ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
তামাক ব্যবহার বা ধূমপান অত্যন্ত ক্ষতিকারক, যা কার্যত মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত দেহের প্রতিটি অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধূমপানে বিষপান, সবারই জানা। তবু বহু মানুষ ধূমপান করে। বাইরে থেকে দেখলে যদিও বোঝা যায় না, কিন্তু ভিতরে ভিতরে ধূমপানে নিঃশেষ হতে পারে প্রতিটি অঙ্গ। বিশ্বজুড়ে বহু মৃত্যু ও রোগের কারণ হলো তামাক, যা চাইলেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এটি মানুষকে বয়সের আগেই মৃত্যুর দিকে টেনে নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়- বিশ্বের প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ সরাসরি তামাক সেবনে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশের ৩৫ শতাংশের বেশি মানুষ তামাকজাত দ্রব্য বিশেষ করে বিড়ি, সিগারেটে, জর্দা, সাদা পাতায় আসক্ত এবং তামাকের কারণে বছরে প্রাণহানি ঘটে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের।
তামাকের ব্যবহার : তামাক অত্যন্ত নেশাদায়ক। দুভাবে মানুষ তামাক ব্যবহার করে। যেমন ধোঁয়াহীন তামাক যা জর্দা, গুল, সাদা পাতা, নাকে নস্যি ইত্যাদি। আরেকটি হচ্ছে ধোঁয়াযুক্ত তামাক যা সিগারেট, বিড়ি, চুরুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইদানীং আবার ই-সিগারেট ব্যবহৃত হচ্ছে। সবগুলোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ধূমপানের ক্ষতিকর কিছু দিক : তামাক সেবন কিংবা ধূমপান মারাত্মক ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক অভ্যাস। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ সম্পর্কে জানে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ধূমপানের ফলে ধীরে ধীরে আয়ু কমতে থাকে।
ধূমপান ব্যবহার যে শুধু ধূমপায়ীকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা নয়, বরং পাশে থাকা অধূমপায়ীকেও সমানভাবে রোগাক্রান্ত ও মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে। ধূমপান বা তামাক ব্যবহারে যে ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হয় সেগুলো হলো :
(১) ক্যান্সার : ধূমপানে হাজার হাজার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যার মধ্যে ৭০টি রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টি করে। ধূমপানের কারণে ফুসফুস, মুখ, গলা, খাদ্যনালি, অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী, যকৃৎ, বৃহদান্ত্র, মলাশয়, স্তন, মূত্রাশয়, কিডনি ও জরায়ুর ক্যান্সার হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে- অধূমপায়ীদের চেয়ে ধূমপায়ীদের ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা দশ গুণ এবং মুখ, গলা, অন্ননালি, অগ্নাশয়, কিডনি, মুত্রথলি, জরায়ু মুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কয়েক গুণ বেশি। তামাকের ধোঁয়ায় থাকা কার্সিনোজেনিক পদার্থ মানবদেহের ডিএনএর ক্ষতি করে এবং ক্যান্সার কোষের বিকাশ ঘটায়।
(২) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা : ধূমপান সরাসরি ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। এটি শ্বাসনালি ও ফুসফুসের অ্যালভিওলিকে ক্ষতি করে। ফুসফুসের বিভিন্ন ব্যাধি যেমন দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস, এমফাইসিমা এবং সি.ও.পি.ডির মতো শ্বাসযন্ত্রের জটিল সমস্যাগুলোর জন্য ধূমপানকে দায়ী করা হয়। যাদের হাঁপানি আছে তাদের জন্য ধূমপান অত্যধিক ক্ষতিকর। ধূমপায়ীদের যক্ষ্মা এবং ফুসফুসের ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
(৩) রক্তনালি ও হৃদরোগ : ধূমপানের কারণে রক্ত ও রক্তনালিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তামাকের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর পদার্থ নিকোটিন, যা শরীরের রক্তনালিগুলোকে চিকন করে দেয় এবং রক্তনালির কোষগুলোকে নষ্ট করতে থাকে। রক্তনালিগুলোর মাঝে প্লাটিলেট জমতে থাকে, ফলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে যারা ইতোমধ্যেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। ধূমপানে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা অধূমপায়ীদের চেয়ে দ্বিগুণ এবং উচ্চ রক্ত চাপের অন্যতম কারণ।
(৪) কোলেস্টেরল : ধূমপানে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, কমে যায় ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা। এতে রক্তনালিতে চর্বি জমে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, পায়ে পচনশীল রোগ বা বার্জারস ডিজিজ, গ্যাংগ্রিন।
(৫) পরিপাকতন্ত্রের ওপর প্রভাব : ধূমপায়ীদের দন্তক্ষয়, ক্ষুধামন্দা, হজমের সমস্যা, গ্যাস্ট্রাইটিস, গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং বদহজমের সমস্যা হয়। সিগারেটের নিকোটিন মানুষের খাদ্যনালির স্ফিংটার বা দরজাকে অকার্যকর করে দেয়। ফলে অ্যাসিডিটি আরও বাড়ে এবং খাদ্যনালির প্রদাহ তৈরি করে।
(৬) গর্ভবতীর সমস্যা : ধূমপায়ী মহিলাদের মা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এ ছাড়া গর্ভবতী মায়েদের জন্যও এটা বেশ ক্ষতিকর। গর্ভের সন্তানের ক্ষতি এবং অকাল গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ধূমপানের ফলে গর্ভবতী মায়ের অপরিপক্ব শিশু জন্মের ঝুঁকি বাড়ায় অধূমপায়ী নারীদের চেয়ে অন্তত তিন গুণ। অকালে শিশুর জন্ম হওয়া (প্রিম্যাচুর বার্থ), শিশুর কম ওজন হওয়া, জন্মের সময় নানাবিধ সমস্যাসহ শিশু মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
(৭) নিকোটিন আসক্তি বাড়ায় : তামাকের ধোঁয়ায় নিকোটিন থাকে যা অত্যন্ত আসক্তিকারী একটি পদার্থ। ধূমপানের ১০ সেকেন্ডের মধ্যে রক্তের মাধ্যমে নিকোটিন চলে যায় ব্রেনে, যেটা ব্রেন থেকে ডোপামিন এবং অন্যান্য নিউরোট্রান্সমিটারকে মুক্ত করতে সাহায্য করে, যেমন এনডরফিন। এগুলো মানুষের শরীরে ভালোলাগার প্রকাশ ঘটায় এবং নিয়মিত ব্যবহারে একপর্যায়ে আসক্তি বা নেশায় পরিণত হয়। এ আসক্তির ফলে ধূমপান ত্যাগ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
(৮) প্রজনন সমস্যা : ধূমপান নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রজননকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে। নারীদের ক্ষেত্রে প্রজনন সমস্যা, গর্ভাবস্থায় জটিলতা, অকাল জন্মের ঝুঁকি, কম ওজনের সন্তান জন্মদান ইত্যাদি। পুরুষদের যৌন ক্রিয়াকলাপে অক্ষমতা বা ইরেকটাইল ডিসফাংশন এবং শুক্রাণুর গুণগত মান হ্রাস করে।
(৯) অন্যান্য জটিলতা : চোখে কম বয়সেই ছানি পড়তে পারে। ধূমপান হাড়কে ভঙ্গুর করে তোলে এবং শ্রবণশক্তি কমে। ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমায়, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, ফলে অকালে বলিরেখা দেখা দেয় বা ত্বক বিবর্ণ হয়। ইমিউন সিস্টেম বা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয় নিয়মিত ধূমপান, ব্যক্তির সংক্রমণ এবং অসুস্থতাকে দীর্ঘায়িত করে।
(১০) পরোক্ষ ধূমপায়ীদেরও ক্ষতি : বিড়ি-সিগারেট কেবল নিজে জ্বলে না, অন্যদেরও জ্বালায়। ধূমপান শুধু ধূমপায়ীর জন্যই বিপজ্জনক নয়, তার আশপাশে অধূমপায়ীদের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। যারা মনে করেন শুধু সরাসরি বা প্রত্যক্ষ ধূমপানের ফলেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, তাদের ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। নিজে ধূমপান না করলেও এর প্রভাবে ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে থাকা অন্য ব্যক্তিরা বা পরোক্ষ ধূমপায়ীরাও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। পুড়ে যাওয়া তামাকের বিরক্তিকর ও বিশ্রী ধোঁয়া বায়ুদূষিত করে, পানি দূষিত করে এবং গোটা পরিবেশকেই দূষিত করে। ধূমপায়ীর ঘরে অধূমপায়ী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ থাকলে তারাও সমানভাবে নিঃশ্বাসের সঙ্গে এ বিষ গ্রহণ করে। বিশেষ করে শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের বেশি ক্ষতি হয়। পরোক্ষ ধূমপানের ফলে দেহের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্যান্সার প্রক্রিয়া গতিশীল হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি ধূমপানের মতোই পরোক্ষ ধূমপানের ফলে ক্ষতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে বাড়তে থাকে ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্তের ঝুঁকি। তাই এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া এবং সতর্কতা অবলম্বন অত্যাবশ্যক।
(১১) আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি : বিড়ি, সিগারেট কেনার খরচ এবং সম্ভাব্য স্বাস্থ্যসমস্যায় ব্যয়ের কারণে ধূমপান ব্যক্তির ওপর উল্লেখযোগ্য আর্থিক প্রভাব ফেলে। ধূমপান সামাজিক বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। কারণ পাবলিক স্পেসে ধূমপান নিষিদ্ধ।
ই-সিগারেট : এটি মূলত সিগারেটের বিকল্প। সিগারেটের মতো দেখতে না হলেও সিগারেটের বিকল্প হিসেবেই ই-সিগারেটের আবির্ভাব। ফ্যাশনেবল হওয়ায় ব্যাটারিচালিত এ যন্ত্রটিতে প্রায়ই টান দিতে দেখা যায় বর্তমান তরুণদের। অনেকে সিগারেট ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট ব্যবহার করেন। এটিতে নিকোটিন, প্রপাইলিন গ্লাইকল অথবা ভেজিটেবল গ্লিসারিন এবং সুগন্ধি মিশ্রিত থাকে। এ ছাড়া ই-সিগারেটের প্রধান উপকরণ নিকোটিন থেকে দ্রুত আসক্তি তৈরি হয়। সিগারেট ছাড়ার বাসনায় যারা ই-সিগারেট ব্যবহার করেন, তাদের বরং উল্টো এর ওপর আসক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও ই-সিগারেটে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ফুসফুসের রোগ ও শ্বাসযন্ত্রে ইনফেকশন ঘটাতে পারে। ই-সিগারেটে যেভাবে রাসায়নিক নিকোটিন ব্যবহার করা হয়, এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মৃত্যুও হতে পারে। তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ই-সিগারেটে রয়েছে কার্সিনোজেনিক রাসায়নিক পদার্থ, যা থেকে ক্যান্সার হওয়ার যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাক নিয়ে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ই-সিগারেটকে সুনিশ্চিতভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ইসলাম কী বলে?
তামাক একটি ক্ষতিকারক, অপবিত্র ও দুর্গন্ধময় বস্তু এবং খারাপ, এটা সর্বজনস্বীকৃত। এ ব্যাপারে দুনিয়ার সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষ একমত, কোনো স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীও দ্বিমত পোষণ করেননি। বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, হুক্কা, জর্দা, গুল ইত্যাদি সেবনকারীর জন্য কোনো প্রকার পুষ্টির জোগান দেয় না, ক্ষুধাও নিবৃত্ত করে না। ইসলামে তামাকের মতো খাদ্যদ্রব্যকে বর্জনের কথা বলা হয়েছে। এটা খাবায়িস-এর অন্তর্ভুক্ত বলে তা খাওয়া বৈধ বা হালাল নয়।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন : “তিনি তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন অপবিত্র বস্তুগুলোকে হারাম করিয়া দেন” (সুরা আল-আরাফ : ১৫৭)। তামাক সেবনের মাধ্যমে জীবন জটিলতর হয়, দেহের ক্ষতি হয়, মানুষ তিলে তিলে নিজের জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। অথচ এ ব্যাপারে সতর্ক করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনে বলেন- “তোমরা নিজদিগকে নিজেরা ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ করো না”। (সুরা আল-বাকারা : ১৯৫)। তিনি আরও বলেন- “তোমরা একে অন্যকে হত্যা করো না”। (সুরা নিসা : ২৯)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা নিজেদের ক্ষতিসাধন করো না এবং অপরের ক্ষতিসাধন করো না”। (মুসনাদ আহমদ-সহিহ হাদিস)। হাদিসে আছে, নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনো স্থান ইসলামে নেই। (ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তায়ে ইমাম মালিক, দারা কুতনি)। আর তামাক সেবন এমনই একটা বস্তু যা নিজের ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী লোকের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ধন-সম্পদেরও অপচয় হয়। বিড়ি সিগারেটের মধ্যে থাকা নিকোটিন ক্ষতিকর। এগুলো মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে। অথচ ইসলামে নেশাজাতীয় যে কোনো দ্রব্য গ্রহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “আর যা নেশা উদ্রেক করে তাই নিষিদ্ধ”। (সহিহ মুসলিম : ৫১১৪)।
ধূমপানের মাধ্যমে ঘটে অর্থের অপচয়। আর ইসলাম অপচয় ও অপব্যয়কে সমর্থন করে না। আল্লাহতায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা অতিক্রমকারীকে পছন্দ করেন না। (সুরা আরাফ : ৩১)।
সিগারেট আজকের দিনে কারও কাছে ফ্যাশন, কারও কাছে চরম বিরক্তিকর; তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে কিশোররাও সিগারেটের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সিগারেটের পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি থাকলেও সিগারেট যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটা আজ সর্বজন স্বীকৃত। সুতরাং আসুন, ধূমপান তথা সব ধরনের তামাক সেবন বর্জন করি এবং সেটা আজ, এখন থেকেই। একটি কবিতার লাইন লিখে শেষ করছি :
“জ্বলন্ত সিগারেটে জ্বলে এ জীবন,
বুঝতে পারে না তবু প্রতারিত মন,
ধূমপানে পরিশেষে ঘনায় মরণ,
তবু কেন ধূমপান চলে আজীবন?”
লেখক, ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- বজ্রসহ বৃষ্টি ও তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
- পরিকল্পিত নগরায়ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সহায়ক
- সেই ইউএনওকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন
- ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৭৩৫ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ
- সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর
- আরও ৪ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুতে , হাসপাতালে ১২২৫
- পঞ্চগড় চিনিকল পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন
- ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
- সৎ-নীতিবান অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার : প্রধান উপদেষ্টা
- টি-টোয়েন্টিতে ‘ওয়ানডে’ খেলে ১০০-ও হলো না বাংলাদেশের
- দুই লাখের বেশি আনসার থাকবে সারা দেশে পূজামণ্ডপে
- কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৬
- আট মাসে বজ্রপাতে ২৯৭ জনের মৃত্যু
- ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭
- চড়ুইয়ের কিচিরমিচিরে মুখরিত এলাকা
- তেঁতুলিয়ায় ১৪ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
- রংপুরের ভাষা সৈনিক মজিবর রহমান মাস্টার আর নেই
- হিলি স্থলবন্দরে দুর্গাপূজায় ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- রংপুরে আন্দোলনকালে সবজি বিক্রেতা হত্যা মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
- সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
- আলিয়া যেখানে পৌঁছেছে তা ছুঁতেও পারব না : অনন্যা
- সীমান্তে পিঠ দেখাবে না বিজিবি, বিএসএফ-ভারতকে ছাড় নয়
- ব্রেইন ভালো রাখবে এই ৫ খাবার
- কুড়িগ্রামে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ ছাত্র-জনতার
- রংপুর এরিয়া পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ১০ বছর পর টি-২০ বিশ্বকাপে কোন ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ
- দুর্গাপূজায় বাংলাবান্ধায় ৬ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ
- কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মিজানুর রহম
- তাবলিগ জামায়াতের জেলা ইজতেমায় মুসল্লিদের ঢল
- রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে প্রতি কিলোমিটারে ১০০ গর্ত
- ঢাকা-রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে সরানো হলো
- দুপুরের মধ্যে ১৫ অঞ্চলে ধেয়ে আসছে ঝড়
- এবার সরানো হলো ঢাকা ও রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে
- ১৩ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন প্রধান শিক্ষক
- ষষ্ঠ-নবমে ৭০ নম্বরের বার্ষিক পরীক্ষা, থাকছে শিখনকালীন মূল্যায়নও
- সহধর্মিণী হারালেন নাট্যকার মামুনুর রশীদ
- সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক গ্রেফতার
- ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রস্তুত, বলছেন জেলেনস্কি
- মণিপুরে সংঘাতের আবহে মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারে ঘিরে ফেলছে ভারত
- নামাজের সময়সূচি: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
- ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, স্বাভাবিক হচ্ছে রাঙ্গামাটি
- নামাজের সময়সূচি: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ
- নামাজের সময়সূচি: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
- দুইজন একসঙ্গে সালাম দিলে কে উত্তর দেবেন?
- সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
- শাহ আমানতে আড়াই কোটি বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক
- নামাজের সময়সূচি: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- নামাজের সময়সূচি: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত