মাছের টেপাই থাকল নদীতে, হাসপাতালে আসলো ৪ জন

 
হাতীবান্ধায় নদীতে মাছ ধরার বাঁশের টেপাই বসানো নিয়ে মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওর্য়াডের মিয়াজী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ওই গ্রামের দুলু মিয়া এবং তার ছেলে আব্দুল লতিফ। আহতদের মধ্যে ২ জনকে রংপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুর ওই এলাকার দুলু মিয়ার ছোট ছেলে সজিব স্থানীয় খুটামারা নদীতে মাছ ধরার বাঁশের টেপাই বসান। এ সময় প্রতিবেশী আল-আমিনের ছেলে রোমান টেপাই বসাইতে বাঁধা দেয়। একপর্যায়ে তাদের ২ জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়।

ওই ঘটনার জের ধরে ওইদিন রাত ৯টার সময় রোমানের বাবা সামিনুর রহমান ও তার দলবল ভুক্তভোগী দুলু মিয়ার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালান। এ সময় ভাংচুরের বাধা দিতে গেলে দুলু মিয়া ও তার ছেলেসহ আরো ২ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। দায়িত্বরত চিকিৎসক দুলু ও তার ছেলে আব্দুল লতিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ড. জুয়েল রানা বলেন, ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের এখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

হাতীবান্ধা থানা ওসি শাহা আলম জানান, মারামারি ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।