• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

সংকটে, সংগ্রামে ও অর্জনে গণমানুষের পাশে আ’লীগের ৭১ বছর

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২০  

“ঢাকার স্বামীবাগে রোজ গার্ডেন আর ১৫০ নম্বর মোগলটুলির শওকত আলীর বাসভবন। আওয়ামী লীগের জন্মসূত্রের সঙ্গে এ দুটি স্থানের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। কলকাতা থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একটি মামলা পরিচালনার জন্য ঢাকায় আসেন। তখন শওকত আলীকে তিনি মুসলিম লীগ ছেড়ে ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। এ পরামর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের নেতৃবৃন্দকে নতুন সংগঠন গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। ১৫০ নম্বর মোগলটুলিতে শওকত আলীর বাসভবন ও কর্মী শিবির অফিস ঘিরে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতিমূলক তৎপরতার পর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন স্বামীবাগে রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগের (পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ) জন্ম হয়েছিল।”

গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেয়া গণমানুষের সেই প্রিয় দল আওয়ামী লীগের আগামী ২৩ জুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বাংলাদেশীদের গড় আয়ু ৭১ বছর। আর ৬৬ বছর হলে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে বার্ধক্য। বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী কেউ ৬০ বছর পেরোলেই তিনি ‘সিনিয়র সিটিজেন’-এর মর্যাদা পান। সে হিসাবে আওয়ামী লীগ এ দেশের সিনিয়র রাজনৈতিক দল। শুধু এটি বললে কম হবে, বাঙালী জাতির মুক্তির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেয়া উপমহাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলও হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের জন্ম মোটেও সুখকর ছিল না। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন স্বামীবাগের রোজ গার্ডেনে নতুন দল গঠন করা হচ্ছে- বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন সরকার ভীত হয়ে পড়ে। ওই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মওলানা ভাসানীকে গ্রেফতার করার আশঙ্কা দেখা দেয়। তখন নতুন সংগঠন গড়ে তোলার কারিগররা মওলানা ভাসানীকে আত্মগোপনে রাখার ব্যবস্থা করেন এবং সম্মেলনের অন্তত দু’দিন আগে তাঁকে রোজ গার্ডেনে নিয়ে আসা হয়। মওলানা ভাসানীকে বোরকা পরিয়ে (মতান্তরে কম্বল জড়িয়ে) ঘোড়ার গাড়িতে করে রোজ গার্ডেনে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম-সম্পাদক করে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে। সম্মেলনে দলের নাম দেয়া হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরদিন ২৪ জুন ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে প্রকাশ্য জনসভার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের যে আন্দোলনের কর্মসূচী শুরু হয়, দীর্ঘ ৬৮ বছরে তার বিরাম নেই। বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে কখনও বিরোধী দলে, কখনও সরকারে থেকে দেশ গঠনে অনন্য অবদান রেখে চলেছে মাটি ও মানুষের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

১৭৫৭ সালের এই দিনে ভাগিরথী তীরে অস্তমিত হয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। ১৯২ বছর পর একই দিনে বাংলার মানুষের মুক্তি আর স্বাধিকার আদায়ের জন্য গঠিত হয় আওয়ামী লীগ। পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে এ দলটির জন্মলাভের মধ্য দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালীর হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ। বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ-স্বাধীনতা এ তিনটি শব্দ অমলিন, অবিনশ্বর। গৌরব ও ইতিহাসের বাঁক পেরিয়ে আজ ৬৯ বছরে পা দিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ মানেই বাঙালী জাতীয়তাবাদের মূলধারা। আওয়ামী লীগ মানেই সংগ্রামী মানুষের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের কাদা-মাটি গায়ে মাখা খেটে খাওয়া মানুষের কাফেলা। অতীতের মতো বাংলাদেশের ভবিষ্যতও আওয়ামী লীগের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা, সর্বশেষ সামরিক স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ- প্রতিটি অর্জনের সংগ্রাম-লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী একটিই রাজনৈতিক দল, তা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাঙালী জাতির প্রতিটি অর্জনেরও দাবিদার প্রাচীণ ও সুবিশাল এ রাজনৈতিক দলটি।

ভাষা আন্দোলন, গণআন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধ, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের পাতার পরতে পরতে একটিই নাম আওয়ামী লীগ। সব পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের হার না মানা নেতৃত্ব। এ দলের নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অঙ্গীকারদীপ্ত সংগ্রামী ভূমিকা ইতিহাসবিদিত। স্বভাবতই বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রের নির্মাতা আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। সামান্য বিচ্যুতি কিংবা ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে দলটি। যে মহান নেতার হাতে গড়া ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের আদর্শে বলীয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লাখো বাঙালী হাসতে হাসতে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন দেশমাতৃকার জন্য। প্রতিষ্ঠার এত বছর পর স্বভাবতই মানুষের প্রশ্ন জাগে- সেই আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা কি এখনও জাগ্রত আছে দলটির কোটি কর্মী-সমর্থকের মাঝে, নাকি সময়ের বিবর্তনে আদর্শ থেকে অনেকটাই বিচ্যুতি ঘটেছে? এত বছর পর উপমহাদেশের প্রাচীন ও বৃহৎ এ ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলটির নীতি-আদর্শ, সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব মেলাচ্ছেন দেশের মানুষ। তবে প্রায় ৩৬ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন নেতৃত্ব দিয়ে, মৃত্যুভয় ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ভাবধারার আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগকে কোটি কোটি মানুষের প্রাণের সংগঠনে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন।

গণমানুষের ভাব-ভাবনার ধারক আ’লীগ

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার স্বামীবাগে বিখ্যাত রোজ গার্ডেনে জন্ম হয়েছিল প্রাচীন এ রাজনৈতিক দলটির। এ দলের জন্মলাভের মধ্য দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালীর হাজারও বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দলটির নেতাকর্মীদের অঙ্গীকার ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালী জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ইতিহাস। জনগণের অকুণ্ঠ ভালবাসা ও সমর্থন নিয়েই দলটি বিকশিত হয়, যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি ভূখ-ের সীমানা পেরিয়ে এ উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ এবং জনসমর্থনপুষ্ট অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, মানবকল্যাণকামী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজের পরিচিতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বাঙালীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা, বাঙালীর আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বায়ত্তশাসন, সর্বশেষ স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগ তার আদর্শ এবং উদ্দেশ্যে অটল থেকেও সময়ের বিবর্তনে বৈজ্ঞানিক কর্মসূচীর মাধ্যমে একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত।

রোজ গার্ডেনে দলটি প্রতিষ্ঠালাভ করেছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে। ১৯৫৬ সালে ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত দলীয় কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামকরণের মাধ্যমে দলটি অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্যম-িত হয়। এক কথায় বলতে গেলে, বাঙালী জাতির সব মহতী অর্জনের নেতৃত্বে ছিল জনগণের প্রাণপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগ, যার মহানায়ক ছিলেন রাজনীতির মহামানব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী ও স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

দীর্ঘ রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই ও প্রাসাদসম ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দলটি আজ এ দেশের গণমানুষের ভাব-ভাবনার ধারক-বাহকে পরিণত হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ভাবধারার আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে দলটি। জন্মের পর থেকে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী দলটি বেঁচে আছে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে। জন্মলাভের পর ইতিহাসের রেকর্ড ভঙ্গ করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি আসনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ এখনও রাষ্ট্রক্ষমতায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিকে উপহার দিয়েছেন মহামূল্যবান স্বাধীনতা। তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা ভূমিধস বিজয় নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। টানা দু’দফায় ক্ষমতায় থেকে জাতিকে উপহার দিয়েছেন উন্নয়ন-অগ্রগতি ও ডিজিটালাইজড নতুন প্রজন্মের উপযুক্ত বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগের জন্মলাভের পর মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ’৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা, ’৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ’৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এ দলের নেতৃত্বে বাঙালী জাতি ক্রমশ এগিয়ে যায় স্বাধীনতার দিকে। এ দলের নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নিজের স্থান দখল করে। আর এসব আন্দোলনের পুরোধা ও একচ্ছত্র নায়ক ছিলেন ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দীর্ঘ ২১ বছর বিরোধী দলে অবস্থান করে আওয়ামী লীগ। এরপর ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করে। এর আগে এ দলের আন্দোলন সংগ্রামেই প্রতিষ্ঠিত হয় সংসদীয় গণতন্ত্র, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান অনুযায়ী পূর্ণ মেয়াদ শেষে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচনে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন ও নেতৃত্বশূন্য করতে বেশ কয়েকবার মরণাঘাত চালায় ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট। ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাসহ দলের শীর্ষস্থানীয় সকল নেতা অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেও ঝড়ে যায় অসংখ্য তাজা প্রাণ। ওয়ান ইলেভেনের পর আবারও ঝড় আসে আওয়ামী লীগের ওপরে। দীর্ঘ ১১ মাস কারাপ্রকোষ্ঠে বন্দী রেখেও বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগকে ভাঙতে পারেনি নেপথ্যের কুশীলবরা। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি আসনে দেশের জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিল আওয়ামী লীগকে।

ষড়যন্ত্র সেখানেই থেমে থাকেনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে ওঠে বিএনপি-জামায়াত জোট। হেফাজতের তা-বের পর নির্বাচন বানচালে শত শত মানুষকে ভয়াল ও নৃশংস কায়দায় পেট্রোলবোমা মেরে ও গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পৈশাচিক কায়দায় হত্যার মহোৎসব দেখেছে দেশবাসী। এমনকি নির্বাচনের দিনেও শতাধিক স্কুল-কলেজে আগুনে ভস্মীভূত, প্রিসাইডিং অফিসারকে কুপিয়ে ও আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টার পরও সাহসী বীর বাঙালী ৪০ ভাগেরও বেশি ভোট দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এনেছে ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগকে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসায় দলটির বয়স এখন সাড়ে তিন বছর।

আওয়ামী লীগ বাঙালী জাতীয়বাদের মূল ধারা। এটা বাঙালী জাতির গৌরবের যে, দ্বিজাতিতত্ত্বের চোরাবালি থেকে বাঙালী জাতিকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর মতো একজন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যিনি হাজার বছরের বাঙালী জাতির সাধনা, ধ্যান, জ্ঞান তার বিপুল সংস্কৃতির ভা-ারের অন্তর্গত সত্যকে নিজের জীবনে ধারণ করে তা রূপ দিয়েছিলেন দীর্ঘ দু’শ বছরের ধর্ম ও রাজনীতির সংমিশ্রণে জাতীয়তাবাদের বিকৃতি থেকে আমাদের মুক্ত করে। আগামী দু’এক শতাব্দীর মধ্যেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতো একজন মহামানব, যুগ সৃষ্টিকারী কোন ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটবে, তা কল্পনাও করা যায় না। তাই বাঙালী জাতি আওয়ামী লীগের শুভ জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানকেও।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –