আদিবাসী ইস্যুকে পুঁজি করে পর্দার আড়ালে চলছে ষড়যন্ত্র!
পৃথিবীর অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশে প্রতি বছরের মতো এ বছরও আগামীকাল ৯ আগস্ট ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস’ পালিত হবে। অস্ট্রেলিয়ান এবরিজিন, যুক্তরাষ্ট্রের রেড ইন্ডিয়ান, নিউজিল্যান্ডের মাউরি, দক্ষিণ আমেরিকার ইনকা ও মায়া, জাপানের আইনু, রাশিয়ার মেনেট, ফ্রান্স ও স্পেনে বাসকু, আরব বেদুইন প্রভৃতি জনগোষ্ঠী প্রাচীন কাল থেকেই আদিবাসী হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। বাংলাদেশে আদিবাসী কারা-এই নিয়েও একটি বিতর্ক ইদানীং চালু হয়েছে।
আমরা আদিবাসীদের শ্রদ্ধা করি এবং তাদের সকল অধিকারের প্রতি সম্মান জানাই। কিন্তু এই আদিবাসী নিয়ে বাংলাদেশে আজ যা চলছে যা রীতিমত বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। শুধু তাই নয় এই আদিবাসী ইস্যুটিকে পুঁজি বানিয়ে পর্দার আড়ালে চলছে পরিকল্পিত ভাবে সুদুরপ্রসারী ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের এক রাজনীতি, যা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং অখন্ডতার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে মারাত্বক হুমকি হিসাবে দেখা দিবে। সুতরাং আদিবাসী ইস্যুকে নিয়ে চলমান এই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সম্পর্কে দেশপ্রেমিক জনতাকে আজ সচেতন হতে হবে। তার জন্য আদিবাসী সম্পর্কে আমাদেরকে সঠিক ধারণা লাভ করতে হবে এবং আদিবাসী ইস্যু নিয়ে যারা আজ অতিমাত্রায় সোচ্চার এবং আদিবাসী হতে ও আদিবাসী হিসাবে পরিচয় দিতে যারা অতিমাত্রায় আগ্রহী তাদেরকে চিনতে হবে। একই সাথে তাদের চিন্তা চেতনা , কর্মতৎপরতা এবং এদের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কেও আমাদেরকে জানতে হবে।
আদিবাসী শব্দটি থেকেই সহজে আমরা এর সম্পর্কে জানতে পারি। ‘আদি’ শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রথম বা শুরু আর ‘বাসী’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে বসবাসকারী। সুতরাং ‘আদিবাসী’ শব্দটি দিয়ে কোন একটি এলাকায় প্রথম থেকে বসবাসকারী লোকজন কে বুঝায়। এটাকে যদি আর একটু ব্যাখা করি তাহলে বলা যায় -১) যে জায়গা আগে কখনোই কারো অধিকারে এবং দখলে ছিল না, এমন স্থানে যারা প্রথম বসতি নির্মাণ করেছিল তারাই আদিবাসী। ২)কোন জায়গায় প্রথম থেকে বসবাসকারী মানবগোষ্টীই আদিবাসী। ৩) আদিম কোন এলাকায় প্রাচীনতম কাল থেকে কিংবা ঐ এলাকা পরিচিতি লাভের সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বসবাসকারী মানবাগোষ্ঠীই হল আদিবাসী। আদিবাসীর সংজ্ঞা এবং পরিচয় নিয়ে এ পর্যন্ত নৃবিজ্ঞানীরা যা বলেছেন তার সারমর্ম হচ্ছে এটাই। সেই হিসাবে সারা বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি এবং আদিবাসী জনসংখ্যার পরিমানও একেবারেই কম। এর প্রকৃত কারন হচ্ছে কোন এলাকায় একটি জনগোষ্ঠী প্রথম থেকে বসবাস শুরু করলেও, হাজার বছরের সময়ের পরিক্রমায় তারা হারিয়ে গেছে এবং আধুনিক জীবনের সাথে মিশে গেছে। অর্থাৎ তারা সময়ের সাথে নিজেদেরকে উন্নত করেছে এবং মানব গোষ্ঠীর মুল স্রোতের সাথে মিশে গেছে। তারা নিজেদের সংস্কৃতি,আদর্শ এবং ঐতিহ্যকে হারিয়ে ফেলেছে অথবা বিসর্জন দিয়েছে আর ঐ দেশের বা ঐ অঞ্চলের বিদ্যমান মুল জনগোষ্ঠীর চলমান সংস্কৃতি, আদর্শ এবং ঐতিহ্যকে গ্রহন করে মুল জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে গেছে। সংগত কারনেই কোন এলাকায় প্রাচীন কাল আজ পর্যন্ত নিজস্ব আদর্শ, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে বসবাসকারী মানব গোষ্ঠীর সংখ্যা বিশ্বজুড়ে একেবারেই কম এবং তাদের জনসংখ্যার পরিমানও একেবারেই কম। আর তাই বিশ্বে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এবং জনসংখ্যার পরিমান দুটোই একেবারেই কম। আর সত্য কথা হচ্ছে বাংলাদেশে কোন আদিবাসী জনগোষ্ঠী নেই। গোপনে বাংলাদেশ থেকে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের নিমিত্তেই এই দাবি করছে তারা।
জানা যায়, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সদরদপ্তর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ৬১তম অধিবেশনে the United Nations declaration on the rights of indigenous peoples অর্থাৎ ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার’ বিষয়ক ঘোষণাপত্র জারি হওয়ার পর বাংলাদেশের একটি জনগোষ্ঠী হঠাৎ করে নিজেদেরকে আদিবাসী বলে পরিচয় দিতে শুরু করে। যেখানে এ ঘোষণাপত্রের আগে তারা নিজেদেরকে আদিবাসী পরিচয়ে পরিচয় করাতে চায়নি। তাদের হঠাৎ এমন আদিবাসী পরিচয় দেয়াটা বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের উপর বড় ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।
অনুচ্ছেদগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নিজস্ব আইনে নিজস্ব ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মুষ্টিমেয় চিহ্নিত উপজাতিরা দাবি করছে ঐতিহ্য ও প্রথাগত অধিকার বলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ভূমির মালিক তারা। একই অধিকার বলে সমতলের উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকার সকল ভূমির মালিকানা সেখানকার উপজাতীয়রা দাবি করবে। সেখানে যেসব ভূমি সরকারি ও ব্যক্তিগত মালিকানায় (আদিবাসী নয়) রয়েছে তা ফেরত দিতে হবে বা তার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এমনকি উপজাতীয়রা রাজি না হলে সমতল থেকে সমপরিমাণ সমগুরুত্বের ভূমি ফেরত দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যেহেতু ঐ গোষ্ঠী সকল সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার দাবি জানাচ্ছে, সে কারণে সেখান থেকে সকল সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় যেসব বাঙালি বসতি স্থাপন করেছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। ইউএনডিপিসহ কিছু বৈদেশিক সংস্থা ইতোমেধ্যে প্রকাশ্যে এ দাবি তুলেছে।
কৌশলগত কারণে তারা স্বায়ত্তশাসনের কথা যতোটা উচ্চকিত করে স্বাধীনতার কথা ততোটা নয়। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষই রাষ্ট্রবিরোধী এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল নয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থাও রহস্যময় আবরণে সযত্নে ঢেকে রেখেছে দেশবিরোধী এই দুষ্টুক্ষত। কিন্তু যারা সচেতন, বিশেষ করে যারা সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করেন তাদের প্রতি আহ্বান একবারের জন্য হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরিচালিত প্রোফাইল, গ্রুপ ও পেইজগুলো ভিজিট করে দেখুন, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কী ভয়ানক প্রচারণা চালানো হচ্ছে সেখানে। স্বাধীন জুম্মল্যান্ড গঠনের জন্য নিজস্ব জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, মানচিত্র দিয়ে কীভাবে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে সে সম্পর্কে সচেতনতার জন্য দেশবাসীর জানা উচিত। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে সিএইচটি জুম্মল্যান্ড নামে তাদের পরিচালিত একটি পেইজের ঠিকানা এখানে দেয়া হলো: (https://www.facebook.com/pages/CHT jummaland/327524104096965? fref=ts)।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
- সরাসরি মুসলিমদের নিশানা করে ভোট প্রচারে মোদি
- জলবায়ু সহনশীলতা অ্যাডভোকেসি জোরদার করবে বাংলাদেশ
- সরকারি অফিস চলবে ‘এআই’ প্রযুক্তিতে
- যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী
- শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- আদিতমারীতে জুয়ার আসর থেকে স্কুলশিক্ষকসহ আটক ৮
- গরমে পটোল খাওয়ার ৭ উপকারিতা
- শেষ ওভারে মুম্বাইকে হারালো লখনৌ
- শাকিবের বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন আরশাদ আদনান
- ইসলামে শ্রমের মর্যাদা, গুরুত্ব ও অধিকার
- শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ ইইউ ও বাংলাদেশ:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘ইভিএমে ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে কমিশনের সবাই পদত্যাগ করবো’
- নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন: শিক্ষামন্ত্রী
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- ইসরাইলগামী জাহাজে হামলার ভিডিও প্রকাশ
- সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
- নির্বাচনে অনিয়ম হলে কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে: ইসি
- ‘সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে’
- মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
- আজ মহান মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় পৌর বিএনপির সভাপতি জেল হাজতে
- গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন
- দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
- দিল্লিকে সহজেই হারাল কলকাতা
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- বোরো মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
- রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে প্রার্থিতা বাতিল
- ভ্যানামি চিংড়ির পোনা আমদানির অনুমোদন দিল সরকার
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার কবে বন্ধ হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
- বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন শাজাহান খান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা নিয়ে যা জানা গেল
- ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু নিহত
- বেরোবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, থানায় জিডি
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শ্যামল জয়ী
- সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে গাড়ি
- হাতীবান্ধায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে মারধর
- আইপিএলে পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে জোচ্চুরির অভিযোগ!
- আদিতমারীতে জুয়ার আসর থেকে স্কুলশিক্ষকসহ আটক ৮