• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ভাইকে ফাঁসাতে স্ত্রীর নামে জমি দলিল করে দেওয়ার অভিযোগ!

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২০  

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের তৃতীয় পুত্র মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আপন বড় ভাই আব্দুল ওহাবকে ফাঁসাতে তার স্ত্রীর নামে জমি দলিল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৪৪ শতক জমি চার ভাই ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর পারিবারিকভাবে বসে স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তাদের আপন চাচা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব নমির উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দেড়শত টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্টাম্পে লিখিতভাবে ভাগ-বাটোয়ারা করে দেন। ওই জমি তারা সকলেই দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ করে আসতেছে এবং প্রত্যেকেই ওই সময়ের ভাগ-বাটোয়ারা করা জমিতে পাকা ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ দশ বছর পর মমিনুল ইসলাম তার আপন বড় ভাই আব্দুল ওহাবের বাসার সামনের অংশ দখল করার চেষ্টা করেন। 

এ ঘটনায় আব্দুল ওহাব উপায়ন্তর না পেয়ে স্থানীয় আদিতমারি থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। যা স্থানীয় থানা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করেন এবং এক পর্যায়ে তাদের মাঝে সৃষ্ট বিরোধ সমাধান করে দেন। পরবর্তীতে কিছুদিন না যেতেই আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে জমি দখল করার চেষ্টা করেন মমিনুল। এ ঘটনায় আব্দুল ওহাব আবারও গত ২৩ সেপ্টেম্বর আদিতমারি থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।

এ বিষয়ে আব্দুল ওহাব বলেন, আমরা ২০১০সালে আমাদের জমি পারিবারিকভাবে বসে লিখিতভাবে  ভাগবাটায়ারা করে নেই। দীর্ঘদিন ভাগ বাটোয়ারা করা জমিগুলো আমরা ভোগ করে আসছি এবং বাড়ি নির্মান করেছি। প্রায় ১০ বছর পর আমার ছোট ভাই মমিনুল ইসলাম আমার বাসার আঙ্গিনার জমি দখল করার চেষ্ঠা করে। পরে জানতে পারি মমিনুল আমাকে ফাঁসাতে তার স্ত্রী সুলতানা পারভীন রূপালীর নামে সেই জমি লিখে দিছে। বর্তমান সময়ে আমার ছোট ভাই ও তার স্ত্রী রুপালী আমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

ওই এলাকার খুরশিদ আলম ও রফিক খান বলেন, তারা চার ভাই ১০বছর আগে জমি ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে । বর্তমান  হঠাৎ তাদের মাঝে জমি নিয়েই বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।

ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম জানান, ১০ বছর আগে তাদের জমিজমার ভাগ বাটোয়ারা হয়। তখন আমি এই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলম। আমি লেখালেখির সময় উপস্থিত ছিলাম। হঠাৎ তাদের মাঝে একই জমি নিয়ে বিরোধের সুৃষ্টি হয়েছে।

মৃত ছমির উদ্দিনের ছোট ছেলে সাফিউর রহমান মানিক বলেন, আমাদের বড় ভাই সায়েদুর রহমানের প্ররোচনায় এসব বিশৃঙখলা ঘটতেছে। তারা ১০ বছর পর হঠাৎ আমার বড় ভাই আব্দুল ওহাব ও আমার জমি দখল করতে চায়।

তাদের আপন চাচা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নমির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি ২০১০ সালে তাদের জমি ভাগবাটোয়ারা করে দেই । তখন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলো। মমিনুল হঠাৎ তার ভাইদের জমি অন্যায়ভাবে দখল করতে চচ্ছে।

এ বিষয়ে মমিনুল ইসলাম জানান, ১০ বছর আগে তারা আমার কাছে স্টাম্পে জোড়পূর্বক স্কাক্ষর গ্রহন করেছে। আমি তাদের ভাগ বাটোয়ারাকৃত স্ট্যাম্প মানি না। জোড়পূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার পরে কোনো আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –