• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপির ব্যর্থ স্থায়ী কমিটি সংস্কারে ব্যতিব্যস্ত তৃণমূল

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয় ও ব্যর্থ নেতৃত্বের সংস্কারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে  বিএনপির তৃণমূল।

তাদের মতে, খালেদা জিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপির সর্বোচ্চ জাতীয় স্থায়ী কমিটির অনেক নেতার দায়িত্বে অবহেলা, অদক্ষতা ও অযোগ্যতা লক্ষ্য করা গেছে। এসব নেতাদের ভয়-ভীতি ও ব্যক্তিস্বার্থ বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তাদের সে সময়ের কর্মকাণ্ড ও তৎপরতাকে সাংগঠনিকভাবে অপরাধ বলে গণ্য করা উচিত। কেননা এসব নেতাদের কারণেই বিএনপির আজ দুরবস্থা।

তারা আরো বলেন, দলের স্থায়ী কমিটি এখন ব্যবসায়ী, বয়স্ক ও অসুস্থ নেতাদের দিয়ে ভরা। এখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেয়ার মতো কেউ নেই। দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না অনেকেই। এসব কারণেই স্থায়ী কমিটির সংস্কার চান তৃণমূল বিএনপির নেতারা।

এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ কাউন্সিলের মাধ্যমে ২টি পদ ফাঁকা রেখে ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ এবং এম কে আনোয়ার মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার দলীয় কর্মকাণ্ডে অনুপস্থিত।

এছাড়াও দলীয় কোন্দলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলীয় কর্মসূচিতে প্রায়ই নিষ্ক্রিয় থাকেন।

আর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাস ব্যবসায়িক স্বার্থ ও নানা কারণে দলের বাইরে গোপনে আঁতাত করে চলেন।

এছাড়াও আরেকজন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন চৌধুরী অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারত থেকে ফিরতে পারছেন না।

দীর্ঘ ২৫ মাস কারাবরণের পর রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে সরে আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এছাড়া একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সম্প্রতি যদিও দলের দুজন ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে স্থায়ী কমিটিতে আনা হয়েছে, তবে তা যথেষ্ট নয়। ফলে দলে নেতৃত্ব দেয়ার মতো এখন কেউ নেই। এ অবস্থায় দলকে চাঙা করতে বা দলের গতি ফেরাতে স্থায়ী কমিটিতে আমূল পরিবর্তন চায় বিএনপির তৃণমূল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সময়ের শীর্ষ প্রভাবশালী নেতা বলেন, বিএনপির ঘুণে ধরা স্থায়ী কমিটিতে সংস্কার প্রয়োজন, যত দ্রুত সম্ভব তা করা উচিত।

তিনি বলেন, দলকে রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হলে স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এ কমিটি থেকে মীরজাফর ও অন্যদলের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীদের সরিয়ে ত্যাগী, চৌকস ও যোগ্য নেতাদের স্থান দিতে হবে। কেননা একটা পরিবারের যদি অভিভাবক ঠিক না থাকে তাহলে ওই পরিবারের অভিভাবকদের অধীন কোনো সন্তানই সঠিক পথে পরিচালিত হবে না।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –