• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

লালমনিরহাটে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় কয়েকজন শনাক্ত

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২০  

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে আবু ইউনুস মো. শহিদুন্নবী জুয়েল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত জানান, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এবং ঘটনার ভিডিও এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মোটামুটি কয়েকজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে সংখ্যাটা বলছি না। 

এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত কয়েকজনের নাম দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো, অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে তিনটি মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরো জানান, মরদেহ পোড়ানোর কারণে দেহাবশেষ যেটুকু পুলিশ উদ্ধার করেছে, তার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই দেহাবশেষ শনিবার নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব থেকে জুয়েলকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।

নিহত জুয়েল রংপুর শহরের শালবন রোকেয়া সরণি এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান ছিলেন। তার বড় মেয়ে জেবা তাসনিম এবার এইচএসসি পাস করেছেন। ছেলে তাশিকুল ইসলাম ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

বছর খানেক আগে চাকরি না থাকায় দুই সন্তানের বাবা এই ব্যক্তি কিছুটা মানসিক সমস্যায় ছিলেন বলে তার পরিবার জানান।
 
নিহতের চাচাতো ভাই সাইফুল আলম বিপ্লব জানান, আমরা হত্যা মামলা করেছি। আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। 

বুড়িমারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় মসজিদের খাদেম মো. জোবেদ আলী জানান, মসজিদের ভেতরে তাদের কয়েকজনের সঙ্গে নিহত ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়েছিল।  

লালমনিরহাটের এসপি আবিদা সুলতানা বলেন, নিহতের সঙ্গে যিনি ছিলেন, সেই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছি। আর মসজিদের ভেতরে যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আসলে পরস্পরবিরোধী কয়েকটা কথা আমরা পাচ্ছি। সবকিছু তদন্ত করে সঠিক বিষয়টা বের করবো। 

বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি এবং তার সঙ্গে থাকা অপর ব্যক্তিকে রক্ষার জন্য ইউপি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু শত শত মানুষ ইউপি ভবন ভাঙচুর করে, অগ্নিসংযোগ করে একজনকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।  

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –