রের তথ্য সার্বক্ষণিকভাবে পাচ্ছে না। এসব কারণে গ্রিড ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে। কারণ ওখানে প্রচুর টাকা। নিয়মিত যে উপকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন সংস্কার করতে হবে তাতে কারো নজর নেই। কারণ ওখানে টাকাও নেই তেমন। ট্রিপ হবেই, সেটাকে প্রতিরোধ এবং নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে ঠেকিয়ে রাখাই হলো মূল কথা। এজন্য এনএলডিসিকে আধুনিকীকরণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে গত বছর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইনস্টিটিউট অব এনার্জি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (আইইএসডি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘স্টাডি অন গ্রিড স্ট্যাবলিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে গ্রিড বিপর্যয়ের তিনটি কারণকে তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, গ্রিড বিপর্যয়ে প্রযুক্তিগত, পরিচালন ও নীতিগত দুর্বলতার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। গবেষণায় গ্রিডকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করে পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে স্ক্যাডা সিস্টেমের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়। 

দেশে বিভিন্ন সময় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান ও এ-সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটিতে কাজ করেছেন বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল হাসিব চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ মোটা দাগে তিনটি। পলিসি, পরিচালন ও প্রযুক্তিগত দুর্বলতা। বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যায়ে হাজার হাজার সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন এবং সাবস্টেশন ও সার্কিট সংযুক্ত। ফলে কোথাও কোনো ট্রিপ হলে তার প্রভাব সামগ্রিকভাবে গ্রিডের ওপর পড়ে, এতে গ্রিড বিপর্যয় হতে পারে।

গ্রিড কোড লঙ্ঘনের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকির বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছেন বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারাও। গ্রিড বিপর্যয়, উন্নয়ন ও স্থায়িত্ব নিয়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও বিতরণ কোম্পানিগুলোকে নিয়ে ধাপে ধাপে বৈঠক করেছেন তারা। 

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের সরবরাহ, বিদ্যুতের চাহিদা, সেচের সময়কাল, লোডশেডিং ও গ্রিড ব্যবস্থাপনার বিষয়টি উঠে আসে। রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে ১৩ মার্চ বিদ্যুৎ ভবনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহে গ্রিড ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন দুটি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অতীতে গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনাগুলোর কারণ অনুসন্ধান করে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি বেশকিছু স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ দিয়েছে। স্বল্পমেয়াদি সুপারিশগুলো বিদ্যুৎ বিভাগ এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করেছে। কাজ চলছে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে। রমজান ও চলতি সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার পাশাপাশি গ্রিড ব্যবস্থাপনা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে লোডের চাহিদা ও সরবরাহে তারতম্যের ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ বা গ্রিড বিপর্যয়ের মতো ঝুঁকি তৈরি হলে তা মোকাবিলার সম্ভাব্য পদ্ধতিগুলো। 

ঝুঁকি মোকাবিলায় বিদ্যুৎ বিভাগ এখন স্মার্ট গ্রিড বিনির্মাণে জোর দিচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুতের নীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, দেশে স্মার্ট গ্রিড বিনির্মাণে কাজ চলছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে বাজেট ছিল মূলত উৎপাদনকেন্দ্রিক। ২০১৯ সাল থেকে বর্তমান সময়ে বিদ্যুতের যে বাজেট হয়েছে, সেখানে বরাবরই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থাকে উন্নীত করা। রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য অনেকটাই ‘শাপে বর’ হওয়ার মতো। অর্থাৎ এটি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় আশীর্বাদস্বরূপ। রূপপুর আসাতে আমাদের সঞ্চালন খাত অর্থাৎ গ্রিডে কী ধরনের উন্নয়ন প্রয়োজন সেটি চিহ্নিত করে আমরা কাজ করছি।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –