জটিল ভাইরাস গবেষণায় সক্ষম বাংলাদেশ: অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা
বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর প্রায় ১৭ হাজারের বেশি জিনোম সিকোয়েন্স (জিন রহস্য) উন্মোচন করা হয়েছে। এখনো অনেকেই জিনোম সিকোয়েন্সের চেষ্টায় আছে। তবে এই চেষ্টায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। দেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ)। প্রতিষ্ঠানটির অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে একদল গবেষক এই গবেষণার কাজটি সম্পন্ন করেন।
এই গবেষণায় তার সঙ্গী ছিলেন রলি মালাকার, সাইফুল ইসলাম সজীব, হাসানুজ্জামান, হাফিজুর রহমান, শাহিদুল ইসলাম, জাবেদ বিন আহমেদ এবং মাকসুদা ইসলাম। দেশে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতার মাঝেও মঙ্গলবার ছড়িয়ে পড়া এই সুখবর জনগণের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি, পরিবর্তনের ধরন ইত্যাদি জানতে পারবেন গবেষকরা। সেই সঙ্গে জানা যাবে- আমাদের জন্য কার্যকরী হবে কোন ওষুধ। এই সফলতার খবর এবং ভবিষ্যতে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে ভোরের কাগজের সঙ্গে কথা বলেছেন সিএইচআরএফের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা। যিনি অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহার পিতাও বটে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সেবিকা দেবনাথ-
করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করার কাজটি কবে থেকে শুরু করেছিলেন?
এ ধরনের ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং বেশ জটিল। বেশিরভাগ সময় বিদেশে নমুনা পাঠিয়ে তাদের মাধ্যমেই জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়। এই কাজে অনেক সময় আমরাও যুক্ত হই। আবার অনেক সময় হই না। আমাদের সিএইচআরএফের যে গবেষক দল তারা বয়সে তরুণ ও খুব উদ্যোমী। তারাই এই কঠিন কাজটি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এপ্রিলের শেষের দিকে তারা নমুনা নিয়ে কাজটা শুরু করে। নিয়ম অনুযায়ী, ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করার পর তার তথ্য-উপাত্ত গ্লোবাল জিনোম ডাটাবেজ, জিআইএসএআইডিতে জমা দেয়া হয়েছে এবং এর তথ্য উপাত্ত সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আমি বলব এই তরুণরা উদ্যোগ নিয়েছিল বলেই আজকের এই সফলতা।
গবেষণার এই কাজে কাদের সহযোগিতা পেয়েছেন?
আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করি। এই গবেষণা কাজে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, বিল এন্ড মেলিন্ড ফাউন্ডেশন, চ্যান-জাকারবার্গ বায়োহাব ইনিশিয়েটিভের সর্বিক সহযোগিতা পেয়েছি।
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নিয়ে একটি বিতর্ক আছে। কোন দেশের ভাইরাসের সঙ্গে কোন দেশের ভাইরাসের মিল পেয়েছেন?
প্রতিটা ভাইরাস একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরপর তার জিন বদলায় (মিউটেশন)। করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও তেমনটি পেয়েছি। আমরা পরশু দিনই এটি আপলোড করেছি। এখনো বিস্তারিত বিশ্লেষণে যেতে পারিনি। তবে যতটুকু দেখেছি তাতে বোঝা গেছে, আমাদের দেশে আসার পর এই ভাইরাসটির ৯ বার মিউটেশন হয়েছে। বিশ্বের কয়েকটি দেশেও এই ধরনের চরিত্রের ভাইরাস পাওয়া গেছে। যেমন; সুইডেন, তাইওয়ান, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া ও সৌদি আরব। এর কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে লোক এসেছে। তাই ওই সব দেশের ভাইরাসের ধরনের সঙ্গে আমাদের দেশের ভাইরাসের ধরনের মিল পাওয়া যাচ্ছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে এই জিনোম সিকোয়েন্স আমাদের কীভাবে সহযোগিতা করবে?
এর ফলে বাংলাদেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ, বিস্তার, আচরণ ও পরিবর্তনের ধরনগুলো জানা যাবে। আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য তা কতটা ভীতিকর ও দুর্বল তাও বোঝা যাবে। একই সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলে ভবিষ্যতে এই ভাইরাস প্রতিরোধে যে ধরনের ভ্যাকসিন আসবে সেগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটা কার্যকরী হবে তাও সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
কতগুলো সিকোয়েন্স নিয়ে কাজ করলে পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব?
চলতি সপ্তাহে একটি এবং আগামী সপ্তাহে আরো একটি জিনোম সিকোয়েন্স করার কাজ শেষ হবে। আশা করছি আগামী দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে আমরা ৬০ থেকে একশটি সিকোয়েন্স করব। তখন আরো অনেক বেশি জানাতে পারব এবং প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে পারব।
এই সফলতায় অনুভূতি কী?
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের কয়েকটি দেশ, চীন এবং ভারতেও ওইসব দেশের প্রেক্ষাপটে করোনা ভাইরাসের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন সেসব দেশের গবেষকরা। করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স বাংলাদেশেও উন্মোচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো এ ধরনের গবেষণার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশে বসে এ ধরনের গবেষণা করতে পারে। এটাই আমাদের প্রাপ্তি এবং অহঙ্কারের জায়গা।
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী কারাগারে
- পাটগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- বোরো মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ভ্যানামি চিংড়ির পোনা আমদানির অনুমোদন দিল সরকার
- লালমনিরহাট জেলা সমিতি রংপুরের উদ্যোগে ইফতার ও মতবিনিময়
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন শাজাহান খান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা নিয়ে যা জানা গেল
- বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই ব্যবস্থা: আইজিপি
- ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু নিহত
- বেরোবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, থানায় জিডি
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শ্যামল জয়ী
- সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে গাড়ি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- হাতীবান্ধায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে মারধর
- আইপিএলে পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে জোচ্চুরির অভিযোগ!