সরকারি কাজে ব্লক ইটের ব্যবহার নিশ্চিতের সুপারিশ

 
সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ২০২৭-২০২৮ সালের মধ্যে শতভাগ ব্লক ইটের ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য সুপারিশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। রোববার কমিটির ৯তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।    

কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে জলবায়ু বিষয়ে আইপিসিসি-এর প্রতিবেদন ও সুপারিশের আলোকে বাংলাদেশের করণীয়, সাভারে ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমপ্ল্যায়েন্স অর্জনের জন্য যেসব প্রতিষ্ঠানকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এবং কমপ্ল্যায়েন্স অর্জনে ব্যর্থতার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে উভয়ের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এছাড়া পরিবেশ অধিদফতরের অর্গানোগ্রাম; ব্লক ইটের ব্যবহার নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রোডম্যাপ চূড়ান্তকরণ, আড়িয়াল বিলে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে অবৈধভাবে গড়ে উঠা আবাসন প্রকল্পের বিস্তাররোধে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে পরিবেশ অধিদফতরের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। 

বৈঠকে বিসিক চামড়া শিল্পনগরীতে বরাদ্দকৃত প্লটের যেসব বরাদ্দ প্রাপকরা এখনো লিজ এগ্রিমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষর করেনি, সেসব ট্যানারির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ এবং হাইকোর্টের ৪টি নির্দেশনা শতভাগ প্রতিপালনের নির্দেশ প্রদানসহ তাদের তালিকা তৈরি করার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে জলবায়ু বিষয়ক আইপিসিসি-এর প্রতিবেদন ও সুপারিশগুলো বুয়েটের প্রতিনিধির কাছে থেকে সংগ্রহ করে সেই প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানোর জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
 
এছাড়া আড়িয়াল বিলে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে অবৈধভাবে গড়ে উঠা আবাসন প্রকল্পের বিস্তাররোধে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে জমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং ছাড়পত্র প্রদান না করার লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদানের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ রাবার বোর্ড-এর চেয়ারম্যানরা, প্রধান বন সংরক্ষক, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিসিকের চেয়ারম্যান, বুয়েটের প্রতিনিধি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।