• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিদেশি কূটনীতিকদের মুখে ‘বাংলা ভাষা’

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

বাঙালি জাতির জীবনে আজ এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করার অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বাংলা মায়ের অকুতোভয় সন্তানেরা। এ অনন্য ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেসকো ১৯৯৯ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে বাঙালির আত্ম-অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের দিনটি সারা বিশ্বেই পালিত হয়ে আসছে।

ঢাকায় অবস্থানরত অনেক বিদেশি কূটনীতিকরাও বাংলা ভাষার ব্যবহার ও চর্চা করে থাকেন। কোনো কোনো অনুষ্ঠানের বক্তব্যের শুরুতে অনেক কূটনীতিকই প্রায়ই বাংলা ভাষায় স্বাগত জানান। সে কারণে কূটনীতিকরাও বাংলা ভাষা ব্যবহার ও চর্চায় পিছিয়ে নেই।

ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিক ছাড়াও বিদেশ থেকে আসা অনেক শীর্ষ কূটনীতিকও বাংলা ভাষা ব্যবহারের নজির রয়েছে।  

গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকা সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শুরুতে বাংলায় বক্তব্য দেন।

তিনি বক্তব্যের শুরুতে বাংলায় বলেন, ‘মনোমুগ্ধকর নদী মাতৃক এবং অতিথিপরায়ণ মানুষের দেশ বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এখানে এসেছি, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে। যখন বর্তমান বিশ্ব শান্তি ও নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করে চলছে। ’

এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারদের মুখেও বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষায় বক্তব্য শোনা গেছে। ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলা জানতেন। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষায় বক্তব্য দিয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন।

ঢাকায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে গেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তিনিও প্রায় বাংলা ভাষা ব্যবহার করতেন। বাংলায় গানও গাইতে পারতেন। হাওয়া সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গেয়ে দর্শকদের মাতিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কয়েকটি গান গেয়েছেন ইতো নাওকি। ঢাকার জাপান দূতাবাসের পাবলিক রিলেশন অ্যান্ড কালচার বিভাগের প্রধান কমিনে কেনও খুব ভালো বাংলা বলতে পারেন।

ঢাকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরাও বিভিন্ন সময়ে স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে বাংলা ভাষা ব্যবহার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বর্তমান মুখপাত্র জেফ রাইডেনাওয়ারও খুব ভালো বাংলা বলতে পারেন। তিনি ঢাকায় আসার আগেই বাংলা শিখেছেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলা ভাষায় ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেসব শুভেচ্ছা বার্তা বাংলাদেশিদের নজর কেড়েছে।

ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষায় কথা বলেছেন। বাংলায় ভিডিও বার্তায়   শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সৌদি রাষ্ট্রদূতের মুখে বাংলা ভাষা শুনে সবাই মুগ্ধ হয়েছেন।

এছাড়াও অতীতে বিভিন্ন সময়ে ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলা ভাষায় কথা বলেছেন। অনেকেই বাংলা ভাষা চর্চা করেছেন। বাংলা ভাষার প্রতি কূটনীতিকদের আগ্রহ ধীরে ধীরে বাড়ছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –