• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

গাইবান্ধায় কাদা মাটিতে কৃষকরা বুনছেন স্বপ্নের আমন চারা

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২০  

গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলার নিভৃত গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়েছে আমন ধান চাষাবাদ কার্যক্রম।  সরেজমিনে বুধবার (১২ আগস্ট) সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক-কৃষাণীদের আমন ধানচারা রোপনে দেখা যায় ব্যস্ততার চিত্র। তারা কাদা মাটিতে বুনছেন স্বপ্নের আমন চারা।

জানা যায়, সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলার বন্যায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। এ বছরে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে কৃষকদের আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর একটু আগেভাগে শুরু করেছেন আমন চারা রোপনের কাজ। তবে বন্যা কবলিত এলাকার কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়ে তীব্র চারা সংকট। এই সংকট মোকাবিলায় এবং ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় উঁচু এলাকার কৃষকদের নিকট থেকে চরাও দামে কিনছেন আমন ধানচারা।
পলাশবাড়ীর মাঠেরহাটে ধানচারা বিক্রি করতে আসা খাদেমুল ইসলাম নামের এক কৃষক বলেন, আমাদের এলাকাটি উঁচু। তাই বন্যার আঘাত তেমনটা লাগেনি এখানে। নিজের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত চারা বিক্রি করতে হাটে এসেছি। নিম্নাঞ্চলে বন্যা হওয়ার কারণে হাটে-বাজারে চারার চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। এতে করে প্রতি পণ (২০ গোন্ডা) চারা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

সদর উপজেলা থেকে চারা কিনতে আসা খলিল মিয়া নামের আরেক কৃষক জানান, গেল বন্যায় বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলেরও। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দুই বিঘা জমিতে আমন ধানচারা রোপনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে চারা সংকটের কারণে অতিরিক্ত দাম দিয়ে চারা কিনতে বাধ্য হচ্ছি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, কৃষকরা যাতে করে ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারে সে বিষয়ে মাঠপর্যায়ে গিয়ে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর।

তিনি আরও বলেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে ১০৫ একর জমিতে ও ভাসমান ১০০টি আমন বীজতলা প্রস্তুত রয়েছে। উৎপাদিত চারা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –