মেনিনজাইটিস- কেন এত ভয়ানক?
১৯৮৭ সাল।সৌদি আরবের মক্কায় হজ করতে এসেছেন লাখ লাখ মুসল্লি। হজ মৌসুম শেষের মুহূর্তেও হাজিরা বুঝতে পারেন নি,সৌদি থেকে তারা শরীরে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন মেনিনজাইটিস নামক ভয়ঙ্কর অসুখ। দুই হাজারেরও বেশি হাজি মেনিনজাইটিস এর জীবাণু দেহে নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। ওই সময়ে জীবাণুটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হয় সেই দুই হাজার মানুষ থেকে সারা বিশ্বে প্রায় সত্তর হাজার মানুষ মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হন।
আমাদের ব্রেইন ও স্পাইনাল কর্ডকে রক্ষার জন্য এদের বাইরে তিনটি টিস্যু স্তর রয়েছে, যার নাম মেনিনজেস। আর অল্প কথায় বলতে গেলে, এই মেনিনজেসের প্রদাহই হলো মেনিনজাইটিস। অন্যান্য রোগের তুলনায় মেনিনজাইটিস এর প্রকোপ যে বেশ ভয়াবহ তার কারণ হলো, এরা বিদ্যুৎ গতিতে একজন মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় একজন মানুষ মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মাত্র এক দিনের মধ্যেই মারা যেতে পারেন! সৌভাগ্যবশত, যদি সময়মত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়, এ অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হয় অনেক ক্ষেত্রেই।
প্রাথমিকভাবে কারো মেনিনজাইটিস হতে পারে তিনটি উপায়ে- ছত্রাক বাহিত হয়ে, ভাইরাসের মাধ্যমে অথবা ব্যাকটেরিয়াবাহিত হয়ে।এদের মধ্যে ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস সবচেয়ে প্রাণঘাতী।একজন মানুষ যখন ব্যাক্টেরিয়াল মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হন, তখন তার লালা ও মিউকাসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে। এগুলোর সংস্পর্শে এলে অন্য একজন সুস্থ মানুষও মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হতে পারেন।এছাড়া চুম্বন, সিগারেট বা টুথব্রাশ অথবা চামচ ভাগাভাগি করলেও এ রোগ একজনের থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মেনিনজাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে কোনো রকম লক্ষণ প্রকাশ পাবার আগেই তিনি উপরোক্ত উপায়গুলোর মাধ্যমে রোগ ছড়ানো শুরু করতে পারে।
একবার যখন মেনিনজাইটিসের ব্যাক্টেরিয়াগুলো আমাদের মুখ, নাক অথবা গলার ভেতরে প্রবেশ করে, তারা এসব অঙ্গের প্রাচীর ভেদ করে রক্তস্রোতে মিশে যায়।এতে করে ব্যাক্টেরিয়া খুব দ্রুত শরীরের টিস্যুগুলোতে পৌঁছানোর সুযোগ পায়।এ টিস্যুগুলের মধ্যে একটি হলো ব্লাড-ব্রেইন মেমব্রেন। এই পর্দাটি খুব আঁটসাঁট কোষের গাঁথুনিতে তৈরি এবং এটি রক্তনালী ও ব্রেইনকে আলাদা করে রাখে। এই মেমব্রেন ভেদ করে কেবলমাত্র কিছু নির্দিষ্ট তরল ও গ্যাস যেতে পারে। মেনিনজাইটিস ব্যাক্টেরিয়া বিশেষ কৌশলে এ পর্দা অতিক্রম করে, যা বিজ্ঞানীরা এখনো খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
ব্রেইনে প্রবেশ করে মেনিনজাইটিস ব্যাক্টেরিয়া খুব দ্রুত মেনিনজেসকে আক্রমণ করে।দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত এর প্রতিকার করতে চাইলে শুরু হয় প্রদাহ। ফলাফল হিসেবে দেখা দেয় প্রচণ্ড জ্বর ও মাথাব্যথা। একটা সময় গিয়ে মেনিনজেস ফুলতে শুরু করে ও বেশি ফুলে গেলে রোগীর ঘাড় শক্ত হয়ে যায়।ব্রেইনের স্বাভাবিক কর্মতৎরতা ব্যহত হয়, রোগী কানে শুনতে পায় না ও আলো দেখলে অস্বস্তি বোধ হয়। মেনিনজেস বেশি ফুলে গেলে মাথার ক্রেনিয়াম (হাড়) এ চাপ পড়ে, এর ফলে রোগী দিশেহারা হয়ে পাগলের মত আচরণ শুরু করে। এ লক্ষণটি দেখা গেলে মেনিনজাইটিস নিয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকে না।
মেনিনজাইটিস ব্যাক্টেরিয়া ব্রেইনে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করার পর বংশবৃদ্ধি করা শুরু করে ও বিশেষ এক ধরণের টক্সিন নির্গত করে। ফলস্বরূপ, দেখা দেয় সেপ্টিসেমিয়া। সেপ্টিসেমিয়াকে ব্লাড পয়জনিংও বলা হয়। এর ফলে রক্তনালী ফেটে যায় ও চামড়ার নিচে রক্ত জমে ফুসকুড়ি দেখা যায়। একই সময়ে রক্তের অক্সিজেনের সহায়তা নিয়ে টক্সিন দাহিত হয়, ফলে ফুসফুস ও বৃক্কের মতো অঙ্গগুলোতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়।এসব অঙ্গ তখন কাজ করা বন্ধ করে দেয়, সারা শরীরে সেপ্টিসেমিয়া ছড়িয়ে পড়ে ও রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
তবে আশার আলো হচ্ছে, মেনিনজাইটিস এর রয়েছে খুবই কার্যকর চিকিৎসা। রোগ শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা দিতে পারলে বাঁচানো সম্ভব অধিকাংশ সময়ে। কিন্তু চিকিৎসা দিতে বিলম্ব হলে অক্সিজেনের অভাবে দেহের অধিকাংশ কোষের মৃত্যু ঘটেলে পরে আর রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। তাই আমাদের সকলেরই এই সর্বনাশা রোগের লক্ষণ জেনে রাখা ও সাবধানে থাকা অতি জরুরি।
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- গাজার সেই শহরে আবারও নারকীয় হামলার ঘোষণা ইসরায়েলের
- পাটপণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী
- জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী: স্পিকার
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- কালীগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি আটক
- হাতীবান্ধায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ
- ভ্রু ম্যাজিক
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে
- ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- পাকিস্তান-ইরানের সম্পর্কের নতুন মাত্রা
- ‘জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি’
- পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হলেন ১৩০ জন
- আমিরাতে পৌঁছেছে জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ, সুস্থ আছেন নাবিকরা
- ঢিলেঢালা পোশাক ও যথাসম্ভব ছায়ায় থাকুন: চিফ হিট অফিসার
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- বোরো মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ভ্যানামি চিংড়ির পোনা আমদানির অনুমোদন দিল সরকার
- লালমনিরহাট জেলা সমিতি রংপুরের উদ্যোগে ইফতার ও মতবিনিময়
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক: প্রধানমন্ত্রী
- বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন শাজাহান খান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা নিয়ে যা জানা গেল
- বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই ব্যবস্থা: আইজিপি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু নিহত
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ব্রুনাইয়ের সুলতানের শুভেচ্ছা বার্তা
- বেরোবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, থানায় জিডি
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শ্যামল জয়ী
- সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে গাড়ি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির