• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

জনসমাগম যেন না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২১  

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোথাও যেন জনসমাগম না হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।  বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে  এ অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। 

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিলাম। কিন্তু আবার বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এবারের করোনা ভাইরাসটা হঠাৎ করে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও এমন দ্রুত বেড়ে গেছে, যেটা চিন্তাও করা যায় না। আসলে আমরা যেহেতু ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি, তাই  বোধ হয় মানুষের মাঝে একটা বিশ্বাস জেগে গেছে, যার জন্য সবাই একটু ভাবছিল যে কিছুই বোধ হয় আর হবে না। আমি কিন্তু বারবার বলছিলাম, ভ্যাকসিন নিলেও সাবধান থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানাটা কিন্তু বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমরা যদি হিসাব করে দেখি, তাহলে দেখা যাবে যতগুলো বিয়ের অনুষ্ঠান এবং যারা বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে ফিরে এসেছেন তারা অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে চলে গেছে, বিশেষ করে পর্যটনকেন্দ্র যেমন কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে অনেক লোক, সেখান থেকে যারাই আসছে তারাই কিন্তু আক্রান্ত হচ্ছে। দাওয়াত-পানি, খাওয়া-দাওয়া এবং দোকানপাটে যাওয়া- এগুলো যেন অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল। এটা শুধু আমাদের দেশে না, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে বলব, ঠিক প্রথমে যখন করোনাভাইরাস দেখা দিল তখন যেভাবে আমরা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করলাম সেইভাবে এবারও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইতোমধ্যে কিছু নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। ধীরে ধীরে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। সেক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা দরকার। আজ আমরা কতগুলো মানুষকে হারালাম। যদি একটু সচেতন থাকতেন। সবাইকে অনুরোধ করব মাস্কটা পরতে। সবাইকে মাস্কটা পরে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যখনই কেউ একটু মানুষের সঙ্গে মিশবেন বা দোকানপাটে যাবেন, অফিসে যাবেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, ঘরে ফিরে একটু যদি গরম পানির ভাপটা নেন- এটা কোনো কঠিন কাজ না। ওই গরম পানিটার ওপর মুখটা রেখে ভাপটা নিলে পরে এই যে জার্মটা, যেটা নাক থেকে টেস্ট করার জন্য নেওয়া হয় সেখান পর্যন্ত পৌঁছাবে এবং এটাকে দুর্বল করে দেবে অথবা শেষ করে দেবে। আরেকটি কাজ আমি নিজে করি, এটাও আমরা করতে পারি- নাকে একটু সরিষার তেল দেওয়া। 

শেখ হাসিনা বলেন, বিয়েশাদি যেগুলোর দিন তারিখ ঠিক হয়েছে, সেগুলো খুব কম লোক নিয়ে ঘরোয়াভাবে করবেন। বাইরের লোকের সঙ্গে না মিশে, দোকানপাটে গেলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ঘরে ফিরবেন। যেন জনসমাগম না হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। সবাই মনে করছেন যে কিছু হবে না। আমরা একেবারে সবকিছু কমিয়ে এনেছিলাম। আমাদের অর্থনৈতিক কাজগুলো চলছিল। অফিস-আদালতে আমরা বলে দিয়েছি, যেন সেখানে সীমিত লোক নিয়ে কাজ করা হয়। বেশি যেন মেশামেশি না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –