• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

লাশ পোড়ানোর ঘটনায় কোরআন অবমাননার প্রমান পায়নি কমিটি

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২০  

লালমনিরহাটে ধর্মীয় অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে গুজব ছড়িয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন সহিদুন্নবী জুয়েলকে  পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় কোরআন অবমাননার কোনও প্রমাণ পায়নি জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল সকালে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করলে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।


এর আগে গেল ২৯ অক্টোবর নৃশংস এই ঘটনা ঘটার পরদিন ৩০ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টিএমএ মমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক।  কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম এবং ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক শহিদুল ইসলাম। কমিটির তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে দুই দফায় সময় বর্ধিত করা হলে অবশেষে ৯ কার্য দিবস পর গতকাল জেলা প্রশাসকের কাছে  ৭৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করে কমিটি।


প্রতিবেদনে বলা হয় কোরআন অবমাননা নয় , মানসিক ভারসাম্যহীন জুয়েল বাদানুবাদে জড়ান। সেখান থেকেই ঘটনার উৎপত্তি । এতে ধর্মান্ধ উগ্রবাদীরা সুযোগ নিয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টি এম এ মমিন তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, পবিত্র কোরআন অবমাননার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটি লিখিত ও মৌখিকভাবে প্রকাশ্যে ও গোপনে ৫০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে।

 তদন্ত  প্রতিবেদন গ্রহণের পর লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর তার কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদনটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তদন্ত প্রতিবেদনে পবিত্র কোরআন অবমাননার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ রয়েছে।’
 উল্লেখ্য গেল ২৯ অক্টোবর বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে গুজব ছড়িয়ে নৃশংস এ ঘটনা ঘটানো হয় ।

পরে জানা যায় নিহত যুবক সহিদুন্নবী জুয়েল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় হত্যা মামলাসহ মোট ৩ টি মামলায় ১১৪ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়। এসব মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ১০ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হলে তিনজন আদালতে ১৬৪ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –