‘কবর দেওয়ার জায়গাও নাই বাহে’
এক একর আবাদি জমি, পুকুর ভরা মাছ আর গোয়াল ভরা গরু ছিল। সবগুলা তিস্তা নদী গিলে খাইছে। পাঁচবার ভাঙ্গতে হইছে বাড়ি। এখন মরলে কবর দেওয়ার মতো জায়গা নাই বাহে। বাঁধ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভোট নেয়। এমপি মন্ত্রী হইলে আর দেখা পাওয়া যায় না। হামার দু:খ কায়ো দেখে না বাহে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের কথাগুলো বলেন তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে বিধ্বস্ত লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সিংগিমারী গ্রামের বয়োবৃদ্ধ মাহবুবার রহমান (৮৫)।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তিস্তা নদীর বাম তীরে তাদের সিংগিমারী গ্রামের ১০ পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে। গ্রামটির বাসিন্দা মানিক, তোফাজ্জল, মোকলেছার, মন্টু, মোজাহার, মতিন, রফিকুল, দুলাল, মকবুল ও আব্দুল জলিলকে রাতের মধ্যে ঘর বাড়ি সরাতে হয়েছে। কেউ অন্যের ডোবা জমিতে বা বাঁশ বাগানে ঘর আপাতত রেখেছেন। কেউ জায়গা না পেয়ে ঘর খুলে রাস্তার পাশে স্তূপাকারে রেখে খুঁজছেন মাথা গোঁজার ঠাঁই।
একবার বা দুই বার নয়। কেউ কেউ ১৫ থেকে ২০ বার পর্যন্ত তিস্তার করাল গ্রাসে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন অনেকে। দ্বিতীয়বার থেকে ঠাঁই হয়েছে অন্যের পরিত্যক্ত জমিতে। তবুও মাত্র একটি ঘর বা টিনের নিচে তাদের মানবেতর জীবন-যাপন। কেউ কেউ জমি বন্দক নিয়ে ঘর বাড়ি গড়ে তুলেন। কিন্তু রক্ষা নেই, বছর অতিবাহিত না হতেই আবার ভাঙনের কবলে পড়তে হয়। তাই ত্রাণ নয়, তিস্তা নদী খনন করে স্থায়ী বাঁধ দিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
জানা গেছে, গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে হঠাৎ বাড়তে থাকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ। যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে পরদিন রাত ১ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বন্যায় প্লাবিত হয় নদী তীরবর্তী অঞ্চল।
এর একদিন পর বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পানি প্রবাহ কমে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির পুরোপুরি উন্নতি ঘটে। স্বল্প সময়ের এ বন্যায় তিস্তা পাড়ের কৃষকদের আমন ধান ক্ষেত ডুবে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল জেলার ৫টি উপজেলার পাঁচ থেকে সাত হাজার পরিবার।
বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর বাড়ি মেরামত করতে না করতেই ভাঙনের কবলে পড়েছে তিস্তার বাম তীরের মানুষ। বন্যার পানি কমলেই তিস্তার তীরে ভাঙন শুরু হওয়া তিস্তা নদীর একটা চিরাচরিত রূপ বলে দাবি করেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।সিংগিমারী গ্রামের মন্টু মিয়া বলেন, ভাঙনের কবলে পড়ে গত এক মাসে তিনবার বাড়ি সরাতে হয়েছে। জীবনে ১৮ থেকে ২০ বার তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা হারিয়েছি। বন্যা আর ভাঙনের সময় রাত জেগে পাহারা থাকতে হয়। ঘর বাড়ি ভেসে যাওয়ার আতঙ্কে কাটে রাত। ত্রাণ চাই না, স্থায়ী বাঁধ চাই। যাতে ডাল ভাত খেয়ে নিশ্চিন্তয় ঘুমাতে পারি।
তিস্তা পাড়ের দক্ষিণ বালাপাড়ি গ্রামের জামিলা বেগম বলেন , এ বন্যা স্থায়ী না হলেও স্রোতে গতি ছিল খুব বেশি। অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে। বাড়ি ঘরের অনেক জিনিসপত্র পানিতে ভেসে গেছে। ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর মত রাস্তাও নেই। চারদিকে পানি; তাদেরকে স্কুলে পাঠানোও অনিরাপদ। পেটের দায়ে শ্রম বিক্রি না করে সন্তানদের স্কুলে রাখতে গেলে না খেয়ে মরতে হবে।
গেল ভোটের সময় মন্ত্রী বললেন, উজানে তিস্তার বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়েছে। ভোট দিলে বাকী কাজ শেষ হবে। ভোট নিয়া এখন আর বাঁধের কোন খবর নাই। সবাই খালি গরিবকে ধোঁকা দেয়- যোগ করেন জামিলা বেগম।
সদর উপজেলার কালমাটি বাগডোরা গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল বলেন, কতবার আর বাড়ি সরাই? কেউ তো বাড়ি করার মত জমি দিতে চায় না। জীবনে আটবার বাড়ি ঘর বিলিন হয়েছে। রাস্তার ধারে করা টিনের চালার পাশেই বয়ে চলছে হিংস্র তিস্তা নদী। যেকোনো মুহূর্তে ভেসে যাবে ঘর বাড়ি। কিন্তু জায়গার অভাবে সরাতে পারছি না।
তিনিও তিস্তা নদীর স্থায়ী বাঁধের দাবি জানান।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলী হায়দার বলেন, ইতিপূর্বে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে পরিবার প্রতি দুই বান ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। গেল বন্যার পর নতুন করে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা পেলে তাদেরকেও পুনর্বাসন করতে টিন ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- হাতীবান্ধায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নতুন কমিটি ঘোষণা
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- সাত জেলায় দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে’
- বাংলাদেশ-ভারত আজ একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে: সেলিম মাহমুদ
- ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হব- প্রতিমন্ত্রী রিমি
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- জানা গেল এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ
- সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জে ২৭ জনের মনোনয়ন দাখিল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা উপলক্ষে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- ৫৩ বছর বয়সে জীবনসঙ্গী খুঁজছেন মনীষা
- ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিক মালিকের পরিবারভুক্ত
- আদিতমারীতে জুয়ার আসর থেকে স্কুলশিক্ষকসহ আটক ৮
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- বোরো মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
- রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে প্রার্থিতা বাতিল
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার কবে বন্ধ হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- বেরোবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, থানায় জিডি
- সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে গাড়ি
- হাতীবান্ধায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে মারধর
- আইপিএলে পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে জোচ্চুরির অভিযোগ!
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- আদিতমারীতে স্বামীর থাপ্পড়ে প্রাণ গেল স্ত্রীর
- ঢিলেঢালা পোশাক ও যথাসম্ভব ছায়ায় থাকুন: চিফ হিট অফিসার
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- অপবিত্র জায়গায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, শরিয়ত কী বলে?
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু