• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

তারেককে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়েই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে বিএনপি

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২০  

ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে লোক দেখানো আন্দোলন করলেও বিএনপির আন্দোলনের মূল বিষয় ছিলো তারেক রহমানকে প্রতিষ্ঠা করা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন তারেক জিয়ার কারণে বিএনপি আজ জনবিচ্ছিন্ন।

দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক তার মা খালেদা জিয়ার সহচর হিসেবে সারাদেশের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি মা বেগম খালেদা জিয়ার প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি পৃথক পরিকল্পনায় সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালায়। 

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়েই বিএনপির রাজনীতিতে আলাদা বলয় গড়ে তুলতে শুরু করে পুত্র তারেক রহমান।

২০০২ সালে তারেক রহমান দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। দলের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে নিয়োগ লাভের পরপরই তারেক রহমান সারাদেশে দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন।

মূল সংগঠনসহ সহযোগী সংগঠন যেমন জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে নেন হাতের মুঠোয়।

যার ফলে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নিজ দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। একে একে দলের নেতারা ভিড়তে থাকেন তারেক রহমানের কাছে। নেতাশূন্য হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া এবং তারেকের এই আধিপত্য দেখে সংস্কারপন্থীতে নাম লেখান দলের সব সিনিয়র নেতারা।

সূত্রটি আরো জানায়, বিএনপির অধঃপতনের যাত্রা তখন থেকেই শুরু। দলের মধ্যে শুরু হয় বিভাজন। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি শূন্য করে তারেক রহমানকে বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ শুরু করে একটি অংশ। এর প্রভাব পড়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ভরাডুবিতে ভেঙে পড়েন বিএনপির নেতারা।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পদোন্নতি পান তারেক। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে গেলে পরবর্তীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সময়ে বিএনপির শীর্ষ ও প্রভাবশালী এক নেতা বলেন, ক্ষমতা হারানোর পর থেকে বিএনপির আন্দোলন বলতে কিছু ছিলো না।

তিনি বলেন, এই সময়টাতে বিএনপির একটি অংশ তারেক রহমানকে দলের দায়িত্বে বসানোর জন্য সংগ্রাম করেছেন। আজ তারাই  পুরোপুরি সফল। কিন্তু এই  সময়ে বিএনপি দেশের জনগণের জন্য বা দলের জন্য কোনো কর্মসূচি পালন করেনি।

বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, বিএনপি ব্যস্ত খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে। তাদের দলীয় কার্যক্রমে কেন্দ্রবিন্দুই  হল জিয়া পরিবার। জনগণ তাহলে  কেনো বিএনপিকে নেতৃত্বে আনবে? বিএনপি তাদের জন্য কি করেছে? রাষ্ট্র ক্ষমতা শেখ হাসিনার হাত থেকে খালেদা জিয়ার হাতে গেলে জনগণের লাভ কি তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –