• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ২ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি       

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ-সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বর্তমান বিনিময়মূল্য হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৩০ পয়সা) টাকার অংকে এই অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে এই অর্থ দেবে এডিবি। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত সংস্থাটির সদরদপ্তর থেকে গতকাল শনিবার এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচির আওতায় এডিবি বাংলাদেশকে মোট ৫০ কোটি ডলার ঋণ-সহায়তা দেবে। এর প্রথম কিস্তির ২৫ কোটি ডলার শনিবার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বাকি ২৫ কোটি ডলার আগামী বছরের প্রথম দিকে অনুমোদন করা হবে বলে এডিবি ঢাকা কার্যালয়ের বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দ বর নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করেনা মহামারির ক্ষতি দ্রুত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতেই এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো মহামারির ক্ষতি যত দ্রুত সম্ভব কাটিয়ে ওঠা। এতে বলা হয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ক্ষুদ্র-উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার মাধ্যমেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করতে হবে। তাহলেই টেকসই পুনরুদ্ধার নিশ্চিত হবে।

এডিবি বলেছে, ‘এই কর্মসূচি এমনভাবে পরিচালিত হবে, যাতে বাংলাদেশের মানুষের ব্যয় বৃদ্ধির ক্ষমতা বাড়ে। ক্ষুদ্র, কুটির এবং মাঝারি শিল্পখাতে (সিএমএসএমই) করোনার যে ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত পুনরুদ্ধার হয়।’

সংস্থাটি বলেছে, এ সহায়তা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং অবকাঠামো খাতে সরকারের বিনিয়োগ বাড়াবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনবে। সর্বোপরি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম বেগবান করতে সহায়তা করবে।
এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ সহায়তার আওতায় যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে, তা সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল লক্ষ্যগুলোর সাথেও সম্পর্কিত। সরকার ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা করছে, তা পূরণেও সহায়তা করবে।’

এডিবির প্রিন্সিপাল ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট শ্রীনিবাসন জনার্দনম বলেন, ‘এ কর্মসূচি আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো খাতে সরকারের ব্যয় বাড়াবে।বিনিয়োগ বাড়াতে অবদান রাখবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ পেতে সহায়তা করবে।’

এডিবি আগামী ৫ বছরে (২০২১-২০২৫) বাংলাদেশকে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে। বর্তমান বিনিময় মূল্য হিসাবে টাকার অঙ্কে এ অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ২ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। গত মঙ্গলবার নতুন এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্যাটেজি (সিপিএস) ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যে ঋণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা নতুন সিপিএসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই দেয়া হচ্ছে।

এ ​নিয়ে এডিবি ঢাকা কার্যালয়ের বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দ বর বলেন, গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকেই এডিবি সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, দক্ষতা উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন এবং আর্থিক খাতসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে এডিবি তার কর্মসূচির অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমন্বয় করেছে।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের জুনে সামাজিক সুরক্ষার জন্য ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেয় এডিবি। সম্প্রতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কিনতে দেয়া হয় ৯৪ কোটি ডলার। এ ছাড়া করোনা মোকাবিলার জন্য আরও কয়েকটি প্রকল্পে এডিবি ঋণ সহায়তা দিয়েছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –