• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

বেরোবি ভিসির পর এবার ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২১  

অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য হিসেবে পরিচয় না দিতে নোটিশের মাধ্যমে সতর্ক করার পর এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদের বিরুদ্ধে সকল বে-আইনি ও শাস্তিযোগ্য আর্থিক দুর্নীতির কারণে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খন্দকার রফিক হাসনাইন এ নোটিশ দেন। এতে আগামী ৩ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ট্রেজারারকে পাঠানো ওই নোটিশের অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সিন্ডিকেট সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারের আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, হাসিবুর রশিদ ট্রেজারার হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে সাবেক ভিসি ড. কলিমউল্লাহ’র দুর্নীতি ও অবৈধ সকল কর্মকাণ্ডের আর্থিক অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রপতির দেওয়া নিয়োগের সকল শর্ত অমান্য করে চলেছেন। এছাড়া তিনি নিজেও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

ওই নোটিশে বলা হয়, হাসিবুর রশিদ ট্রেজারার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেলেও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবৈধভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন যা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ২০০৯ আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। এই আইনের ধারা ১৩ অনুযায়ী ট্রেজারার পদটি শুধুমাত্র অর্থ সংশ্লিষ্ট। ট্রেজারার হিসেবে তিনি সাবেক ভিসি ড. কলিমউল্লাহ’র সকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের আর্থিক অনুমোদন দিয়ে চলেছেন। এ ছাড়া, হাসিবুর রশিদ মিথ্যা, ভুয়া ও জাল ভাউচার দিয়ে অবৈধ বিল তৈরি করে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন এবং অন্যান্যদেরকেও লাভবান হতে সাহায্য করেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইনি নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রেজারারের উপস্থিতি সত্বেও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও জাতীয় পতাকা অবমাননার মতো ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে হাসিবুর রশিদ নীরব ভুমিকায় ছিলেন। রাষ্ট্রপতির দেওয়া দায়িত্বকে অবহেলা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিবিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ চলতি বছরের ১৩ মার্চ ট্রেজারার হাসিবুর রশিদ এবং ড. কলিমউল্লাহ’র বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির ৭৯০ পৃষ্ঠার ১১১টি অভিযোগ সংবলিত শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। সেখানে ‘দুর্নীতির সহযোগী’ হিসেবে উল্লেখ করে ট্রেজারার হাসিবুর রশিদের নামও উঠে এসেছে। এ ছাড়া, ট্রেজারার হাসিবুর রশিদসহ ড. কলিমউল্লাহ’র দুর্নীতির সহযোগীদের অপসারণের জন্য সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

এ বিষয়ে ট্রেজারার হাসিবুর রশিদ বলেন, ‘আমি এখনো কোনো লিগ্যাল নোটিশ পাইনি। আমার নামে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। বরং আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’

ট্রেজারার হয়েও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ডিন ও বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে হাসিবুর রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ১৩ (২) তে উল্লেখ আছে ভিসির ক্ষমতাবলে ট্রেজারারকে দেওয়া অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য।

এর আগে, শনিবার (৫ জুন) ড. কলিমউল্লাহকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে পরিচয় না দেওয়া, ভিসি পদের কোনো কার্যক্রম না চালানো, ফাইলে স্বাক্ষর না করা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রকার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ না করাসহ সিন্ডিকেট ও বিভিন্ন সভা থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী খন্দকার রফিক হাসনাইন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –