রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত মিয়ানমার
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মিয়ানমার।
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত এই আদালতে মামলার অন্তর্বর্তী রায় পড়ে শোনান আইসিজে’র প্রধান বিচারপতি আব্দুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ। সেখানেই মিয়ানমারকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন তিনি।
এদিকে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারকে চারটি অন্তবর্তী আদেশ দেয়া হয়েছে। আইসিজে’র ১৭ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বিচারিক দল এই আদেশ জারি করে।
আদেশগুলো হল-
১. গণহত্যাসহ সব ধরনের নিপীড়ন থেকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেয়া।
২. রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের সামরিক আধা সামরিক অথবা এই জাতীয় কোন সংস্থা এমন কোন ব্যবস্থা বা কাজ করবে না যাতে মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে।
৩. গণহত্যার কোনো আলামত নষ্ট না করা।
৪. মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কি কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি চারমাস অন্তর অন্তর আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে পেশ করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানো এবং গণহত্যা সনদ লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত আইসিজে'তে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে গাম্বিয়া। গত নভেম্বরে এই মামলার শুনানিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি উপস্থিত থাকলেও আজ আদালতে হাজির ছিলেন না তিনি। তার বদলে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন মন্ত্রী চো টিন্ট সোয়ে।
মিয়ানমার ও গাম্বিয়া উভয়েই ১৯৪৯ সালে গৃহীত গণহত্যা সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ। এই সনদের বাধ্যবাধকতা পূরণে মিয়ানমারকে বাধ্য করার লক্ষ্যেই এই মামলা। তিনদিনের ওই শুনানিতে অংশ নেন অং সান সু’চির নেতৃত্বে মিয়ানমারের একটি আইনজীবী দল। রাখাইনে কোনো অপরাধ ঘটে থাকলে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমার সেগুলোর বিচার করবে বলে জানানো হয় শুনানিতে। পাশাপাশি এই বিচারপ্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধিতা করে মিয়ানমার।
শুনানিতে অন্তবর্তী আদেশ জারির বিরোধিতা করে সু চি অজুহাত দেন, অন্তর্বর্তী আদেশ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া উদ্বাস্তুদের সম্ভাব্য পুনর্বাসনে বাধা তৈরি করবে। পাশাপাশি এ মামলা করার এখতিয়ার নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আইসিজেতে করা গাম্বিয়ার এ মামলায় রায় পেতে কয়েক বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে ‘অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ’কে এই আইনি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে কয়েকটি নিরাপত্তা পোস্টে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনা অভিযান চালায় মিনায়মারের সেনাবাহিনী।
প্রাণ বাঁচাতে সেখানকার প্রায় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পালিয়ে আসা ওইসব রোহিঙ্গাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বা শরীরে পোড়া ক্ষত নিয়ে আসেন। নারীদের শরীরে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার চিহ্ন স্পষ্ট ছিল।
পালিয়ে আসা ওই সব মানুষদের অভিযোগ ছিল, সেনাবাহিনী গ্রামের পর গ্রামে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। নারী ও শিশুদের ধর্ষণ করছে।
অভিযোগ তদন্তের জন্য ওই বছরই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বিভিন্ন দেশের তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্তদল গঠন করে।
গত আগস্টে সেই তদন্তদলের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যাতে বলা হয়, সংখ্যালঘু মুসলমানদের নির্মূল করতে গণহত্যার অভিপ্রায় থেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়ন করেছে।
এর আগে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন রাখাইনে রোহিঙ্গা মুলসমানদের উপর ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ চালানোর অভিযোগ তুলে মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং এবং আরো পাঁচ জেনারেলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করতে বলেছিল।
তখন মিয়ানমার ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- নারী ফুটবলারকে চুমুকাণ্ডে বড় শাস্তি পাচ্ছেন রুবিয়ালেস
- জায়েদ খানের নায়িকা হচ্ছেন ভারতের পূজা ব্যানার্জি, যা বললেন নায়ক
- জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনিদের হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনা
- সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
- শরীয়তপুরের সেই চিকিৎসককে চান না রৌমারীবাসী
- আইএমইআই পরিবর্তন করে মোবাইল বিক্রি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ চাকরি প্রত্যাশী
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে
- হাতীবান্ধায় জেলের জালে উঠে এল প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- প্রথম দিনেই ঢিল ছুড়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের গ্লাস ভাঙলো দুর্বৃত্তরা
- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে
- এনআইডি সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ছাড় নয়: সিইসি
- কয়েক বছরে হাজারের বেশি রোহিঙ্গার ভুয়া পাসপোর্ট করা হয়েছে: ডিবি
- ‘সবার প্রচেষ্টায় ভূমিসেবাকে স্মার্টসেবায় রূপান্তর করতে চাই’
- আজ থেকে অফিস-আদালত-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
- দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্বে অনন্য: ধর্মমন্ত্রী
- ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ
- ‘প্রশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারাই স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে’
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ব্রাজিল
- সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: এনামুল হক শামীম
- গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক: প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান
- জাতীয় ভোটার দিবস আজ
- ‘জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’
- আর্সেনিক দূষণ প্রতিরোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: ঢাবি উপাচার্য
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ব্রুনাইয়ের সুলতানের শুভেচ্ছা বার্তা
- কৃষি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ২২ এপ্রিল
- আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন অধ্যাপক ডা. শাখাওয়াত হোসেন