• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘অনলাইন মনিটরিংয়ে আওতায় আসবে খাদ্য অধিদফতরের কার্যক্রম’

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২২  

খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অনলাইন ফুড স্টক অ্যান্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেম চালুর ফলে খাদ্য শস্য সংগ্রহ, চলাচল,বিতরণ ও সংরক্ষণে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত হবে। এছাড়া সহসাই খাদ্য অধিদফতরের কার্যক্রম অনলাইন মনিটরিংয়ের আওতায় আসবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘অনলাইন ফুড স্টক অ্যান্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেম’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যকারিতা করোনাকালে প্রতীয়মান হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতি থাকায় জনসাধারণের কাছে সহজেই সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আপনাদের বলেছিলাম কাজের গুণগত মান ও সময়ক্ষেপণ যেন না হয় সেদিকে সুদৃষ্টি রাখবেন। আজকেও একই কথা বলতে চাই আপনারা সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবেন। কাজের গুণগত মানের সঙ্গে আমরা কোনো আপস করবো না।

সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ডিজিটাল যুগে নিজেদের প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেই সঙ্গে সেবাদানের মানসিক প্রস্তুতিও থাকতে হবে।

খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের সিনিয়র অ্যাডভাইজার সামিরা জুবেরি হিমিকা এবং খাদ্য অধিদফতরের পরিচালক (হিসাব ও অর্থ) মো. মাহমুদ হাসান বক্তব্য রাখেন।

খাদ্য সচিব বলেন, সব পর্যায়েই সুশাসন দরকার। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন আরো বেশি দরকার। খাদ্যের অভাব হলে সুশাসন বাধাগ্রস্ত হয়। খাদ্য নিরাপত্তা তাই প্রকারান্তে জাতীয় নিরাপত্তার ভূমিকা পালন করে। এই প্রকল্প খাদ্য অধিদফতরের কাজে গতিশীলতা আনবে।

দিনব্যাপী কর্মশালায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড, ভারতের টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড এবং টেকভ্যালী নেটওয়ার্কস লিমিটেড জেভি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ২৬১.৭১ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন হলে কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরি হবে যা খাদ্য শস্য সংগ্রহ, চলাচল, বিতরণ ও সংরক্ষণ কার্যক্রম মনিটরিং ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনবে। প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৫০০ জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হবে। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ১২০০ এর বেশি এলাকা (সিএসডি ও এলএসডি) যুক্ত করা হবে। ২৮ মাস মেয়াদি প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের অক্টোবরে শেষ হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –