• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

লালমনিরহাটে দ্বিতীয় দফায় বন্যা-পানিবন্দী ৩০ হাজার মানুষ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০  

অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার তিস্তা ও ধরলা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিন্মাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলায় পানিবন্দী রয়েছে প্রায় ৩০হাজার মানুষ। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ,বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরা। চারদিকে অথৈই পানির কারনে গবাদি পশুপাখি নিয়ে অনেকটা বিপাকে চরাঞ্চলের খামারী ও চাষিরা।


সোমবার (১৩জুলাই) দুপুরে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৯০ মিটার। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০মিটার বিপদসীমার ৩০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এদিকে রবিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেড এলার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ভারত থেকে প্রচন্ড গতিতে পানি আসায় তিস্তা ব্যারেজ হুমকির মুখে পড়েছিলো। গত রবিবার রাত ২টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। 


তবে সোমবার ভোর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাট থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৪৪সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং দুপুর হতেই পানি কমে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


তিস্তার পানি কমতে শুরু করলেও ভোগান্তি কমেনি তীস্তা তীরবর্তী মানুষের। উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট এ বন্যায় পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম,হাতীবান্ধার সানিয়াজান,গড্ডীমারী,সির্ন্দুনা,পাটিকাপাড়া,সিংগীমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারি ,কাকিনা,আদিতমারি উপজেলার মহিষখোচা,সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ,রাজপুর ,গোকুন্ডা,কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।এর ফলে এসব ইউনিয়নের প্রায় ৩০হাজার মানুষ পানিবন্দী।


সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের আশরাফুল আলম দুলাল বলেন,হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার পুকুরের লক্ষাধিক টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই বন্যায় খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো সরকারী সহায়তা আমরা পাইনি। 


ওই ইউনিয়নের পানিবন্দী একরামুল,আবদুল কাদের সহ একাধিক পানিবন্দী জানান, ঘরে পানি উঠায় আমাদের বাসায় রান্নার কোনো ব্যাবস্থা নেই। আমরা এখনো পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা পাইনি।


তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান,গত রাত ২টায় তিস্তার পানি বিদসীমার ৫৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো যা সকাল ৬টায় কমে ৪৪ সে.মি. উপর দিয়ে এবং দুপুরে বিপদসীমার ৩০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা আশা করছি সন্ধার মধ্যে পানি আরও কমে যাবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –