শেখ রাসেল এক অবিকশিত সম্ভাবনার ইতিহাস

নাসির উদ্দিন আহমেদ
১৮ অক্টোবর, শেখ রাসেলের জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এমন এক হেমন্তের মৃদু শিশিরস্নাত রাতে মুজিব দম্পতির ঘরে জন্ম হয়েছিল এক শিশুর। তার নাম রাখা হয়েছিল রাসেল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন পৃথিবীবিখ্যাত দার্শনিক-চিন্তাবিদ-শান্তি আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক রার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত। রাসেলের লেখা তিনি পড়তেন। রাসেলকে নিয়ে বেগম মুজিবের সঙ্গে আলোচনাও করতেন। বেগম মুজিব গৃহবধূ হয়েও যে প্রখর রাজনৈতিক প্রজ্ঞাসম্পন্ন হয়ে উঠেছিলেন, তার পেছনেও ছিল বঙ্গবন্ধুরই অবদান। বঙ্গবন্ধুর কাছে শুনে শুনে বেগম মুজিবও হয়ে উঠেছিলেন রাসেলভক্ত। আর সে কারণেই হয়তো কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রেখেছিলেন রাসেল। মনে হয়তো প্রচ্ছন্ন আশা ছিল তাদের ছোট ছেলেটিও যদি বার্ট্রান্ড রাসেলের মতো যশস্বী-মনস্বী হয়ে ওঠে।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বাগান শোভিত করে যে পুষ্পকলি মেলেছিল, তা প্রস্ফূটিত হওয়ার আগেই একদল পাষণ্ড সব তছনছ করে দিল। ফুলটি ফুটতে পারল না। সৌরভ ছড়াতে পারল না। শেখ রাসেলের জন্মগ্রহণের সময়টি বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ ইতিহাসের জন্য এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ কাল। বঙ্গবন্ধুর বয়স তখন ৪০। তিনি তখন রাজনৈতিক মঞ্চে আরোহনের জন্য একটির পর একটি সিঁড়ি ভাঙছেন। তাঁর সময়ের অন্য সব বাঙালি নেতার আপসকামিতা-ভীরুতার বিপরীতে তিনি এক আপসহীন সাহসী মানুষ হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছেন। শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু তাকে পরাভূত করতে পারছে না। রাসেলের জন্মের পরের বছরগুলোই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের প্রকৃত উত্থানপর্ব।
১৯৬৬ সালে ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা, ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, পরের বছর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান, কারামুক্তি, বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত, ১৯৭০-এর নির্বাচনে ঐতিহাসিক গণরায় লাভ এবং সবশেষে মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়। এই তোলপাড় করা সময়েই শিশু রাসেলের হাঁটি হাঁটি পা পা করে বেড়ে ওঠা। পিতার স্নেহ-সান্নিধ্য তেমন না পেলেও পিতার জনগণ অধিনায়ক হয়ে ওঠা দেখেছে শিশু রাসেল। তার মানস গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখছিল ওই টালমাটাল সময়কাল।
পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য হওয়ায় রাসেল স্বাভাবিকভাবেই সবার চোখের মণি হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু সরকারপ্রধান হওয়ার পরও শিশু রাসেল তাঁর সঙ্গলাভ থেকে বঞ্চিত হয়নি। দেশে কিংবা দেশের বাইরে বঙ্গবন্ধু রাসেলকে সঙ্গী করে আনন্দ পেতেন। এই ছোট ছেলেটিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মনে এবং চোখে ছিল অন্যরকম স্বপ্ন-কল্পনা। রাসেলকে বঙ্গবন্ধু গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তার হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা দিয়ে। কিন্তু হায়েনার দল তাঁর স্বপ্নপূরণ করতে দিল না। ঘাতকরা সপরিবারে মুজিব পরিবারকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথও আইন করে বন্ধ করা হয়েছিল। ঘাতকদের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিল। হত্যা, শিশু ও নারী হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করার পরও যাদের বিচারের আওতায় আনা যায়নি, তারা একটা সময় পর্যন্ত সদম্ভে আস্ফালন করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রাসেলের বড় বোন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে পঁচাত্তরের খুনিদের বিচারের আওতায় এনেছেন। শিশুদের সুরক্ষা দেয়া যে রাষ্ট্রের কর্তব্য সেটা প্রতিষ্ঠিত করার পথে দেশ অগ্রসর হচ্ছে।
শেখ রাসেল পৃথিবীর আলো দেখার সময় সম্ভবত আগে দেখেছিল ‘হাসু আপু’র মুখ। শেখ হাসিনার আদর-স্নেহেই বড় হয়ে উঠছিল রাসেল। এটা বুঝতে কষ্ট হয় না যে, রাসেল হয়ে উঠেছিল শেখ হাসিনার ‘কলিজার টুকরা’। এই ভাইটিকে হারানোর দুঃসহ বেদনা যে ভোলার নয়! এই দুঃখভার বুকে নিয়ে, উদ্গত কান্না চেপে দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাকে। আজ যারা বিচারহীনতার কথা বলে, যারা আইনের শাসন নিয়ে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করে তারা কিন্তু রাসেল হত্যার বিচার বন্ধের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করেননি। আমরা এখন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা করছি, কাজ করতে পারছি। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো তিনিও সামিল হতেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে। ভিশন ২০২১, ২০৩০, ২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে তার বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এখন যেমন দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, বেঁচে থাকলে তিনিও নিঃসন্দেহে নিজেকে দেশের জন্য নিয়োজিত রাখতেন।
তিনি হয়তো বিজ্ঞানী অথবা জাতির পিতার মতো বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার কাণ্ডারী হতেন। কিংবা হতে পারতেন বার্ট্রান্ড রাসেলের মতোই স্বমহিমায় উজ্জ্বল বিশ্বমানবতার প্রতীক। শিশু রাসেল-কে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মানব সভ্যতার ইতিহাসে জঘন্যতম অপরাধ করেছে। এ ধরনের নিষ্ঠুর ‘মার্সি কিলিং’ শুধু রাসেলের জীবনকেই কেড়ে নেয়নি, সেই সঙ্গে ধ্বংস করেছে তার সব অবিকশিত সম্ভাবনাও।
মানবাধিকার রক্ষার নামে যারা বিভিন্ন সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন। সমালোচনায় তুলেন বিতর্কের ঝড়। আজ পর্যন্ত সেই সুশীল সমাজের কয়জন শিশু রাসেল হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন? বিচার চেয়েছেন সেই হত্যাকান্ডের?
ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা করে বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন করেছেন খুনিদের। সেই জিয়াউর রহমানের বিচার দাবি করেছেন বা সমালোচনা করেছেন ক’জন মানবাধিকার নেতা? সেই দিন মানবাধিকার ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর হত্যার নীল নকশাকারী ও নেপথ্য কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন আজ সময়ের দাবি, ঠিক তেমনি শিশু রাসেলের হত্যাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।
শিশু রাসেল আজ শিশু অধিকার আদায়ের প্রতীক। যখনই গণমাধ্যমে শিশু নির্যাতন বা হত্যার খবর প্রকাশিত হয়, আমাদের চোখে ভেসে ওঠে রাসেলের প্রতিচ্ছবি। আমরা চাই শিশুর অধিকার, তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশু নির্যাতন বন্ধের কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন সরকার । শিশুদের অধিকার আদায়ের প্রতীক হয়ে সবার মাঝে বেঁচে থাক শেখ রাসেল। শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিনে এমন প্রত্যাশা সকলের।
- পঞ্চগড়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালিত
- বীরগঞ্জে বাসের ধাক্কায় সাবেক ইউপি সদস্য নিহত
- গাইবান্ধায় পিকআপ চাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
- ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব, খোলা আকাশের নিচে ৮০০ পরিবার
- লালমনিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় অনার্স পরীক্ষার্থী নিহত
- শুক্রবার বজ্রসহ দেশের যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে
- বাসযোগ্য দেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
- মানুষের আস্থা অর্জন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়: ভূমিমন্ত্রী
- দেশের নিরাপত্তার প্রতি সতর্ক থাকতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- কুড়িগ্রামে বোরো ধান কাটাতে হার্ভেস্টারে শস্য কর্তন মাঠ দিবস পালিত
- পঞ্চগড়ে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
- বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণে মন্ত্রীদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- দেশে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশই অসংক্রামক রোগে: জাহিদ মালেক
- অভ্যরন্তীণ কোন্দল মিটিয়ে আ.লীগকে সুসংগঠিত করতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- উত্তরাঞ্চলে প্রতিবছর ৫৬ লাখ মেট্রিক টন ধান উদ্বৃত্ত
- রাজারহাটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃষি যন্ত্রের ব্যাবহার
- বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী মার্কিন আইনপ্রণেতারা
- পদ্মাসেতুর নাম পরিবর্তন হবে না: প্রধানমন্ত্রী
- `শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে পুনরুদ্ধার হয় বাংলাদেশ`
- গরমে টিনএজারদের ত্বকের যত্ন কেমন হবে
- `বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুনভাবে পরিচিত করেছেন শেখ হাসিনা`
- আবদুল গাফফার মৃত্যুতে চৌধুরীর প্রধানমন্ত্রীর শোক
- করোনা আপডেট: একদিনে ৩৫ জনের শনাক্ত, টানা ২৯ দিন মৃত্যুশূন্য দেশ
- আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই
- গাইবান্ধায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত
- জুনেই উদ্বোধন হচ্ছে পদ্মা সেতু: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
- পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে
- বিরামপুরে জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মী আটক
- রংপুরে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে
- নির্বাচন প্রক্রিয়া কলুষিত করেছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- ঈদ উৎসবে রঙ বাংলাদেশ
- ইউরিয়া সার উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশ
- জাল সনদধারী শিক্ষকদের ৪৬ কোটি টাকা উদ্ধার
- সৈয়দপুরে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবায় ডাবল সেঞ্চুরি
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে আবেদন
- করোনা সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কায় জাতীয় কমিটির ৬ পরামর্শ
- `সারাদেশে নদীভাঙন রোধে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী প্রকল্প হচ্ছে`
- কেনাকাটায় ব্যস্ত দিনাজপুরের ক্রেতা-বিক্রেতারা
- তারেক রহমানের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সংযোগ
- ব্যতিক্রমধর্মী কারাগার-ফাঁসির মঞ্চ রেস্টুরেন্টে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ
- করোনায় মৃত্যু নেই, বেড়েছে শনাক্ত
- সব সিটি করপোরেশনকে নিজের আয়ে চলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- জুনে ফের এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে
- আ`লীগ সব সময় ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছে: প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপি এদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু: শেখ পরশ
- ‘আমাকে বুঝে উঠতে স্ত্রীর সময় লাগবে’
- শূন্যকোটায় হজে যেতে ১০ মে’র মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে
- বিএনপি নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথায় মানুষ হাসে: ড. হাছান মাহমুদ
- জুনেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন: ওবায়দুল কাদের
- বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই: কৃষিমন্ত্রী