আন্দোলনে ব্যর্থ, নতুন কৌশলে বিএনপি

বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশের পর বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গাভাব তৈরি হলেও ১০ ডিসেম্বরের ব্যর্থতার পর তা হতাশায় রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ফলাফল শূন্য। এছাড়া ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি মনে করছে- গণমিছিলে তারা বড় ধরনের শোডাউন করবে। কিন্তু সেখানেও হতাশা। এ ধরনের গণমিছিল করে সরকারকে চাপে ফেলা তো দূরের কথা, দলটির নেতাদের মধ্যেই অস্বস্তি ও সংশয় রয়েছে।

জানা গেছে, নানা ব্যর্থতার পর সরকার উৎখাতের আন্দোলনে নতুন কি কর্মসূচি দেবে তা ঠিক করতে পারছে না দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে সাজানো হয়েছে নতুন অপকৌশল। কৌশলটি হচ্ছে- আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

সূত্র বলছে, বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো মেগা উন্নয়ন। সরকার গত ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছে তাতে জনগণ সন্তুষ্ট। এরকম উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে দেশপ্রেমিক নাগরিকরা চাইবেন আবারো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক। আর বিএনপিও ঠিক এই জায়গাটিকে টার্গেট করে সরকারকে কোণঠাসা করার কৌশল সাজিয়েছে। তারা চাইছে সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। উন্নয়ন নিয়ে মানুষের মনে নেতিবাচক প্রশ্ন সৃষ্টি করতে, তাহলেই আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করা যাবে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।

জানা গেছে, উন্নয়নবিরোধী অপপ্রচারের নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে তারা। মেট্রোরেলের ভাড়া অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক কম হলেও চালানো হচ্ছে মিথ্যা অপপ্রচার। বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, মেট্রোরেলের ভাড়া অনেক বেশি। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে, বাংলাদেশে মেট্রোরেলটি আসলে অপ্রয়োজনীয়। এভাবে একটি উন্নয়নবিরোধী অপপ্রচার তারা প্রবলভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পসহ একের পর এক মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাংলাদেশের মানচিত্র পাল্টে দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের একটি মডেল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর বিএনপি-জামায়াত জনগণকে তো কিছুই দিতে পারেনি উল্টো আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে, যা খুবই দুঃখজনক।