• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

টাইম ট্রাভেল প্যারাডক্স!

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

‘প্যারাডক্স’ শব্দের বাংলা হলো “আপাতদৃষ্টিতে স্ব-বিরোধী” অর্থ্যাৎ কোনো সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়া।অতীত বদলে ফেলার মাধ্যমে টাইম ট্রাভেলাররা কার্যকরণের চক্রে গোলমাল বাঁধিয়ে ফেলেন। সময় ভ্রমণ বিষয়ক বিজ্ঞান কল্প-গল্পে এমন সমস্যা হরহামেশাই দেখা যায়। টাইম ট্রাভেলের কারণে অনেক ধরনের প্যারাডক্স তৈরি হতে পারে। একজন মানুষ অতীত ভ্রমণে গিয়ে নিজেরই মুখোমুখি যদি হয়, তাহলে একই সময়ে একই ব্যক্তির দু’টো আলাদা সত্ত্বা থাকে। একই মানুষের দু’টো আলাদা সত্ত্বা থাকে কীভাবে? আসলে এটাই সময় ভ্রমণের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি। এছাড়া আরো কিছু প্যারাডক্স আছে সময় ভ্রমণে। গ্র্যান্ডফাদার, হিটলার, বাটারফ্লাই ও ইনফরমেশন প্যারাডক্স এগুলোর অন্যতম।

গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স

 

1.টাইম ট্রাভেল প্যারাডক্স!

এই প্যারাডক্সে নিজের জন্মই রুখে দেন সময়ের যাত্রীরা। সময় বেয়ে একজন মানুষ কয়েক দশক পেছনে গেলেন। গুলি করে মেরে ফেললেন তার দাদার বাচ্চা বয়সের মানুষটাকে। তখনো তার শিশু দাদার কোনো ছেলে মেয়ে হয়নি। তার মানে সময়ের যাত্রীর জন্মই হয়নি! তাহলে তিনি কীভাবে অতীতে গেলেন, কীভাবেই বা গুলি করলেন?

হিটলার প্যারাডক্স

 

2.টাইম ট্রাভেল প্যারাডক্স!

একটি সম্পূর্ণ ফাংশনাল টাইম ম্যাশিন ব্যবহার করে অতীতের যেকোনো সময় ঘুরতে যাওয়ার অনুমতি পেলে আপনি কি চাইবেন এটি ব্যবহার করে গত ১৮ শতকের শেষের দিকে ঘুরতে যেতে? সেখানে গিয়ে বালক হিটলারকে খুঁজে বের করবেন এবং গুলি করে মেরে ফেলবেন যাতে সে বড় হয়ে এসব যুদ্ধ-বিগ্রহ করতে না পারে। বেশ ভালো আইডিয়া। তবে চিন্তা করে দেখুন, এখানে সমস্যাটি হচ্ছে, আপনি অতীতে টাইম ট্রাভেল করে ফিরে গিয়ে হিটলারকে মেরে ফেলার মানে হচ্ছে, হিটলার বড় হয়ে এসব যুদ্ধ-বিগ্রহ করার আগেই আপনি তাকে এই পৃথিবী থেকে এবং ইউনিভার্স থেকে ডিলিট করে দিচ্ছেন।

 

এর মানে, হিটলার এসব কিছুই করতে পারলো না। কারণ হিটলার তখন আর জীবিতই নেই। তাই পৃথিবীর ইতিহাসে তখন আর হিটলার নামের কেউ নেই এবং সে কি করেছে না করেছে সেসবও কিচ্ছু নেই। অর্থ্যাৎ, আপনারও হিটলার সম্পর্কে কিছু জানার কোন উপায় নেই। ভেবে দেখুন, হিটলার যদি জীবিতই না থাকলো, তাহলে হিটলার সম্পর্কে ভবিষ্যতে কোনো ইনফরমেশন পৃথিবীর ইতিহাসেই থাকলো না এবং আপনি আপনার জন্মের পরে থেকে হিটলার নামে কেউ ছিল তাও জানলেন না। হিটলার আগে থেকেই মৃত হওয়ায়, অতীতে ফিরে এসে হিটলারকে আবার হত্যা করার কোনো কারণই নেই আপনার কাছে। তাহলে আপনি হিটলারকে কেন মারলেন?

বাটারফ্লাই ইফেক্ট

 

3.টাইম ট্রাভেল প্যারাডক্স!

ছোট্ট পরিবর্তনের বড় প্রতিক্রিয়া: একজন মানুষ সময় ভ্রমণ করে ডাইনোসরদের যুগে গেলেন ও একটি প্রজাপতির উপর পা রাখলেন। কাজটি ছোট্ট। কিন্তু এর ফলেই একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকলো, যা পাল্টে দিলো লক্ষ বছরের ইতিহাস। মানুষটা বর্তমান সময়ে ফিরে এলেন, কিন্তু আগের পৃথিবী আর নেই এখন।ছোট্ট পরিবর্তন যদি ভবিষ্যত বদলে দিতে পারে তাহলে সময় ভ্রমণ কি আসলেই সম্ভব? এ প্রভাবের চমৎকার উদাহরণ দেখা যায়, রে ব্র্যাডবেরীর বাটারফ্লাই ইফেক্ট নামের একটি গল্পে।ব্যাপারটা শুধুমাত্র যে বাটারফ্লাই এর জন্য প্রযোজ্য তেমন না। এটা মানুষসহ যেকোনো মুভিং ম্যাটার এর জন্য প্রযোজ্য।টাইম ট্র্যাভেলে এই ‘বাটারফ্লাই ইফেক্ট’ কেমন ভূমিকা রাখতে পারে- সেই আইডিয়ার উপর ভিত্তি করেই ২০০৪ সালে নির্মিত হয়েছে অনবদ্য একটি সিনেমা ‘দ্যা বাটারফ্লাই ইফেক্ট’।

ইনফরমেশন প্যারাডক্স

 

4.টাইম ট্রাভেল প্যারাডক্স!

ভবিষ্যতের আবিষ্কার : এক যুবকের সঙ্গে ভবিষ্যতের এক বৃদ্ধ লোকের দেখা। তিনি যুবককে একটি টাইম মেশিনের নকশা দিলেন। যুবকটি বহু বছর সাধনা করলেন মেশিনটা বানানোর জন্য। সফল হওয়ার পর এতে চড়ে বসলেন। ফিরে এলেন অতীতে। জিনিসটি দিয়ে গেলেন তার যুবক সংস্করণের হাতে। তাহলে ওটা আসলে কে আবিষ্কার করলেন?

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –