শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে নানা কর্মসূচি নিয়েছে সরকার
করোনা সংক্রমণের কারণে প্রায় সাত মাস বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। এ মহামারীতে দারিদ্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই বাড়বে সব স্তরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার। উপার্জনের জন্য শিক্ষা ছেড়ে শ্রমে যুক্ত হতে বাধ্য হবে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা। বেড়ে যাবে বাল্যবিয়ে, বিশেষ করে মেয়েদের। বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ছাড়ার হার ৩৭ শতাংশ এবং প্রাথমিক স্তরে ১৮ শতাংশ। দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা মনে করেন, করোনার কারণে ঝরে পড়ার এ হার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তাই করোনাপরবর্তী স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু এবং শিক্ষার্থীদের ব্যাপক হারে ঝরে পড়া রোধ করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
শিক্ষার্থীদের এ ঝরে পড়া নিয়ে সরকারও চিন্তিত। তাই করোনাপরবর্তী স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে নানামুখী কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর। পাঁচ বছরের একটি প্রকল্প নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দুপুরের খাবার সরবরাহ করবে, প্রতিটি স্কুলে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করবে এবং শিক্ষার প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে উপজেলা পর্যায়ে মনোবিদ নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ভবিষ্যতে লেখাপড়ার ক্ষতি এড়াতে সারাবছর টেলিভিশন, রেডিও ও ইন্টারনেটে পাঠদান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক এবং বেসিন স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ের আরও একটি পরিকল্পনা রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা যাচাইয়ের সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হবে। শিক্ষকস্বল্পতার নিরসনে আরও ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য শিক্ষাঋণ প্রদানের কথাও ভাবা হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে দুপুরের খাবার সরবরাহের পর শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হার অনেক হ্রাস পেয়েছে। ফলপ্রসূ হওয়ায় প্রকল্পটি পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী করার পরিকল্পনা নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, প্রকল্পটি অবশ্যই ঝরে পড়া হ্রাস করা ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি প্রায় চূড়ান্ত। আরও কিছু দিন সময় লাগবে অনুমোদন নিতে।
তিনি জানান, আরেকটি প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানের জন্য এবং ভবিষ্যতে কোভিড ১৯-এর মতো যে কোনো বিপর্যয়ের সময় লেখাপড়া ক্ষতি এড়াতে সারাবছর টেলিভিশন, রেডিও ও ইন্টারনেটে পাঠদান অব্যাহত রাখা হবে।
প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক এবং বেসিন স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ের আরও একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা যাচাই করার জন্য সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হবে। শিক্ষকস্বল্পতার নিরসনে আরও ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষকদের প্রতি এক নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে। যাতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ারও সহায়তা নিতে পারে শিক্ষকদের কাছ থেকে।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সারাদেশে মনোবিজ্ঞানী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। তিনি বলেন, মহামারীতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। আমরা প্রাথমিকভাবে প্রতিটি জেলায় মনোবিজ্ঞানী নিয়োগের কথা ভাবছি। আমরা প্রতিটি উপজেলায় মনোবিদদেরও নিয়োগ দেব যারা প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন পুরুষ এবং একজন নারী শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবেন।
ডা. দীপু মনি একটি ওয়েবিনারে জানিয়েছেন, সরকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য শিক্ষাঋণ প্রদানের কথাও ভাবছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস সংকট দীর্ঘকাল চলতে থাকলে ড্রপ আউট হার বর্তমান স্তর থেকে কমপক্ষে ৭০ শতাংশে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, আমরা সর্বদা শিক্ষা খাতের প্রতি সরকারের অবহেলা দেখি কারণ এর জন্য যে বাজেট করা হয়েছিল তা সন্তোষজনক নয়। এ খাতকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না দিয়ে সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা অসম্ভব। আমি সরকারকে শিক্ষক ও এনজিওর সহায়তায় দরিদ্র ও করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিত করার জন্য একটি ডাটাবেস প্রস্তুত করতে বলেছি। তবে সরকার এখনো এ জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
দরিদ্র শিক্ষার্থীর জন্য মাথাপিছু মাসে ৫শ টাকা এবং শিক্ষকদের জন্য উদ্দীপনামূলক প্যাকেজ বরাদ্দের আহ্বান জানান বিশিষ্ট এ শিক্ষাবিদ।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, মহামারীতে শিক্ষার একাডেমিক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিকল্প টেকসই কর্মসূচি নেওয়া দরকার। এ জন্য অন্তত একটি দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কর্মসূচিতে পাঠ্যক্রম, পরীক্ষা ও ছুটি সমন্বয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা করার পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেন, আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার জন্য সরকার কমপক্ষে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করবে যাতে করোনা ভাইরাস প্রভাবের কারণে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে। তবে সরকার তা করেনি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের সপ্তম মাস চলছে। ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে এই বন্ধ। ইতোমধ্যে দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে অনলাইন, টেলিভিশন, রেডিওতে পাঠদান সম্প্রচার করছে শিক্ষা প্রশাসন।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- শেষ ওভারে মুম্বাইকে হারালো লখনৌ
- শাকিবের বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন আরশাদ আদনান
- ইসলামে শ্রমের মর্যাদা, গুরুত্ব ও অধিকার
- শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ ইইউ ও বাংলাদেশ:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘ইভিএমে ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে কমিশনের সবাই পদত্যাগ করবো’
- নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন: শিক্ষামন্ত্রী
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- ইসরাইলগামী জাহাজে হামলার ভিডিও প্রকাশ
- সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
- নির্বাচনে অনিয়ম হলে কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে: ইসি
- ‘সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে’
- মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
- আজ মহান মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় পৌর বিএনপির সভাপতি জেল হাজতে
- গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন
- দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
- দিল্লিকে সহজেই হারাল কলকাতা
- শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- ঠাকুরগাঁওয়ে হিট স্ট্রোকে নারী শ্রমিকের মৃত্যু
- মিনিটেই নকল ‘স্মার্ট কার্ড’, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীরা
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যু
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- যেমন যাবে আজকের দিনের আবহাওয়া
- মোংলা একসময় বাতির নিচে অন্ধকার ছিল: মেয়র আব্দুল খালেক
- রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু মঙ্গলবার
- রাত ৮টার পর শপিংমল-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- বোরো মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
- রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে প্রার্থিতা বাতিল
- ভ্যানামি চিংড়ির পোনা আমদানির অনুমোদন দিল সরকার
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার কবে বন্ধ হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
- বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন শাজাহান খান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা নিয়ে যা জানা গেল
- ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু নিহত
- বেরোবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, থানায় জিডি
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শ্যামল জয়ী
- সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে গাড়ি
- হাতীবান্ধায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে মারধর
- আইপিএলে পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে জোচ্চুরির অভিযোগ!
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা