বাড়ছে ই-কমার্স-কর্মসংস্থান
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি গোটা বিশ্বকে উলট-পালট করে দিয়েছে। চেনা মানুষ, চেনা-জানা পরিবেশ এখন সকলের কাছে অচেনা মনে হচ্ছে। উন্মুক্ত মানুষকে এখন অনেকটা ঘরবন্দি ও চলাচল সীমিত করে দিয়েছে। অর্থনীতিতে এই ভাইরাসের আঘাতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। সুদুরপ্রসারী আরও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারপরও থেমে নেই জীবন-জীবিকা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-জীবিকাকে সহজ করেছে ভার্চুয়াল মাধ্যম।
বিগত কয়েক বছর থেকেই দেশে অনলাইন কেনাবেচা জনপ্রিয় হচ্ছিল। শহরের মানুষ যানজট ঠেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করে কেনাকাটার প্রচলিত রীতি থেকে বেড়িয়ে ঘরে বসেই কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছিলেন। বড় বড় শপিং মলে বিশাল জায়গা-দোকান নিয়ে পণ্য সাজিয়ে বসার প্রথাগত পদ্ধতির মার্কেটও বদলে যাচ্ছিল ধীরে ধীরে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এই গতি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে ই-কমার্স সেক্টরকে ২০২৫ সালে যে জায়গায় চিন্তা করা হচ্ছিল, করোনা পরিস্থিতি সেই জায়গায় ৫ বছর আগেই পৌঁছে দিয়েছে। এখন পাড়ার মুদি দোকান থেকে শুরু করে দেশের বড় বড় শপিং মলগুলোর দোকানদারও অনলাইনে পণ্য বিক্রি করছেন। শহরের ধনী-শিক্ষিত মানুষ থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক-চাষীরাও শিখেছেন এই মাধ্যমে কেনাবেচা। আর করোনাকালে যেখানে অন্যসব সেক্টরের কর্মসংস্থানে অনিশ্চয়তা, ছাটাই হয়েছে সেখানে অনলাইন মার্কেটে চাকরি হয়েছে অনেকেরই।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যমতে- দেশে ওয়েবভিত্তিক অনলাইন শপ আছে এক হাজার থেকে ১৩’শ এর মতো। ফেসবুকভিত্তিক আছে ১০ হাজারেরও বেশি। ফেসবুকভিত্তিক পেজগুলোর বাইরে শুধু ওয়েবসাইটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেই গত ১ বছরে ১ লাখেরও বেশি মানুষের নতুন করে কর্মসংস্থান হয়েছে। আর ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এর তথ্য অনুযায়ী, এই খাতে সারাদেশে গত কয়েকবছরে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষের। বছরে এখন অনলাইনে পণ্য বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার কোটি টাকার উপরে। গতবছর প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার পণ্য কেনাবেচা হয়েছে অনলাইনে। সাধারণ সময়ে প্রতিদিনই অনলাইনে ডেলিভারি দেয়া হয় ২০ হাজারের বেশি। আর এখন চাল-চালসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করা অনলাইন প্রতিষ্ঠান চালডাল ডট কম একাই ডেলিভারি দিচ্ছে ১২ হাজারের বেশি অর্ডার।
গত মাস থেকে চলমান লকডাউন, রমজান ও ঈদের কারণে অনলাইনে পণ্যের অর্ডার ও ডেলিভারি তিন থেকে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনা শুরুর পর বিশেষ করে লকডাউনে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি গ্রোসারি পণ্যের অর্ডার হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
চালডাল ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জিয়া আশরাফ বলেন, গতবছর করোনাকালে আমরা হঠাৎ করেই প্রচুর অর্ডার পাওয়া শুরু করি। তবে সেসময় প্রস্তুতি না থাকায় কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা সক্ষমতা বাড়িয়েছি। এখন ঢাকায় আমরা ১২ হাজার অর্ডার পর্যন্ত সার্ভ করতে পারি। এক বছরে আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক বেড়েছে। চট্টগ্রামে আমারা প্রায় তিন হাজার সার্ভ করতে পারি। যশোরে আমাদের অপারেশন শুরু করেছি। অর্ডারের পাশাপাশি বেড়েছে চালডালের ওয়্যার হাউজের সংখ্যাও। আগে যেখানে চালডালের ওয়্যারহাউজ ছিল ছয়টি। এখন সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১টিতে। তিনি বলেন, আমরা চাই মানুষ যেনো নিত্যপ্রয়োজনীয় যে কোন পণ্য চাইলেই ঘরে বসে নিতে পারেন।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির আরেকটি প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন। ‘স্বপ্ন’ সুপারশপের হেড অব কাস্টমার অ্যানালিটিকস অ্যান্ড কাস্টমার কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজার মেহজাবিন বাঁধন বলেন, লকডাউন ও রমজানে অনলাইনে অর্ডার আগের চেয়ে ৩৫ ভাগ বেড়েছে। ওয়েবসাইটে যে কেউ আমাদের পণ্য অর্ডার করলে আমাদের ডেলিভারি পারসন তা গ্রাহকের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। গত বছর আমাদের ৩৫ জন ডেলিভারি পারসন ছিল অনলাইনে অর্ডার বেড়ে যাওয়ায় আমরা ডেলিভারি পারসনও বাড়িয়েছি। এ বছর এখন পর্যন্ত ৬৬ জন লোকের ডেলিভারি পারসন হিসেবে কর্মসংস্থান হয়েছে স্বপ্নে।
বাংলাদেশে একইরকম আরও বেশকিছু শীর্ষ অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোর মধ্যে রয়েছে বিক্রয় ডটকম, দারাজ, আজকের ডিল, বাগডুম, প্রিয়শপ, রকমারি, পিকাবু, ই-ভ্যালিসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান। তবে এই লকডাউনে নামী থেকে অখ্যাত সবার ব্যবসাই বেড়েছে। অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদিপণ্য ও কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স, ফার্নিচার, প্রসাধনী, গয়না, ফ্যাশনওয়্যার, শিশুপণ্য, স্মার্টফোন ও ক্যামেরা, হোম ডেকোর ও লাইটিং, হোমওয়্যার, স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক পণ্য এখন কেনাবেচা হচ্ছে অনলাইনে।
লকডাউনে কেনাবেচা কী পরিমাণ বেড়েছে জানতে চাইলে দারাজের কর্মকর্তা সায়ন্তনী ত্বিষা বলেন, এভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ দেশে এখন ই-কমার্স ডে চলছে। এ সময়ে এমনিতেই বেচা-বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। ক্রমবর্ধমান চাহিদা সামাল দিতে দারাজের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে দাবি করে ত্বিষা আরও বলেন, সরকারের সব নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রটোকল মেনেই গ্রাহকদের তারা এই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ধামাকাশপিং ডটকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সিরাজুল ইসলাম রানা বলেন, লকডাউনে মানুষকে যাতে ঘরের বাইরে বেরুতে না হয় সে জন্য নতুন রকেট সার্ভিস এনেছে তারা। চাল, ডাল ও ওষুধের মতো পণ্যের চাহিদাই এখন বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেলাররা সংযুক্ত হচ্ছেন ধামাকা রকেট সার্ভিসে। যারা চেষ্টা করছেন এই লকডাউনে স্বল্প সময়ে দোড়গোড়ায় পণ্য পৌঁছে দিতে। এই সার্ভিসে দেশের যেকোনো প্রান্তে মাত্র ৩২ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য পৌঁছাবে ধামাকার রকেট সার্ভিস। অনলাইনে খাবার ও মুদিপণ্য ডেলিভারির শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম ফুডপান্ডা। এই লকডাউনে ভোক্তাদের কাছে খাবার, মুদিপণ্যসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাপের পান্ডামার্ট বা ‘শপস’ সেকশন থেকে যেকোনো ক্রেতা অর্ডার করলে খাবার ডেলিভারি ছাড়াও মুদিপণ্য, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এসব পণ্য ডেলিভারির জন্য রাইডারদের হাত বারবার স্যানিটাইজ করা ও মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছেন তারা।
ই-ভ্যালি ডট কমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, লকডাউন ও রমজানে ই-ভ্যালির বিক্রি বেড়েছে প্রায় তিন গুণ, একইসাথে কর্মসংস্থানও বেড়েছে। গতবছর ইভ্যালিতে কর্মী সংখ্যা ছিল ৪’শ, আর এখন এক হাজারেরও বেশি ফুল টাইম কর্মী ইভ্যালির সাথে কাজ করছেন। এছাড়া লজিস্টিকস ও ই-ফুডে আরও প্রায় ছয় হাজার ফ্রিল্যান্স ভিত্তিতে কাজ করছে। তিনি জানান, এখন ইভ্যালিতে বেশি বিক্রি হচ্ছে মোটরবাইক, মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, এসির মত হোম এপ্লায়েন্স। এছাড়া ফ্যাশন হাউজের তৈরি পোষাক, গিফট কার্ডও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে।
অনলাইন কেনাকাটা করেন রাজিয়া আহমেদ নামে একজন কর্মজীবী নারী। অনলাইনে তিনি পোষাকের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যই চাল, ডাল, বই ইত্যাদিই বেশি কেনাকাটা করেন। কেন কেনাকাটার জন্য অনলাইন মাধ্যমকে বেছে নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় বাঁচে, শ্রম বা এমনকি অর্থও বাঁচে। রাজিয়া বলেন, আমাকে অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তারপর যেটুকু সময় পাই তা যদি কেনা কাটা বা শপিং-এর পিছনেই ব্যয় করি, তাহলে নিজস্ব দরকারি কাজগুলো কবর কখন। তাই অনলাইনেই পছন্দ করি। অর্ডার দেই। বাসায় ঠিক সময় জিনিস পৌঁছে দেয় অনলাইন শপগুলো। পেমেন্টে দিয়ে দিই। কোনো ঝামেলা নেই।
দাম কিংবা সার্ভিস চার্জ নিয়ে কোন আপত্তি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজে কিনতে গেলে কিছুটা কম পড়ে কিন্তু সময়, ট্রাফিক জ্যাম ঠেলে যাওয়া মানে যুদ্ধ জয় করার মতো।
জানা যায়, এখন বড় বড় শপিং মলগুলোতে মানুষের ভিড় কমে যাওয়ায় বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোও পৃথক পৃথক নামে ফেসবুকে পেজ খুলে তাদের পণ্য বিক্রি করছেন। অনলাইনে অর্ডার দিলে তারা প্রতিষ্ঠিত ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান কিংবা নিজেদের ডেলিভারি পারসনের মাধ্যমে তা গ্রাহকের কাছে পৌছে দিচ্ছেন। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যই নয়, এখন প্রতিবেলার খাবারও পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। ফুড পান্ডা, ই-ফুড, সহজের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যে কোন রেস্টুরেন্টের খাবার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ঘরে বসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাবারদাবারসহ অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। যেটি করোনা মহামারির মধ্যেও অনেক কর্মহীন মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। গত এক বছরে প্রায় এক লাখ মানুষ অনলাইনে কেনা পণ্যের ডেলিভারি কাজের সুযোগ পেয়েছেন। খাদ্য সরবরাহকারী ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিপুল পরিমাণ অনলাইন অর্ডারের পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে হাজার হাজার ডেলিভারিপারসন নিয়োগ দিচ্ছে। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ঘরে বসে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র কিনতে সহায়তা করছেন এসব ডেলিভারিপারসনরা। ব্যবসা-বাণিজ্যের চরম মন্দাবস্থার কারণে যেখানে লাখ লাখ মানুষ কাজ হারাচ্ছেন, সেই পরিস্থিতিতেও নতুন করে কাজের সুযোগ পাওয়া তাদের জন্য বেশ স্বস্তিরও ব্যাপার। অর্ডার করা পণ্য নিয়ে তারা দলবেঁধে ছুটে যাচ্ছেন ডেলিভারি দিতে।
২০১৬-১৭ সালের জনশক্তি জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, দেশের শ্রমবাজারে প্রায় দুই কোটির মতো তরুণ রয়েছে, যাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে আবার প্রায় ২১ লাখ কর্মহীন। মহামারির কারণে হোম ডেলিভারির চাহিদা ব্যাপকহারে বেড়েছে উল্লেখ করে অনলাইনে পণ্য বিক্রেতারা বলছেন, একইসঙ্গে ই-কমার্সের জন্য বিশাল সম্ভাবনারও দুয়ার খুলে গেছে। ফুডপান্ডা গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। গতবছর ফুডপান্ডা ফুড ডেলিভারি ছাড়াও সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘পান্ডামার্ট’র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ডেলিভারির জন্য অতিরিক্ত ১০ হাজারেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ দেয়, যারা নিয়মিত কাজ করছেন। এ ছাড়া, দেশের ৬৪ জেলায় তাদের ২০ হাজারেরও বেশি কর্মী রয়েছে।
পাঠাওয়ের প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘জীবিকার সংকটে পড়া কর্মীদের সঙ্গে লভ্যাংশ শেয়ারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পাঠাও। ফুড, কুরিয়ারি এবং পার্সেল ডেলিভারি এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে পাঠাও গত বছরে কয়েক হাজার কর্মীর কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মহামারির মধ্যেও আমরা প্রায় এক হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছি। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬০ হাজার পণ্য ডেলিভারি দেয় প্রতিষ্ঠানটি। দারাজ জানায়, গত বছর তারা তিন হাজার ১৮৫ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। এ ছাড়া, চলতি বছর নিয়োগ দিয়েছে আরও চার হাজার ৬৯ জন।
ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, করোনাকালে সৌখিন পণ্যের চেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যই মানুষ বেশি কিনছে। আশার কথা হচ্ছে মানুষ এখন অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। সাথে সাথে উদ্যোক্তাও তৈরি হচ্ছে। প্রতিবছর প্রচুর সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে এই মার্কেটে। তিনি জানান, সারাদেশে ফেসবুক পেজ ছাড়া প্রতিষ্ঠিত অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এখন ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষ কাজ করছে। মার্কেটের আকারও বাড়ছে প্রতিবছর। গতবছর এটি ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের খাবার, ভিন্ন ব্যবস্থা করছে দস্যুরা
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়’
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- ‘গাড়ি কোথায়’ অ্যাপে ওঠে সড়কের চাঁদা, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- গ্রামে দারিদ্র্যের হার কমলেও বেড়েছে শহরে
- ৬ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয়হীন ব্রাজিল
- প্রথম দিনেই ঢিল ছুড়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের গ্লাস ভাঙলো দুর্বৃত্তরা
- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে
- এনআইডি সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ছাড় নয়: সিইসি
- কয়েক বছরে হাজারের বেশি রোহিঙ্গার ভুয়া পাসপোর্ট করা হয়েছে: ডিবি
- ‘সবার প্রচেষ্টায় ভূমিসেবাকে স্মার্টসেবায় রূপান্তর করতে চাই’
- আজ থেকে অফিস-আদালত-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
- দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্বে অনন্য: ধর্মমন্ত্রী
- ইসরায়েলের সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করল হিজবুল্লাহ
- ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ
- ‘প্রশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারাই স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে’
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ব্রাজিল
- সহজে সচ্ছলতা লাভের ১০ আমল
- সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: এনামুল হক শামীম
- গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক: প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান
- জাতীয় ভোটার দিবস আজ
- ‘জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’
- আর্সেনিক দূষণ প্রতিরোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: ঢাবি উপাচার্য
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ব্রুনাইয়ের সুলতানের শুভেচ্ছা বার্তা
- কৃষি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ২২ এপ্রিল