বিএনপি’র সময়ে কৃষকরা জীবন দিয়েছিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশে পরিচালিত হচ্ছে বিধাই আজকে আমরা বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছি। বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে থাকে না, লক্ষ লক্ষ গৃহহীন মানুষকে ঘর দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা সার ও বিদ্যুৎ পেয়েছে, জীবন দিতে হয় নাই। বিএনপির সময়ে সার ও বিদ্যুতের জন্য কৃষকদেরকে জীবন দিতে হয়েছিল। অনেক লোক মৃত্যুবরণ করেছে, গুলি করে তাদের হত্যা করা হয়েছিল।

শনিবার(২৭ আগস্ট) বিকেলে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, যারা এই দেশের স্বাধীনতা চায় নাই, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও শান্তি চায় নাই তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। এই আগস্ট মাসেই প্রধানমন্ত্রীর উপর গ্রেনেড হামলা ও এই দেশে সিরিজ বোমা হামলা হয়েছিল। সেই গোষ্ঠী রাজাকার-আলবদর বিএনপির-জামায়াত জোট, তারাই এই দেশের স্বাধীনতা চায় নাই। তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন জিয়াউর রহমান জাতীয় সংসদে ভোটের মাধ্যমে ‘ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বিল পাস করিয়েছিল। যাতে বঙ্গবন্ধুর ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার না হয়। তারাই রাজাকার-আলবদর ও নিজামীদের ক্ষমতায় নিয়েছিল। এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছিল। বাঙালীদের রক্তে যাদের হাত রঞ্জিত ছিল তাদের গাড়িতে এই দেশের পতাক ছিল এবং সেই পতাকা তারা পদদলিত করেছিল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় হাজার হাজার টাকা বিদেশে লোপাট করা হয়েছিল। সেই টাকা এই আওয়ামী লীগ সরকার আবার ফেরত এনেছে। তারা একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে নাই। তাদের সময়ে আমরা দেশের কোন উন্নয়ন দেখি নাই, দেশে খাদ্যর অভাব ছিল।

আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে এগিয়ে চলছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ, আমাদের অনেক অর্জন, সবখাতেই উন্নয়ন করেছে সরকার। মানুষের দোড়-গোরায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, করোনার আঘাতে আজকে সারাবিশ্বের অর্থনীতি ও মানুষের জীবন-যাত্রা বিপর্যস্ত। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি ঠিক আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনও ৬ ডিজিটের উপরে গ্রোথ আছে। যেখানে পৃথিবীর বড় বড় রাষ্ট্র মাইনাসে চলে গেছে, আমেরিকার, চায়না, ভারত মাইনাসে। বিশ্বের সব দেশেই জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ভালো আছে। সামনের দিনে যাতে দেশের মানুষদের দুঃখ-কষ্ট করতে না হয়, সেই জন্য আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খানের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আব্দুল মজিদ ফটো, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব সাহা, সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফছার উদ্দিন সরকার, মহিলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা বেগম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠেনের নেতৃবন্দরা উপস্থিত ছিলেন।