• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

তিস্তা চরে স্বেচ্ছা শ্রমে নির্মাণ হচ্ছে বাঁশের সাঁকো

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২০  

কেউ দিয়েছেন বাঁশ কেউ কাঠ আবার কেউ দিয়েছেন নগদ অর্থ। আবার নিজ উদ্যোগেই সেই বাঁশ কাঠ দিয়ে শুরু করেছেন সাঁকো তৈরির কাজ। সকলের স্বপ্ন তৈরি হবে সাঁকো ঘুচাবে দুঃখ। 

বৃহস্পতিবার (৭মে) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মূল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি মাঝের চরে গিয়ে চোখে পড়ে এমন চিত্র। 

জানা যায়, তিস্তা নদীর বুকে উপজেলার মূল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি মাঝের চর। এ চরে বসবাস করেন ৫শতাধিশ পরিবার। চরটির কোল ঘেষে বয়ে গেছে তিস্তার একটি শাখা নদী। নদীর ওপারে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা। কোন সেতু না থাকায় প্রতিদিন কলাগাছের ভেলায় চরে ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড় হয়ে কাউনিয়া উপজেলার উপর দিয়ে লালমনিরহাটে আসে গ্রামের লোকজন। গ্রামের মানুষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুরু করে বাঁশ, কাঠ ও অর্থ কালেকশন। সকলে মিলে শুরু করে তিস্তার ওই শাখা নদীর উপর ২০০ মিটার বাঁশ কাঠের সাঁকো তৈরির কাজ। গত ২৬এপ্রিল থেকে সাঁকো তৈরির কাজ শুরু হয় এবং এটি আগামী ১৫ মে’র মধ্যে শেষ হবে।

কালমাটি মাঝের চরের কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, তারা তিস্তা নদীর কারনে লালমনিরহাটের মূল ভু-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। কিন্তু ভুগৌলিক কারনে এই চরের সাথে সহজ ও নিকট যোগাযোগ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা। ওই উপজেলার হারাগাছ এলাকায় তারা হাট-বাজার, কেনাকাটা ও ফসল কেনা-বেচা  করে আসছেন। শুধু আইনি অথবা সরবকারি কোন কাজে যেতে হয় লালমনিরহাটে। তবে শুষ্ক মৌসুমে কোনভাবে নদী পাড় হতে পারলেও বর্ষাকালে তিস্তা যখন ভরপুর থাকে তখন তাদেরকে পড়তে জটিল সমস্যায়। তখন লালমনিহাট জেলা শহরের সাথে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

চরের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, চারদিকে নদী ঘেরা চরে তারা বসবাস করেন। মাঝের চরে নেই কোন স্কুল, নেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র। সব কিছুর সেবা পেতে হয় হারাগাছ এলাকায়। সেতু না থাকায় তাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের যাতায়াতে পড়তে হয় সমস্যায়। 

খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমু বলেন, তিস্তার এই শাখার উপর সাঁকো নির্মানের চেষ্টা অনেক দিনের। অবশেষে নিজেরাই উদ্দ্যেগ নিয়ে সেই চেষ্টা সফল করছে চরবাসী। চারদিকে তিস্তা নদী ঘেরা মাঝের চরে বসবাসকারি চরবাসী নিজ উদ্দ্যেগে নিজের প্রয়োজনে সাঁকো বানাচ্ছেন। সাঁকোটি বর্ষাকালে চরবাসীর চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।

তিস্তার বুকে নির্মানাধিন সাঁকোটি মজবুত ও টেকসই করতে সরকারি অথবা বেসরকারি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন তিস্তা চরবাসি।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –