• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কার্ড-চোটে ছিটকে গেলেন চারজন

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২১  

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা! ভারত ম্যাচের শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই বাংলাদেশ দলে এসেছে নতুন দুঃসংবাদ। চোট ও কার্ডের কারণে শেষ ম্যাচ খেলতে পারবেন না আগের ম্যাচের চারজন ফুটবলার। তাতে আগামী ১৫ জুন শক্তিশালী ওমানের বিপক্ষে সেরা একাদশ বাছাই করা কঠিন হয়ে যাবে জেমি ডে’র জন্য।

ভারতের বিপক্ষে গত ম্যাচে খেলা চারজনের মধ্যে হলুদ কার্ড দেখেছেন তিনজন—জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ ও রহমত মিয়া। দোহা থেকে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, ‘এই তিনজনের দুটি করে হলুদ কার্ড হয়ে গেছে। তাই তারা পরের ম্যাচে নামতে পারবে না। জনি (মাশুক মিয়া) গত ম্যাচে চোট পেয়েছে। এমআরআই করানোর পর ডাক্তার ওকে দুই সপ্তাহের বিশ্রাম দিয়েছেন। সুতরাং ওমানের ম্যাচে আমরা নিয়মিত একাদশের চারজনকে পাব না। অন্যরা এখন পর্যন্ত সুস্থ আছে।’ অর্থাৎ শক্তিশালী ওমানের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না মাশুকসহ চারজন ফুটবলার। তিনজন গোলরক্ষককে বাদ দিলে বাকি ১৭ জনের মধ্য থেকে ১০ জনকে বাছাই করতে হবে ওমান ম্যাচের জন্য। জাতীয় দলের কোচের জন্য কাজটি কঠিন হয়ে গেল। ‘শুরু থেকেই চোট আর নিষেধাজ্ঞায় দলের অবস্থা খারাপ ছিল। ৯ জন ফুটবলারকে হারিয়েছি আমরা। ভাগ্য ভালো যে নেপালে (তিন জাতি ফুটবলে) কিছু নতুন ফুটবলারকে খেলিয়েছিলাম। তারা দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস করেছে এবং খেলার স্টাইলও জানে’, বিকল্প চিন্তার কথা জানিয়েছেন জেমি ডে।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শেষ তিন ম্যাচের অনুশীলন শিবির শুরুর সময় থেকেই দলটি ইনজুরিজর্জর। সে সময় আবাহনীর স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ ভারত থেকে দেশে ফিরেছিলেন পায়ে অস্ত্রোপচার করিয়ে। চোটের কারণে বাদ পড়েছেন বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। ক্যাম্পে যোগ দিয়ে ছিটকে গেছেন আবাহনীর আরেক ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিন ও গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। শেষ ম্যাচের আগে চোট ও কার্ডের সাসপেনশনে বাদ পড়েছেন আরো চারজন ফুটবলার। এই পরিস্থিতিতে ওমানের বিপক্ষে সেরা একাদশ বাছাই করা কঠিন হলেও জেমি ভাবছেন, ‘স্কোরলাইন নিয়ে আমি চিন্তা করছি না। খেলোয়াড়রা তাদের সেরাটা দিয়ে কৌশল অনুযায়ী খেলতে পারলেই হবে।’

এদিকে ভারত ম্যাচের শোক কাটিয়ে এখনো উঠতে পারেননি ফুটবলাররা। সবার মধ্যে বড় হয়ে উঠেছে শেষ ১০ মিনিটের আফসোস। ওই সময়ে কেন ‘রক্ষণ ছক’ ঠিক রাখতে পারেনি। তাহলে অন্তত ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু তপু বর্মন অসহায়ের মতো বলছেন, ‘এভাবে আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়লে রক্ষণে একসময় ভুল হবেই। আমাদের সমস্যা হলো নিজেদের পায়ে বল রাখতে পারিনি বেশিক্ষণ। মাঝমাঠে নিজেরা বল পায়ে রেখে কিছুক্ষণ খেললেও রক্ষণের ওপর চাপ কিছু কমে। সেটা হয়নি বলেই ভারত আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে বেশি।’

সৃষ্টিশীল ফুটবলারের অভাবের কারণে মাঝমাঠের খেলা হয় না, ডিফেন্সিভ ফুটবলারের সংখ্যাই বেশি দলে। তা ছাড়া আক্রমণাত্মক ফুটবলও খেলতে জানেন না তাঁরা। তাই রক্ষণের ওপর চাপ পড়েছে বেশি এবং শেষ ১০ মিনিটে রক্ষণভাগ হারিয়েছে মনঃসংযোগ। সুনীল ছেত্রীকে ঠিকমতো মার্কিং করা হয়নি বলেই বাংলাদেশ প্রথম গোল হজম করে। এই ভারতীয় স্ট্রাইকারের পরের গোলটিও বাংলাদেশের রক্ষণ দুর্বলতার স্মারক।

ওমানের বিপক্ষে কার্ড ও ইনজুরিজর্জর দল নিয়ে রক্ষণাত্মক ঐক্য ধরে রাখাটাই বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –