• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে সবজি চাষ করছে লাখো মানুষ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

লালমনিরহাটে তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে সবজি চাষ করছে লাখো মানুষ। এতে বদলে যাচ্ছে তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা। চরের পতিত জমিতে কীটনাশক ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করে অভাব দূর করছে তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এ বছর চরাঞ্চলে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। কম খরচে লাভবান হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে সবজির আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে চাষিরা জৈব সার ব্যবহার করায় আলু, শিম, করলা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বাদামসহ বিভিন্ন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।

তিস্তা নদীর তীরবর্তী চর বালাপাড়া, কুটিরপাড় বাঁধসহ লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার অন্তত শতাধিক গ্রামে মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক, কলমি শাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির ব্যাপক আবাদ হয়েছে। চরে সেচ পাম্প বসিয়ে তা দিয়ে পানির ব্যবস্থা করে এসব ফসল চাষাবাদ করেছে কৃষকরা।

চাষিরা জানান, চরের জমি সবজি চাষ করা খুব কষ্টের কাজ। তবে পুঁজি কম হওয়ায় অনেক লাভ। চর এলাকায় ফসলও ভালো হয়।

চর গোকুন্ডার কৃষক ফয়জার আলী বলেন, আমার যেটুকু জমি ছিল তা তিস্তার পেটে চলে গেছে। এ কারণে প্রতি বছর এই সময় তিস্তা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে জৈব সার ব্যবহার করে আলু, শিম, করলা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বাদাম চাষ করি। ফলন ভালো হওয়ায় আমরা পরিবার নিয়ে ভালোভাবে দিন কাটাতে পারি।

তিস্তার চরের চাষাবাদ নিয়ে আশাবাদী লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ।তিনি বলেন, চরের জমিতে পানির যে লেভেল আছে, তাতে সেচ দেয়ার সময় কিছুটা সমস্যা হয়। চরাঞ্চলের এ জমিকে কাজে লাগাতে আমরা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি, তিস্তার চরে উৎপাদিত সবজি কিছুটা হলেও চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –