• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সাম্মাম ও রকমেলন চাষে রৌমারীর নজরুলের সাফল্য

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২১  

কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলার বিদেশি ফল সাম্মাম ও রকমেলন চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে শিক্ষিত বেকার যুবক কৃষি উদ্যোক্তা নজরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চেংটাপাড়া গ্রাম সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুই জাতের ফল চাষ করেছে, থাইল্যান্ডের সাম্মাম ফল ও ভারতের রকমেলন ফল, এ জাতীয় ফসলের জীবনকাল ৭৫ দিন, একর প্রতি ফলন হয় প্রায় আড়াই থেকে তিন টন। এ জাতের ফলগুলো পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় এলাকা ও সারাদেশে চাহিদা অনেক বেশি।

কৃষি উদ্যোক্তা নজরুল ইসলামের সফলতা ও স্বাবলম্বী হওয়া দেখতে প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসছে কৃষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ। নজরুল ইসলাম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে বর্তমান শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকার পাশাপাশি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেন।

কৃষি উদ্যোক্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ও আমার বন্ধু মিজানুর রহমান মিঠু ইউটিউবে সাম্মাম ও রকমেলন ফল চাষের ভিডিও দেখে পাশের জেলা জামালপুর থেকে বীজ সংগ্রহ করেছি। এক একর জমিতে সাম্মাম ফল ও এক একর জমিতে রকমেলন ফল চাষ করেছি। আমার খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা, দুই একর জমিতে ফলন হয়েছে প্রায় পাঁচ টন। বাজারে এক কেজি ফলের দাম ১শ আশি টাকা থেকে ২শ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা যায়। দুই একর জমির সাম্মাম ও রকমেলন ফল বিক্রয় করে আমার লাভ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা।

শৌলমারী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার বলেন, সাম্মাম ও রকমেলন একই প্রজাতির কিন্তু জাত ভিন্ন, এই ফল থাইল্যান্ড ও ভারতে মরু এলাকায় চাষাবাদ হয়। আমার ব্লকের দুই একর জমিতে এ ফল চাষাবাদ হয়েছে। রৌমারী অঞ্চলে এই জাতীয় ফল চাষাবাদের উপযোগী, আমরা কৃষকদের সাম্মাম ও রকমেলনের পাশাপাশি তরমুজ চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। বিদেশি ফল হওয়ায় এলাকায় পরিচিতি পেতে একটু সময় লাগবে। তবে এই ফল চাষাবাদ করে অল্প সময়ে কৃষক বেশি লাভবান হতে পারবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, মরু অঞ্চলের সাম্মাম ও রকমেলন ফল এই প্রথম রৌমারী উপজেলায় চাষ হয়েছে। সাম্মাম পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের ফল। এরমধ্যে এই ফল এলাকায় জনপ্রিয় হয়েছে। সাম্মাম ফলের বাইরের অংশ হলুদ, ভেতরের অংশ লাল, রকমেলন ফলের বাইরের অংশ সবুজ ভেতরের অংশ লাল। কৃষি উদ্যোক্তা নজরুল ইসলাম এই ফল চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। 

তিনি আরো বলেন- বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে, এই ফল চাষাবাদ করার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –