• সোমবার ১৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবায়দার ৩ বছরের কারাদণ্ড

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২৩  

 
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তারেক রহমানকে ২ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড এবং জোবায়দাকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমনা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে অবৈধভাবে অর্জিত ২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬ (২) ধারায় তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ২৭ জুলাই একই আদালত যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে ২ আগস্ট রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন আদালত হতে ৪ মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন তারেক রহমান। এটি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পঞ্চম রায় হলেও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রথম রায় এটি।

২০০৭ সালে ওয়ান এলেভেন সরকারের সময় সরকারের নির্বাহী আদেশে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যান তারেক রহমান। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছরের তিনি আর দেশে ফেরেননি। বর্তমানে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাকে পলাতক দেখিয়ে এ রায় ঘোষনা করা হয়।

রায়ের পর্যায়ে আসার আগে চার্জশিটের ৫৬ সাক্ষির মধ্যে ৪২ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।

এজাহারে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার জ্ঞাত বহির্ভূত আয় ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হলেও মামলার চার্জশিটে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, ৫৮ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তার অভিযোগ আনয়ন করা হয়।

তারেক যেসব মামলায় ইতোপূর্বে দণ্ডিত:

মানিলন্ডারিং মামলা: ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন মামুনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করে দুদক।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোতাহার হোসেন তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন মামুনকে ৭ বছরের সাজা দিলেও তারেক রহমানকে খালাস প্রদান করেন।

উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপীল করলে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট বিচারিক আদালতে তারেকের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছর কারাদণ্ড প্রদান করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় মা খালেদা জিয়ার সাথে দ্বিতীয়বারের মতো দণ্ডিত হন তারেক রহমান।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর ও খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান।

এ মামলায় এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে বিদেশ থেকে পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিন্যুয়ে আওয়ামীলীগ পার্টি অফিসের সামনে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় তৃতীয় বারের মতো দণ্ডিত হন তারেক রহমান।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তির মামলা: ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটুক্তির অভিযোগে নড়াইলে দায়ের করা মানহানি মামলায় চতুর্থবারের মতো দণ্ডিত হন তারেক রহমান।

২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদা।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –