• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

রংপুরে চালু হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাতকুয়া 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২২  

কৃষকদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প সেচ সুবিধার লক্ষ্যে রংপুরে চালু হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাতকুয়া। এর মাধ্যমে জমিতে সেচ দেওয়ায় কৃষদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কৃষকদের জন্য সৌরবিদ্যুৎ চালিত এ পাতকুয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)।

রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ১৭টি পাতকুয়া নির্মাণ করেছে বিএমডিএ। এর ফলে মাত্র ২০০-২৫০ টাকা খরচে এক বিঘা জমিতে সেচ দিতে পারছেন কৃষকরা। এতে একদিকে উৎপাদন খরচ কমে দেখা দিয়েছে লাভের সম্ভাবনা। অন্যদিকে ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগে জেলার প্রায় ৬৮০ বিঘা জমি সেচের আওতায় এসেছে। এতে উপকৃত হয়েছেন দেড় হাজারের অধিক সবজি চাষি।

বিএমডিএ সূত্র জানায়, সবজি চাষের জন্য প্রসিদ্ধ মিঠাপুকুর উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে চারটি পাতকুয়া নির্মাণ করা হয়েছে। এ উপজেলার সুবিধাভোগী কৃষক আশরাফ হোসেন জানান, তার ৬০ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছিলেন। পাতকুয়ার মাধ্যমে মাত্র ২০০ টাকা খরচে দুইবার সেচ দিয়েছিলেন। অথচ পাতকুয়া নির্মাণের আগে একবার সেচ দিতেই খরচ হতো ৮০০ টাকা।

পাতকুয়া অপারেটর বেলাল জানান, এ সুবিধা পাওয়ার পর এক একর শিম খেতে তিনবার সেচ দিতে খরচ হয়েছে ৪০০ টাকা। এর আগে, একবার সেচ দিতে খরচ হয়েছিল ৬০০ টাকা।

বিএমডিএ মিঠাপুকুর জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রায়হান হাবীব জানান, তিনি নিজেই মিঠাপুকুরে চারটি পাতকুয়া দেখভাল করেন। প্রতিটি পাতকুয়া ১২০ ফুট গভীর করা হয়েছে। কুয়ার ৬২ ফুট নিচে সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছে। কুয়ায় ৮৪টি আরসিসি রিং পাত আছে। একটি পাতকুয়া চলে ৫ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন আটটি সৌর প্যানেল দিয়ে। সৌরবিদ্যুৎ পরিচালিত পাম্পটির পানি সংরক্ষণে একটি টাওয়ারের ওপর তিন হাজার লিটারের ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। একটি পাতকুয়া ২৫ বিঘা জমি সেচের জন্য ডিজাইন করা হলেও ব্যাপক চাহিদা থাকায় অধিক জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের অধীনে রংপুর জেলায় ১৭টি পাতকুয়া নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া নীলফামারীতে ৮টি, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটে ৪টি করে পাতকুয়া নির্মিত হয়েছে।

বিএমডিএ রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান খান জানান, সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে পানি উত্তোলন হওয়ায় এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকায় পাতকুয়া শতভাগ পরিবেশবান্ধব। এতে সুবিধাভোগী কৃষকদের উৎপাদন খরচ অনেক কমে গেছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –