• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

দিনাজপুরে ইজিবাইকে হারিয়ে যাচ্ছে রিক্সা

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৯  

ইজিবাইকের প্রভাবে দিনাজপুর শহরসহ জেলা থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে প্যাডেল চালিত রিকশা। ইজিবাইকে চড়ে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া যায় সে কারণে কেউ এখন প্যাডেল চালিত রিকশায় তেমন একটা চড়তেই চান না। 

প্যাডেল চালিত রিকশা হারিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে রিকশাচালকরা জানিয়েছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ায় এখন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এসেছে। আর সেই বাহনে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যায় তাই সবাই সেটাতেই চড়তে চান।  

দিনাজপুর পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দিনাজপুর পৌরসভা এলাকায় পৌরসভা কর্তৃক লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইজিবাইকের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া আরো ৭ হাজারের মত ইজিবাইক রয়েছে। 

দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রায় ৪ হাজার ইজিবাইক দিনাজপুর শহরে চলাচল করছে। এছাড়াও বর্তমানে দিনাজপুর পৌরসভা এলাকায় ২৫০টির মত প্যাডেল চালিত রিক্সা চলাচল করছে। যা ৫ বছর আগে যখন ইজিবাইক ছিল না তখন এর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ২০০।
 
দিনাজপুর জেলা অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও অটোবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দিনাজপুর জেলায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইজিবাইকের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এছাড়াও লাইসেন্স বাদে আরও প্রায় ৩৫ হাজার ইজিবাইক জেলায় চলাচল করছে। 

দিনাজপুর শহর সদর হাসপাতাল মোড়, বালুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, সুইহারী টেম্পো স্ট্যান্ড, ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, রামনগর মদিনা মসজিদমোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রিকশাস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, জায়গাগুলো দেখে মনে হয় না যে, এক সময় এখানে প্যাডেল চালিত রিকশার স্ট্যান্ড ছিল। বর্তমানে সেখানে ইজিবাইকের স্ট্যান্ড বা ইজিবাইক চার্জ দেয়ার জন্য গ্যারেজ তৈরি করা হয়েছে। 

প্যাডেল চালিত রিকশায় চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে সময় বেশি লাগে। অপরদিকে ইজিবাইকের জন্য লাগে ৪ ভাগের ১ ভাগ সময়, এছাড়া টাকারও সশ্রয় হয়। ইজিবাইকে এক সঙ্গে বেশি যাত্রী পরিবহন করলে যাত্রীর যেমন সাশ্রয় হয় তেমনি ইজিবাইকের চালকরাও লাভবান হন। 

প্যাডেল চালিত রিকশাচালকদের প্রতিদিনের ভাড়া হিসেবে মালিককে দিতে হয় ৩৫ টাকা। আর ইজিবাইকের প্রতিদিনের ভাড়া হিসেবে মালিককে দিতে হয় ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা। এ কারণে কিছু কিছু প্যাডেল চালিত রিকশার মালিকরা ইজিবাইক কিনে ভাড়া দিচ্ছেন।

দিনাজপুর শহরের সদর হাসপাতাল মোড়ে অপেক্ষমান প্যাডেল চালিত রিকশাচালক মজিবর রহমান (৪৮) জানান, বর্তমান ডিজিটাল যুগে মানুষ এখন আর এই রিকশায় চড়তে চান না। সবাই ইজিবাইকে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন। রিকশায় ২ জন যাত্রীর বেশি নেওয়া যায় না। আর ইজিবাইকে এক সঙ্গে ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়া যায়। 

বালুয়াডাঙ্গা এলাকার ইজিবাইক চার্জার গোডাউনের মালিক খালিদ হোসেন জানান, ৫ বছর আগে তার ১২টি রিকশা ছিল। তখন প্রতিটি রিকশার ভাড়া হিসেবে তিনি প্রতিদিন পেতেন ১৫ থেকে ১৮ টাকা। কিন্তু বর্তমানে তার ৮টি ইজিবাইক ভাড়ায় চলছে। তিনি প্রতিদিন ইজিবাইক প্রতি ৩৫০ টাকা করে পান। এই পার্থক্যের কারণে এখন আর প্যডেলচালিত রিকশা কোনো মালিক রাখতে চান না।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –