• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিজিবি-বিএসএফ উচ্চ পর্যায়ে পতাকা বৈঠক

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০  

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিবর্ষণে নিহত বাংলাদেশি দুই যুবকের মরদেহের বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতেই হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।  

নিহতরা হলেন গোতামারী ইউনিয়নের পূর্ব আমঝোল এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া (৩২) একই এলাকার উসমান আলীর ছেলে সুরুজ আলী(১৭)। 

গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্তের ৯০৭ নম্বর মেইন পিলারের ৪ নম্বর সাব পিলার এলাকায় ভারতীয় বিএসএফের পাগলীমারী ক্যাম্পের একটি টহল দলের গুলিবর্ষণে বাংলাদেশি ওই দুই যুবকের মৃত্যু ঘটে।

লালমনিরহাট ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মনজুর মোরশেদ দোলন বলেন, ‘নিহত দুই যুবকের শরীরে বুলেট ইনজুরির চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিস্তারিত বর্ণনা ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যাবে।’  

হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি দুই যুবকের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে নিহতের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে নিহত সুরুজ আলীর পিতা ওসমান আলীর বড় ভাই হযরত আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’

হযরত আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজ বাদে মরদেহের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আর কোনো বাংলাদেশি যেন বিএসএফের গুলিতে নিহত না হয়। তাদের আটক করে জেল হাজত দেওয়া হয়। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল এসএম তৌহিদুল আলম বুধবার (২২ জানুয়ারি) বনচৌকি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি দুই ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার(২৩-জানুয়ারি) বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন পরিচালক (কমান্ডার) পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। 
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত পতাকা বৈঠক চলছে। পতাকা বৈঠক শেষে আপনাদের আলোচনা সম্পর্কে জানানো হবে।’  

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –