• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

২০২২ সালের মধ্যে দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২১  

স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, আমরা ২০২২ সালের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।

অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৪ কোটি টিকা ডোজ কিনতে যাচ্ছে। অন্যদিকে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী মাসগুলোতে প্রয়োজনীয় বাকি টিকা সংগ্রহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ডিজিএইচএস’র প্রধান বলেন, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে এরই মধ্যে ক্রয় প্রক্রিয়া চলছে।

অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, চীনের সিনোফার্ম থেকে তিন কোটি, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এক কোটি, সাত কোটি জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ৬৫ লাখ এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে ৩০ লাখ টিকা পাওয়ার চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ডিজিএইচএস-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৬১ লাখ কোভিড-১৯ টিকা সংগ্রহ করেছে এবং ২৫ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৭৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছে এবং ৪৩ লাখেরও বেশি লোক টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে কোর্সটি শেষ করেছে। এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১৮ লাখ।

ড. আলম বলেন, টিকা গ্রহণের পর গ্রামাঞ্চলেও একটি পূর্ণ মাত্রায় টিকাকরণ প্রচারণা শুরু করা হবে এবং ‘আমরা খুব শিগগিরই এই টিকাগুলো পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

ডিজিএইচএস’র প্রধান বলেন, আমরা প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে টিকা দেব। ২০২২ সালের মধ্যে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দান অভিযান ত্বরান্বিত করতে প্রাপকদের নিবন্ধনের জন্য বিকল্প উপায় অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের মারাত্মক ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের নির্মম আক্রমণের প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষ টিকা প্রাপকদের বয়সসীমা ৩০ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করার একদিন পরে ডিজিএইচএস’র প্রধান এমন মন্তব্য করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন এবং আইসিটি বিভাগকে জাতীয় সুরক্ষা অ্যাপটি সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

৫৫ বছর বা এর বেশি বয়সী ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে টিকা পাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। টিকাকরণ প্রচারাভিযানটি এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি চালু করা হয়েছিল। এর পর তিন বার বয়সসীমা সংশোধন করা হয়।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযান শুরু হয় এক হাজার ৫৫টি মনোনীত হাসপাতাল থেকে টিকা গ্রহণের জন্য সব স্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা কমিটির (এনটিএসি) সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, প্রতি মাসে দেশের এক কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। যার অর্থ প্রতিদিন চার লাখ মানুষ টিকার সুবিধা পাবে।

অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বিভিন্ন সংস্থার টিকার নির্দিষ্ট কার্যকারিতার সময়কাল থাকায়, নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া শিথিল না করা হলে টিকাকরণ প্রচারাভিযান ফল দেবে না।

শহীদুল্লাহ বলেন, মহামারির সবচেয়ে খারাপ আক্রমণ সত্ত্বেও ভারত এখন পর্যন্ত ৪৩ কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছে। কারণ, তারা দ্রুত টিকা দেওয়ার অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, দ্রুত টিকাকরণ সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার উভয়েই হ্রাস করবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –