• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

​বিধবা নারীকে ধর্ষণ, এসআইকে গ্রেফতারের নির্দেশ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২২  

বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত পঞ্চগড়ের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ পরোয়ানা জারি করেন। জলিল পঞ্চগড় সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি ডায়েরি করেন। সেই ডায়েরি তদন্ত করতে গিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার এসআই আব্দুল জলিল বিধবা নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। এরপর তিনি বিয়ের ভুয়া কাবিন নামা করে ঐ নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে ঐ নারী  কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। 

আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রোববার (২৩ জানুয়ারি) আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং ঐ এসআই বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর আদালতে বাদী জানান, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে জলির তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে ভুয়া কাবিন নামা দিয়ে জলিল তাকে বিয়ে করেন। পরে তিনি সবকিছু অস্বীকার করেন। উল্টো জলিল আমাকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মেহেদি হাসান মিলন জানান, ভিকটিমের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের পর এসআই জলিল সুকৌশলে কুড়িগ্রামে বদলি হয়। পরে আর আসমা প্রধানের খোঁজ রাখেন না। এরপরই আসমা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আজ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –