পর্তুগালে ১২০০ বছরের পুরনো মসজিদ আবিষ্কার
‘লিসবোয়া সে’ পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের অন্যতম বৃহৎ চার্চ। লিসবনের অন্যতম পর্যটন আগ্রহ। এ ছাড়া স্থানীয় ক্যাথলিক পর্তুগিজদের কাছে এই চার্চটি অনন্য গুরুত্ব বহন করে। এবার সেই চার্চে সন্ধান মিলল আইবেরিয়ান পেনিনসুলা যুগের তৎকালীন আলজেরীয় স্থাপত্যশিল্পের একটি মসজিদ।
ক্যাথলিক দেশ পর্তুগালে ধর্মীয় উপাসনালয়ে এমন একটি মুসলিম ঐতিহ্যকে দেশের জাতীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভেবে আবিষ্কৃত মসজিদ স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার প্রস্তাব ওঠে। অনেকেই এটার অস্তিত্ব না রাখার পক্ষে ছিলেন।
মসজিদ স্থাপত্যটি ভেঙে ফেলার খবরে পর্তুগিজ প্রত্নতাত্ত্বিক, ইতিহাসবিদ এবং বেশ কিছু বাম রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করে। এবং স্থাপত্যটি না ভেঙে বরং সেটি সংরক্ষণের দাবি জানায়। তারা মনে করে, মসজিদটির ধ্বংসাবশেষ আমাদের সম্মিলিত ঐতিহ্য স্মৃতি। এটি ভেঙে ফেলা হবে চরম ঐতিহ্য ধ্বংসের মতো অপরাধ। পর্তুগিজ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পর্তুগিজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তর (উচেঈ) জেনারেল লিসবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি চার্চে এই স্থাপনা না রেখে বরং মুসলিম ঐতিহ্যের ধ্বংসাবশেষগুলো ভেঙে সেগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণের নির্দেশ দেন।
ইতিহাসবিদ হেরমেনেগিলদো ফার্নান্দেস এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পর্তুগিজ একটা মনোভাব হলো তারা ইসলামিক ইতিহাসকে জাতীয় জীবনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে করে। তাই পুরনো ইতিহাস আর স্থাপনাগুলো থেকে মুসলিম ঐতিহ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই স্থাপনাটি ভেঙে ফেলাও হবে ঐতিহ্য ধ্বংসের মতো একটি অপরাধ। লিসবনের সর্ববৃহৎ চার্চের মধ্যে আবিষ্কৃত মসজিদটি রক্ষায় সোচ্চার পর্তুগিজ আরেক ইতিহাসবিদ ম্যানুয়েল ফিলো বলেন, ‘ইতিহাস মানেই ইতিহাস। পর্তুগিজ ঐতিহ্যে একটি মসজিদও পর্তুগিজ ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরবের অংশ। এ জন্যই আমাদের মসজিদটি রক্ষা করে ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে হবে।’
পর্তুগিজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নির্দেশের পর পর্তুগিজ প্রত্নতাত্ত্বিক, ইতিহাসবিদ এবং বেশ কিছু বাম রাজনৈতিক দল এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় এবং তারা ঐতিহ্য সংরক্ষণের দাবি জানায়। নানা মহলের চাপে পরিশেষে উচেঈ স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়। এতে স্বস্তি জানান প্রত্নতাত্ত্বিক ও বেশ কিছু ইতিহাসবিদ।
৭১১ সাল থেকে ১৪৯২ সাল পর্যন্ত তৎকালীন আইবেরিয়ান পেনিনসুলা (বর্তমান পর্তুগাল, স্পেন) অঞ্চলে প্রায় সাত শ বছরের দীর্ঘ সময় মুরসরা শাসন করে। সেই সময়ে মনোমুগ্ধকর সব স্থাপত্য, জ্ঞান ও মুসলিম সভ্যতা আর ঐতিহ্যে ইউরোপে আল-আন্দালুস বিরাট প্রভাব বিস্তার করেছিল। অন্ধকারাচ্ছন্ন অঞ্চলে আলোর দিশা হয়ে মুরসদের আগমন হলেও স্প্যানিশ, পর্তুগিজ অনেক ঐতিহাসিক মুসলিম সেই শাসনকালকে চরমভাবে উপেক্ষা করেন লক্ষ করা যায়। তবু স্পেনের আল-হামরা প্যালেস বা পর্তুগালের পেনা প্যালেস এখনো আছে সেই কালের সাক্ষী হয়ে।
মুরস শাসনকাল শেষে পর্তুগাল, স্পেনের বেশির ভাগ মসজিদই পরবর্তী সময়ে চার্চে রূপ নেয়। প্রায় তিন হাজারের বেশি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ চার্চে রূপ নেয়। পর্তুগিজ জাতীয় জীবনে মুসলিম শাসন অধ্যায়কে নেতিবাচক হিসেবে নিয়ে মসজিদকে চার্চে রূপান্তর, শিক্ষা কার্যক্রমে মুসলিম শাসন ইতিহাস নিয়ে তেমন আলোচনা না রাখাসহ নানা মুসলিম ঐতিহ্য মুছে ফেলার নিদর্শন রয়েছে এখানে। বরং মুরস শাসনকে এ দেশের একটা লজ্জাজনক অধ্যায় হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
পর্তুগালের মেরিটোলা শহর, যেখানে এখনো প্রতিবছর মুসলিম ফেস্টিভাল ‘ফেস্টিভাল ইসলামিকো’ হয়ে থাকে। পর্তুগিজ, স্প্যানিশদের শারীরিক গঠনে এখনো আরব ছাপ রয়ে গেছে। পর্তুগালের অনেক পুরনো কিছু এলাকার নাম অবশ্য এখনো মুসলিম নামকরণের ওপরই স্থায়িত্ব পেয়েছে, যেমন—আল-বুফেইরা, আল-ফামা। তাই সংরক্ষিত ইতিহাসগুলোর পাশাপাশি আবিষ্কৃত প্রাচীন স্থাপত্যগুলোকে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি যথাযথ সংরক্ষণের দাবি প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদদের।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- হাতীবান্ধায় জেলের জালে উঠে এল প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের খাবার, ভিন্ন ব্যবস্থা করছে দস্যুরা
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়’
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- ‘গাড়ি কোথায়’ অ্যাপে ওঠে সড়কের চাঁদা, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- প্রথম দিনেই ঢিল ছুড়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের গ্লাস ভাঙলো দুর্বৃত্তরা
- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে
- এনআইডি সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ছাড় নয়: সিইসি
- কয়েক বছরে হাজারের বেশি রোহিঙ্গার ভুয়া পাসপোর্ট করা হয়েছে: ডিবি
- ‘সবার প্রচেষ্টায় ভূমিসেবাকে স্মার্টসেবায় রূপান্তর করতে চাই’
- আজ থেকে অফিস-আদালত-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
- দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্বে অনন্য: ধর্মমন্ত্রী
- ইসরায়েলের সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করল হিজবুল্লাহ
- ‘প্রশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারাই স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে’
- ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ব্রাজিল
- সহজে সচ্ছলতা লাভের ১০ আমল
- সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: এনামুল হক শামীম
- গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক: প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান
- জাতীয় ভোটার দিবস আজ
- ‘জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’
- আর্সেনিক দূষণ প্রতিরোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: ঢাবি উপাচার্য
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ব্রুনাইয়ের সুলতানের শুভেচ্ছা বার্তা
- কৃষি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ২২ এপ্রিল